চাঁদের বাতাস
চোরা ঘাস, তাদের পোয়াবারো
চাঁদের বাতাস রাতের মতই
মানসচক্ষে দেখে দশদিক
সাগরের সাথে বয়ে চলে রস, বেদনারও
মৃদু জ্যোৎস্নায় মেঘ সহকারে
ভিজেছে শীতল জল
নদীতে ডুবিয়ে পা মনের অসুখে
বলেছে সবেগে প্রলাপ, ভূতে পাওয়া
বিশ্বাস করে কে আর ধরতে যাবে
কারো কারো বুকে বৃষ্টি হয়েছে অসাড়ে
তবুও আত্মা কাঁপে অরণ্যের
গোরস্থান আর কয়লাখাদানে
আষাঢ়ে শ্রাবণে ভরা বর্ষায়
দিগন্ত থেকে ঠিক চোখে পড়ে...
মৃত্যু অবধি
মুখর প্রকৃতি, এতো আলো শিখরে
তবুও সে একা
সবুজ সরণি দামাল মধুর চাক
সবান্ধবে তারই চোখে দেখা
আমি দেহহীন অন্ধকারের জীব
পাতালে থেকেছি চিরদিন
নিকষ কালো রাতে
বিযুক্তির ঠান্ডা মরামাস
বুকে নিয়ে চলি নিরাধার
মিশকালো রাতে তারকা নয়তো সে
বিন্দু বিন্দু গ্রহের
দিকশূন্য হিমেল গলিঘুঁজি
ওই যে কাটা দাগ
টানা আছে মৃত্যু অবধি
নিদ্রিত আমি,
সঙ্গে ঘুমায় শব...
হলুদ পাতার রঙ
আমরাই খাঁটি
আমাদের প্রকৃত বৃত্তি পোষাকি
তাইতো ভেদাভেদ হীন একমুঠো ভাত
পান্তা অথবা গরম ফোটানো
তাদের জন্য নয়, জেনেছে নরমপন্থী
মাটির পৃথিবী, তার পেটের ভিতরে
অনাবিল সৃষ্টি ও স্থিতি
কেঁদেছে ভেঙেছে বিদ্রোহী মন
জেনেছে তথাপি হলুদ পাতার রঙ
কখনও হবে না গোলাপি...
তীর্থের মাছি
চারদিক দেখে শেষে
ভেসে আছি তীর ঘেঁসে
দুমুঠোয় ঠান্ডা ভেজা বালি
একলা বসে আছি
দুমড়ে মুচড়ে নিজেকে
কয়েকটা বড় রাক্ষসী রজনী
এখনও খুঁজে পায়নি কোন প্রাণী
সাগরের ঢেউ আর
প্রাণঘাতী তীর্থের মাছি
সারাক্ষণ দুই এর মধ্যে টানাটানি...