নীলিমার পাড়া
নীলিমা তোমার পাড়ার মৃত ঝাউবনে
কার আদরচিহ্ন ভগ্ন তারার মতো ঝরে পড়ে আমাদের মায়ার অঞ্চলে!
কোথা থেকে যে অশ্রুর মতো অভিসার
নীরব, সমাচ্ছন্ন
খুলে যায় সব বিরল জানালা মধ্যরাতে
আবারও মনে পড়ে যায়
নিষিদ্ধ বাগান।
হাওয়ায় হাওয়ায় ভেসে বেড়ান রশিদ খান।
পাতা উল্টায়।
আমি কি আর পড়ি তখন
কার আঁকিবুঁকি ঐ মেঘের আড়ালে
আমাকে পড়ে নেয় ঘনিষ্ঠ রাতের বেহাগ।
সুর
নিভৃতে ছিল যে
আর সে নেই। সে আসে, ধরা দেয়,
এই নির্জন পানশালায় এখন সে গান
যাকে ভালোবাসলাম
তারেই আমি সুরে সাধলাম।
কে তুমি গান গাও
ঝরনা থেকে তুলে আনো জলের বেহাগ
তোমারও কি বুকে ব্যথার বাজার
নিঃশ্বাসে কাঁপে তার?
আমার ভিতরে ঘর বাঁধে দিন শেষের পূরবী
নিঃসীম হাহাকার!
ভৈরবী দল বেঁধে গেছে প্রথম আলো ধরে
আমি একা একটি সুর ধরে সারাদিন পথে পথে...
বাতাস বহে আনে মাগরিবের আর্তি।
যাকে ভালোবাসলাম
তারে আমি আজ আজানে সাধলাম।
যে সুর ধরে ফিরে যাব গৃহে
এক ঘরছাড়া সেই সুর ধরেছে কীর্তনে।
দেবতার আলয়ে ক্ষণেক থামো তুমি...
যাকে ভালোবাসলাম, সেই আশ্রয়
হত্যাদৃশ্যের সন্ধ্যায়
আমি কীর্তনে সাধলাম!