দোঁহা

নিমাই জানার কবিতা

 


শুদ্ধ আত্মার স্বর ও ভীমসেন বিষয়ক সন্ন্যাস চিত্রের দ্রাঘিমা

অ্যাক্রোফোবিয়া কাঁচের বোতলের ভেতরে পি ডেল এক্স এক্স এক্স স্কয়ার শুদ্ধ কল্যাণ তত্ত্বের মতো নীহারিকা খচিত সমুদ্র তরঙ্গের নীল ফেনার মঞ্জিরা বিষয়ক মহাকাল ভৈরবের অনন্ত ধ্বনিময় মৃত্যু টলমল করছে কস্তুরী পাথরের মতো, গ্যাস্ট্রো ইন্টেসস্টাইনাল রক্তক্ষরণ হচ্ছে পুনের বৈকুন্ঠ শ্মশানে দাউ দাউ করে জ্বলে উঠছে এক কালশ্রী রাগের মুখনিঃসৃত রুদ্রাক্ষ সমেত মোমবাতি ধাতুর অলৌকিক শ্রুতিধর ফেনা, টোটাল এরিথ্রোসাইট সামুদ্রিক ঘোড়াদের ধরে ধরে বিসর্পিলাকার দেয়ালে লিখে দিচ্ছি অনন্তশিলা লিপির ভৌগোলিক চতুরাশ্রম কথা, তিনি মাটি খুঁড়বেন তীক্ষ্ণ আলো জ্বালবেন কনসার্ট বাজাবেন ভৈরবী উদয়াস্থ অন্ধকারে উদ্বেলিত হয়ে একটি হ্রিং নাদ ক্ষেত্রের পিতাদের আবিষ্কার করবেন সতীধর অনিত্যকালের স্তব ও মূর্ছনা দিয়ে, শ্বেত বমিকে শুদ্ধ করছি তিনি শুদ্ধ করে তুলছেন সামুদ্রিক নক্ষত্রদের পতিত কথা, স্বর্গের পতিতকথা, অফ দি সারোগেট বেশ্যাদের পতিতকথা, পরিযায়ীদের পতিতকথার ঋণ, মহা কৈলাসে নিয়ে যাচ্ছেন ভীম, লাল তালব্য শ রঙের তৃষ্ণার্ত পাখিগুলো অলৌকিক দৃশ্য করছে এখনই পাখি ভয়ঙ্কর প্রার্থনা করবে মহা ভৌগিক জন্মের জন্য, সংগীত কনসার্টে বেজে উঠছে ঈশ্বর, ঈশ্বর ও স্তব শুনবেন ভয়ংকর শ্মশানের ত্রিমাত্রা তাল রাগ শুদ্ধ কল্যাণ বিষয়ক, তিনি একাই অক্ষর শব্দের মায়াময় গভীর অন্তরীক্ষ থেকে বেরিয়ে এসে মহান দানব দরবারী গাইবেন, প্রতিটি স্বর্গীয় শব্দের ভেতরে অনন্ত অক্ষরের সমুদ্র বিভাগহীন নক্ষত্র খচিত তেজস্ক্রিয় আলোকময় ধ্বনি বিচ্ছুরিত হয়ে আসছে, গলায় গলায় জমছে ময়ূরীদের রক্ত, ব্ল্যাক, ক্ষারের মতো একাকী বৈভব অন্ধকারে সমুদ্রের বিশুদ্ধ মোহময়ী ঋষভ অন্ধকারে পিতামহ আশাবরি গাইছেন।
তারপর ধ্যান, অনন্ত সমাধি মহামতি যজ্ঞের ওপরে নিজেই বসে আছেন চিত্রকূট পদ্মাসনে, ত্রিমাত্রিক আলোক রেখায় প্রিজম ভেঙে দিচ্ছেন অনন্ত খেয়াল সমগ্র দিয়ে, গলাটার ভিতরে তরল পারদ ঢেলে অন্ধকারকে মহাভোগের মতো তরঙ্গের বৈকল্য সুর শোনাচ্ছেন, চমৎকার সৃজন বীজে গড়ে ওঠো এই প্রপাত সমুদ্র
এখানেই মারু বিহার বেজে ওঠে, স্বয়ংবর বৃন্দাবনে এক সুর রেখার ভেতর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে মরুৎ প্রদেশে তিনি খুঁড়ে চলেছেন অতিলৌকিক কোন বৈশ্বানর আদিম স্থাপত্যের সংকর সং তত্ত্ব, ভীম নাথ জোশী আণুবীক্ষণিক প্রোটনিক উপগ্রহের ভেতরে থাকা খাম্বাজের অসনাক্তকরণযোগ্য পৃথিবীর মেষ পালকদের নিয়ে নিশাচর পুরোহিত পিতৃতান্ত্রিক সংগীতের ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে দিচ্ছেন অনন্ত ইন্দ্রলোকে, ঈশ্বরের রমন মুদ্রা দেখতে পাচ্ছি লবণাক্ত কাঁচের ঠোঁট ঢুকিয়ে


