দোঁহা

প্রভাত সতপতির কবিতা

 

আহ্বান

কেউ ডাকলে না সই!
তাই বৃতির মুখে রঙ জমানো, যন্ত্রণায়।
সুখ-তন্দ্রায় লেখা আঁধার গাথা,
গা ঢেকে দেয় তারই আলেয়া, ব্যঞ্জনায়।

ভিজছে বসন কপোত সুখে,
নীড়ের গন্ধ সাজে দুখে,
তাকিয়ে জগৎ উদাস চোখে,
ছিন্নপত্র নিজের গন্ধে ভাসে, ভেজায়!


পূতিগন্ধময়

আরও একটি শাওন দিনের গল্প,
গাঙের জল এসে ধুয়ে দিচ্ছে প্রতীক্ষার অবশেষ,
আলোর পথ যেন পোষিত স্রোতেই হতে চায় লীন,
ঝরে পড়া পাতারা প্রশ্নের চোখে তাকায় গাছকে,
ছায়ার ঘোমটা টানে সে,
তবু উত্তর দিতে যে তার বড়ো বাধে-

তার পর
রাতের আকুতি নিয়ে ফোটায় কুসুম সেই রঙে,
দলমণ্ডলের গভীরে ফেরে চোখ, খোঁজে বিষ-তারা,
এভাবে তরলিত ধারায় ভেসে ওঠে পূতিগন্ধী-মোহ,
কপাল শুধু চন্দনের শীতল ফোঁটায় খোঁজে আঁখি।
হায় হায়-কি দেখতে চেয়ে কি দেখলে গো হরি! 




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন