সেবিকা
এই যে বিপুল মেঘ, ভেসে আছে একা একা
ধূসরাভনীল শূন্যে উড়ে চলেছে কোথায়, জানো?
একদিন তোমার তুলির রঙে সাদা মেঘের ফুল
ছড়িয়ে দিয়েছিলে বিকেলের শ্বাসকষ্টের পাশে
অমোঘ মন্ত্রে বেঁচে উঠেছি। ঋষির মতো বীজধান
রোপন করেছি ব্যর্থ জীবনের অযুত তৃষ্ণায়।
লাঙলের ফালে বিদ্যুৎ জাগে, বিগলিত মাটি
আলোর মতো পাখির ডানা, আসলে কল্পউড়ান।
দেখো, কী প্রাচুর্য এই সমাগমে, এমন হিল্লোলে
নিজেকে উজাড় করে ভিজিয়ে দিচ্ছে বিষণ্ণ ছাদ
পথের ক্লান্তি, গাছের সবুজ নিখিল, আঁখিজল
প্রখর রৌদ্রে দগ্ধ পুকুর ভরে উঠেছে শালুকে
জলের মহিমায় আশ্চর্য শ্রাবণ কি জাতিস্মর?
বুকের ভিতর কেন তবে সারাদিন বৃষ্টি পড়ে
সারারাত বৃষ্টির ঝমঝম, অবাধ্য হৃদয়ে বাজে
কীসের ইঙ্গিত বলো, তুমি বুঝি ফিরে আসবে?
নিজের দু-কূল ছাপিয়ে আমার শিয়রে বসবে!
প্রহেলিকা
প্রতিদিন দেখি, কীভাবে গোধূলি আঁকড়ে বেঁচে আছে নিঝুম বিকেল
ভিতরে ভিতরে তখন ছুটির ঘন্টা বেজে ওঠে।
অদ্ভুত ধ্বনিতরঙ্গে আন্দোলিত হয়ে
মনের ভিতর একঝাঁক ধূসর পাখি উড়ে এসে বসে
নীলিমায় ভেসে ওঠে অগ্নিসম্ভার, একা একা পুড়ে যায় চাঁদ
যেন তোমার দুঃখের নিখিল, সম্মোহিত জ্যোৎস্নার মনীষা
মেঘমেদুর স্মৃতি কি তোমার অলক্তলিপি?
সংসারের মায়া জড়িয়ে উড়তে পারি না!
আমার ডানা নেই। নীরব অশ্রু ও আকুতি নিয়ে
আদিগন্ত অন্ধকারে নিজেকে জ্বালিয়ে রাখি
একটু একটু করে প্রতিদিন স্তব্ধতার ভিতরে ডুবে যাই
আশ্চর্য এই আকাশ, নক্ষত্রের প্রাচীন শোক ধরে রাখে
বুকের ভিতর অঝোর ঝরে পড়ে কবেকার বৃষ্টি...
অপূর্ব দুটি লেখাই
উত্তরমুছুন