ঊর্ধ্বপাতিতশিরা ও জাহাজের নভশ্চর উপগ্রহ সমূহ


চতুর্বিংশতি যজ্ঞের নিচে মায়াবী আলোর প্লেটনিক দুর্ধর্ষ নক্ষত্রের থেকেও আরো বহু বর্ষজীবী তিনি স্নান করছেন দুগ্ধজাতক স্নান ক্ষমাহীন পাথরের কাছেই, তিনি জ্বলে উঠছেন ভৈরবী পিতৃতান্ত্রিক গোপন গুহার ভেতরে থাকা হত্যাকারী হিংস্র সূক্ষ্ম জরুল তরঙ্গে, গলার ভেতর থেকে উচ্চ কম্পাজানোয়ারেরঙ্কের পাখিরা একাকী রাতে সেতার ব্লু ঢালছে, এ তীব্র শিরা উর্ধ্ব পাতিত ক্ষুধা এই মহাজগতে আঁশ বিক্রি হয় নাচবো কোথাও?
প্রতিটি মানুষের ক রঙের রঙিন ক্ষুধা ত্রিমাত্রিক অন্ধকারময় জনিতৃ ছায়ার কাছে জোনাকি এ ভৌগোলিক তৃষ্ণা ফেলে রাতের ধ্রুবতারাদের কুচমুচ করে চিবিয়ে দিচ্ছে তরল মহাগোলের মতো, মহাকাত্যায়ন অন্ধকারে, তিনি অন্ধকারে নিজেই নিজেকে খুঁজে নিচ্ছেন, গলার স্বরতন্ত্রীটাকে আকাশের আপেলের নিচেই তিনি নৃত্য করেন যৌগিক নৃত্য পলল নৃত্য আগ্নেয় নৃত্য এ জলাশয়ের নিচে অদৃশ্য অসরীসৃপ সেজে তিনি নিজেই স্নান করেন যাত্রীবাহী পাখার নিচে, নিজের সরীসৃপ বাতাস খেতে খেতে আলোকীয় ধূমকেতুতে বিস্মিত তরঙ্গের মহা দুর্গময় নিউক্লিয় স্বর্গালোকে এস্রাজ বাজাচ্ছেন পীতরঙের সন্ধ্যাকাল নেমে আসছে,  দরজার ওপাশে তিনি নিজেই রক্তক্ষরণ আর বাইপোলার নিউমেনিয়া অন্ধকারে একাকী শ্মশান হাতে নিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন বাঁশি বাজাচ্ছেন শুদ্ধ অতি যান্ত্রিক অন্ধকারের, কন্নড় তিনি ভৈরবের অলৌকিক তৃতীয় দ্রাঘিমাংশের একটা মহা প্রার্থিব ও অস্তিত্ব শরীরে রক্তক্ষয়ী অসুখ সংগীতময় ডানাওয়ালা পাখি গুলোকে নিয়ে একাকী মাঝরাতের মহা সন্ধিক্ষণে পৃথিবীর শঙ্খ মালা ভেঙে দিচ্ছেন। কুণ্ডলিনীর ধোঁয়া গুলো উড়ে যাচ্ছে মহা কুণ্ডলের মহাভৈরব যন্ত্র থেকে, তিনি কর্ণাটক। মাদকাসক্ত একাকী পিপাসা বিক্রি করছেন সদর্থক উপজালিকার উপনক্ষত্রের অন্তিম পুরে থেকেই, স্বর্গলোকের অতি-পুরুষদের জন্য সূক্ষ্ম বিদ্যুৎ ও হৃদয় ভাঙা তরুণাস্থি সংগীত ভেসে আসছে, তড়িৎযোগে,
মৃত মানুষদের হাড়গুলো ক্ষয়জাত বলে সঙ্গম যোগ দৃশ্য দেখাচ্ছেন অতীত তরঙ্গকে, নটরাজকে, ঈশ্বরের দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে যায় কেমন অতি বেলজিয়াম রশ্মি দানার ভিতরে থাকা পেপটাইট শিথিলতা অঙ্গাণু বিষয়ক জিবের প্রদর দোষের ভেতর দিয়ে,
সাপটি মহাভয়ানক সন্ন্যাস আস্তাবল চাইছে



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন