মণ্ডপ
১.
শরীরে বিষণ্ণ ঘুণ পোকাদের কাছাকাছি যাই
সম্পদ মায়ের দুঃখ স্বপ্নের দারিদ্র ধোয় মোছে
বয়স পাগল কুত্তা মুখ নয় নাক দিয়ে খায়
সমুদ্র সেচন করে পৃথিবীকে জ্ঞান দিতে থাকে
অসার বায়ুর পায়ে কত আর মাথা খুঁড়বে লোক
প্রাণ মানে বায়ু তাই অক্সিজেন চির নাবালক
আমার মৃত্যুকে কেউ নিয়ন্ত্রণ করে মাতৃসম
প্রজিত আনন্দ স্রোত বাঁধের কঙ্কাল খুলে ছাড়ে
তাতেই শ্রদ্ধেয় জল অবারিত শোকের উৎসব
শরীরে প্যান্ডেল বাঁধে শরীর মণ্ডপ মনে হয়।
২.
তোমার অসীম খিদে মারমুখী পাগল চড়াই
জ্ঞানই আসল খাদ্য জ্ঞানের বিকল্প খাদ্য প্রেম
সেখানে রাজস্ব চেয়ে খুঁটি ভাঙা প্রতিমা পেয়েছি
তাহার বিকৃত চোখে না আছে আগুন না কটাক্ষ
অসুরসম্মত আমি বলি প্রদানের রাজভোগ
এতটা নরম হলে কীভাবে গৃহীত হবে দেবী
অসংস্কৃত এই বেদী রক্ত-হাড়ে পাথুরে হয়েছে
সে পাথর কেটে কেটে তোমাকে বানাই, নিজেকেও
এই শিরা এই গুম্ফ মায়ের অজানা আছে আজও
জেনে গেলে দুঃখ পেত তার ছেলে সন্ন্যাসী হয়েছে।
ভালো লাগলো কবি অরুণ পাঠক
উত্তরমুছুন