আলো বৈকল্যে
খোদিত আলোর কাছে এসে ডানা ঝরে পড়ে আজ,
হত পাঁজরে চোরাবালি দিয়ে লেখা কার বিপ্লব?
তিমির বিনাশে প্রতিবাদ করা হোক প্রিয় কাজ,
গাছের স্মৃতিতে কারা রেখে গেছে এত ভাঙা টব?
আজ এই ক্ষমাহীন বৈকল্যে উড়ছে শ্বাপদেরা,
নিশাচর ছোবল শানিয়ে রাখে প্রতিবাদী ঘাড়ে।
শাসকের মদত পেয়ে ধর্ষক আজ জিভ চেরা,
প্রকাশ্যেই বুক ফুলিয়ে বসে থাকে উঁচু পাহাড়ে।
তবে প্রসারিত দ্রোহে চতুর আঁধার সব রাখা,
বিপক্ষ হলেই রাঙা চোখ, বিপদের সীমা নেই।
প্রমাণ লোপাটে ছিঁড়ে শুধু পড়ে থাকে সেই পাখা,
প্রখর চাতুরির ছলে বিচার হারিয়েছে তার খেই।
এত আঁধারে আলো হয়ে আছে বধ্য, বিকৃত, বলি।
সমূহ শোকে আগুন হয়ে জ্বলে যাক দীপাবলী।
লেলিহান হোক
আলোর দিকে উদ্ধত রাখা আছে শাসকের মুঠি,
কালো রাত বিছিয়ে শকুনেরা ফিরে গেছে আড়ালে।
ঠুলি পরানো চোখে পড়ছেই না পক্ষপাতী ত্রুটি,
আজ নিজেকে চেনা যায় নিজে মুখোমুখি দাঁড়ালে?
এত কালি দিকে দিকে, অক্ষরে কাঁপে হত্যার স্বর।
মরা ডালের কিনারে ঝুলে আছে আগামীর শোক।
এত অমানিশা চেটে কারা হয়ে আছে আত্ম-উর্বর?
এত অন্যায়ে কারা আজো হয়ে আছে রাজার লোক!
কাঙ্ক্ষিত নিরাময় নেই, সব আত্ম-সুখের দলে।
জনতা ডুবে আছে লেলিয়ে রাখা চকচকে মোহে।
প্রতিবাদীর গলা টিপে রাখা আছে পেশির বলে-
মৃত নক্ষত্র ছিল বুঝি সে রাত দখলের দ্রোহে।
আগুনের দিকে সাজানো কাঠে চুপ ঈশ্বর হাসে,
লেলিহান হোক খড়্গের ডগা ধর্ষকের বাতাসে।