পুনরায়
পুনরায় ভুসোকালির মধ্যে শত ত্রুটি
খুঁজে আনতে ঘরে আমায় বসাতে হয়
নতুন করে ভাত, ঠিক একটি কোণে রাতের
মতো তোমার কলঙ্ক মুক্ত করবে বাতাস,
যখন একটি সীমানা গড়িয়ে যাবে তপ্ত মাটিতে।
আমি একটু একটু ব্যথা অনুভব করলেও
কেউ কেঁপে উঠলো না বৃষ্টির চুম্বনে।
আমি ভিখারি থেকে সন্ধ্যার পর যে সন্ন্যাস
গ্রহণের জন্য একটি সুর বাজিয়েছিলাম,
তখন কি কেউ জল চাইত? বা চলে যাবে
কোনো স্পর্শকাতর ফুটন্ত চোখে?
পুনরায় দেখা হলে সে কি আমাকে কথার
ফাঁকে খুঁজে আনতে বলবে বালুকণা? সিঞ্চন?
বার্ষাতি
একটি আত্মহত্যাকে কি কোনোদিন
ভিজিয়ে দিতে পারে বৃষ্টির শব্দ?
এর খোঁজে আমি ফুল ফুটিয়ে রাখতাম
সারারাত। ম্রিয়মাণ চোখ তখন হাওয়া
খুঁজে চলে, যার পরে কোনো মরীচিকা নেই।
একটি বর্ষাতি তখনো ঢাকতে চেষ্টা করে মন...
একটি পাহাড় ক্ষত স্থানে ছড়িয়ে রাখে দানা,
ঘর থেকে বেরিয়েই মনে পড়ে, এই কথাটা
আজ যদি তোমার রক্তে গড়িয়ে পড়ে,
তাহলে চুম্বন, তুমি ভাসিয়ে নিও কাঙালের বাসা।
একটি কবিতা। একটি আত্মহত্যা। একটি বর্ষাতি।
ফুটিয়ে রেখো শেষ গ্রাস, আমি ত্রানে ফিরে পেতে
চাই আমার ধুলোয় লুটিয়ে পড়া, স্তরে স্তরে ঢেকে
যাওয়া অপরিসীম আশ্রয়।