বানভাসি প্রহরে
তোমার চোখে মেঘদূত, কাঙ্ক্ষিত মেঘ ভাঙা রতি।
বাউল ভেজানো জলে কাগজের নৌকা ভাসে দিনে।
আমার খড়ের চালা ভেদ করে জল আনে ক্ষতি,
আমি কাজ-হারা, একা কুটিরে বসে থাকি আশ্বিনে।
ছপছপ দাঁড়ের চোয়াল উঠে আসে ঘুম-রাতে
অতি ভেজা পাঁজরের নীচে গলে যায় ব্যাঙের বাড়ি।
পোড়া তেলের মন কেঁপে যায় হাওয়ায় আঘাতে,
মেঠো জলের প্রবাহে রাত জাগানিয়া দেয় পাড়ি।
কদম পাতার ফাঁকে চাঁদ লেগে চলকায় সুখ,
ভেজা উনুনের থেকে আকাল খিদে বোহেমিয়ান।
স্যাঁতসেঁতে শিরা নিয়ে বসে থাকি আরোগ্য উন্মুখ,
বৃথা ভাবি সরকার এ মুঠিতে তুলে দেবে ত্রাণ।
অতিবৃষ্টির প্রকোপে আমি ধ্বস্ত, আমি বানভাসি।
রোজ ডুবে যাই, তবু সে লেখার কাছে ফিরে আসি।
জলের মুকুট
মেঘের জঠর ভেঙে গেছে এই আঙুলের বাঁকে,
পীড়িত অক্ষর নিজে নিজে ধুয়ে যায় অগোচরে।
ইঁদুরের মতো কামনায় আমি চেয়েছি তোমাকে,
বাক্যের বাঁধ ভেঙে সোহাগী জল উঠে আসে ঘরে।
বহুদূরের নাবিক ছিলে, বলেছিলে সেই তুমি
আজ ভরাডুবি আঁকড়ে খড়ের মতো ভাসমান।
বর্ণিল উপেক্ষায় ক্রমে ক্ষয়িষ্ণু এই তপোভূমি
তোমার প্রেত-লগির নীচে জলে পড়ে আছি ম্লান।
জলছবি বিভোর বাতাসের ভাঁজে রঙ অধরা,
শূন্য রাঙিয়ে যায় মুখোমুখি ছায়ার প্রক্ষালনে।
হাঁটু গেড়ে বসেছি, আর দিও না খাতায় খরা।
জলের স্তবে তোমাকে সীমায়িত করে রাখি মনে।
সেই সীমা ভেঙে আজ চলকায় জলের মুকুট...
পাতিত ঠোঁট থেকে স্বপ্নের দানা ভেসে হয় লুট।
তোমার চোখে মেঘদূত, কাঙ্ক্ষিত মেঘ ভাঙা রতি।
বাউল ভেজানো জলে কাগজের নৌকা ভাসে দিনে।
আমার খড়ের চালা ভেদ করে জল আনে ক্ষতি,
আমি কাজ-হারা, একা কুটিরে বসে থাকি আশ্বিনে।
ছপছপ দাঁড়ের চোয়াল উঠে আসে ঘুম-রাতে
অতি ভেজা পাঁজরের নীচে গলে যায় ব্যাঙের বাড়ি।
পোড়া তেলের মন কেঁপে যায় হাওয়ায় আঘাতে,
মেঠো জলের প্রবাহে রাত জাগানিয়া দেয় পাড়ি।
কদম পাতার ফাঁকে চাঁদ লেগে চলকায় সুখ,
ভেজা উনুনের থেকে আকাল খিদে বোহেমিয়ান।
স্যাঁতসেঁতে শিরা নিয়ে বসে থাকি আরোগ্য উন্মুখ,
বৃথা ভাবি সরকার এ মুঠিতে তুলে দেবে ত্রাণ।
অতিবৃষ্টির প্রকোপে আমি ধ্বস্ত, আমি বানভাসি।
রোজ ডুবে যাই, তবু সে লেখার কাছে ফিরে আসি।
জলের মুকুট
মেঘের জঠর ভেঙে গেছে এই আঙুলের বাঁকে,
পীড়িত অক্ষর নিজে নিজে ধুয়ে যায় অগোচরে।
ইঁদুরের মতো কামনায় আমি চেয়েছি তোমাকে,
বাক্যের বাঁধ ভেঙে সোহাগী জল উঠে আসে ঘরে।
বহুদূরের নাবিক ছিলে, বলেছিলে সেই তুমি
আজ ভরাডুবি আঁকড়ে খড়ের মতো ভাসমান।
বর্ণিল উপেক্ষায় ক্রমে ক্ষয়িষ্ণু এই তপোভূমি
তোমার প্রেত-লগির নীচে জলে পড়ে আছি ম্লান।
জলছবি বিভোর বাতাসের ভাঁজে রঙ অধরা,
শূন্য রাঙিয়ে যায় মুখোমুখি ছায়ার প্রক্ষালনে।
হাঁটু গেড়ে বসেছি, আর দিও না খাতায় খরা।
জলের স্তবে তোমাকে সীমায়িত করে রাখি মনে।
সেই সীমা ভেঙে আজ চলকায় জলের মুকুট...
পাতিত ঠোঁট থেকে স্বপ্নের দানা ভেসে হয় লুট।