বিসর্জন
সব ঢেউ ফিরে যায়, হারায় বানভাসি প্লাবন
জেনো, নিয়ামক নয় জীবনের কোনও জোয়ার!
তবুও পৃথিবী জানে কল্লোলিনী পাল্টায় রিংটোন
পৃথিবী জানে স্বরূপে সে কোনোদিন ফিরে না আর!
রাতের মান্দাসে কীর্ণ নীরবতা, স্তব্ধ অন্ধকার
ফেরে না আপনমৃত, যে পথিক চলে গেছে দিনে।
ম্লান হয়ে আসে সাত স্মৃতিপথ –ফতুয়ার পার
দেবতা নয়তো শুধু, মানুষও ফুরায় বিসর্জনে!
স্বার্থের শহরে দেখো আনমনা মাউথ-অর্গান
বধিরের জলসায় বিলুপ্ত, একাকী বেজে যায়।
ঢেউ ফিরে গেলে পরে হে নিশ্চল অবাক পাষাণ
হারানো নদীর তীরে দাঁড়িয়ে উচ্চারিয়ো, 'বিদায়'!
নদী অথবা মানুষ হারালে বিজনের বিচ্ছেদ
নদী মানুষে করে না কেউ আর তেমন বিভেদ।
জলখেলা
তাকে নিয়ে কবিতার ছিল না কোনো কাজ
মিথ্যার বন্দরে মিছামিছি ছেড়ে যায় জাহাজ।
ছেড়ে গেছে ছেড়ে যাক, সুদূরে কেন চাও
ক্ষীণ বাঁশের ভেলা অকূল পাথারে ডুবাও।
তাকে নিয়ে জলখেলা, কী ভেবেছ, খুব সহজ?
ঢেউয়ের ত্রিপদী জড়ায়, ভেসে যায় নিখোঁজ।
তার চেয়ে যদি পারো মুখোশ খুলে দাও চুম্বনে
যদি দেখা মেলে মানুষ, আমিও যাব বৃন্দাবনে।
তার চেয়ে ভালো, ছেড়ে এসো অশ্রু যমুনার তীর
গোপনে এসো তুমি ব্যথা, নিভৃতে হইয়ো অধীর।