রক্ত-অভিশাপ
স্তব্ধ হয়ে আছে রাত, কালো বাদুড়ের ওড়াউড়ি
পৃথিবী ঘুমিয়ে গ্যাছে, নির্ঘুম লাঞ্ছনা-ক্ষত নিয়ে
তুমি জেগে আছো শুধু; মৃত্যুও আসবে কাছে–
শীতল স্পর্শ দিতেই শরীরে আগুন জ্বেলে ধরো
ক্রোধান্বিত চারিপাশ, বাদুড়ের ডানা পুড়ে যাবে
অগ্নিদগ্ধ পোড়া ছাই মধ্যরাতে ওড়াবে আকাশ
প্রতিবাদ প্রতিধ্বনি হতে হতে—বাদুড়ের বংশ
নির্বংশ হবেই হবে, এই অভিশাপ দিয়ে গেলে!
রাত্রির আকাশ সাক্ষী দেখে যাক ভোর-জমায়েত
তোমার রক্তের দাগ শোধ নেবে তীব্র প্রতিবাদে!
এসো বাঁচা, এসো শ্বাস!
এসো মৃত্যু, এসো অন্ধ সেই—তমো রাত্রি সর্বনাশ
তোমার ঘৃণ্য ছোঁয়া স্পর্শের ক্ষত যোনিকে কাঁপায়।
পুড়ে গেছি, মরে গেছি, দাহদাহ্য জ্বলনের আত্মঘোর
আমার ধর্ষণ-ছবি সেঁটে দিচ্ছে সংবাদপত্র চ্যানেল
কত না পরীক্ষা হচ্ছে, তবু জট ছাড়েনি তদন্ত জারি
বিচার নির্বাক চেয়ে, শাসানির খড়গহস্ত শিরোধার্য!
এত যে মোহের টান তীব্র বাঁচা আশ্লেষের অগ্নিমন্ত্র
সেখানে ক্ষতের দাগ লিপ্ত; যন্ত্রণার অসহ্য দহন—
তমো রাত্রি সর্বনাশ তুমি এসো, গর্ভের অগ্নি জ্বলছে
দাউ দাউ প্রশ্ন, সামাজিক রাত্রিজাগা প্রতিবাদে ভাসে।
তবু মৃত্যু আসে, লজ্জা আসে, হাহাকার করে মরে বুক
কত না কুমারীকন্যা, গৃহবধূ ধ্বস্ত হচ্ছে বাগানের ধারে।
এসো বাঁচা, এসো শ্বাস, এই রাত্রি শেষ হয়ে সূর্যোদয়!