জলসা-১
আসবি তো?
চেষ্টা করব।
প্লীজ সিরিয়াসলি।
যদি সোনাজ্যেঠিকে রাজী করাতে পারি তো…
আমি বলে দেখব একবার জ্যেঠিকে?
এই না! মাথা খারাপ হয়ে গেল নাকি!
খুব ইচ্ছে করছে, বিশ্বাস কর।
এলেও তুই কিন্তু আমার সঙ্গে কোন কথা বলবি না।
শুধু তোর পাশে এসে বসব।
আর?
গান শুনব লতাকন্ঠীর।
আর?
তোর ওম ফিল করব।
আর?
জোর করে ইচ্ছেদের গলা টিপ ধরব
আর?
খুব চাইব অডিয়েন্সের লাইটগুলো নিভে যাক…
(মেয়েটি আরক্ত হয়ে ওঠে, ছেলেটি আর্ত)
জলসা-২
সব পুজো শেষ হলেও হেমন্তের হিম ঘনিয়ে ওঠেনা
মাচা জলসায় নির্মলেন্দু চৌধুরীর রাত দখল
ওয়েদার চেঞ্জের এ সময়ে চট করে ঠান্ডা লেগে যায়
কিন্তু মাফলারে কানমাথা ঢেকে রাখব তার উপায় আছে!
শ্যামলী এসেছে যে পিসির সঙ্গে, দেখে ফেললে হাসাহাসি হবে
নির্মলেন্দু চৌধুরীর আগুনে পুড়তে থাকে জলসার রাত
আমি শুধু গান দেখি দুচোখভরে
শ্যামলীকে কী আশ্চর্য মোহময়ী লাগে!
একই হিমে ভিজে যাচ্ছি দুজনে দুদিকে
আহা! নির্মলেন্দু, আপনি দেবতা!
জলসা-৩
অতসী কাঁদতে কাঁদতে এসে খবর দিল
“বাবা যেন কেমন করছে”
অথচ জলসা এখন মাঝপথে, স্টেজে কিশোরকন্ঠ জমিয়ে দিয়েছে
কোনক্রমে যোগাড় করা গেল বাপ্পা, লালু আর বিজুকে
চারজনে গিয়ে যখন পৌঁছলাম, সব শেষ
অতসীর সে কান্না কোনদিন ভুলব না
দূর থেকে ভেসে আসছে –“জিন্দগী কে সফর মে গুজর যাতে হ্যায় যো মকাম”
যখন শ্মশানযাত্রা করছি, প্যান্ডেলওয়ালার লোকজন বাঁশ খুলতে এসেছে
এ বছর জলসার ছাপ ব্যাথা হয়ে রয়ে গেল
হরিধ্বনি দিতে কারো স্বর বেরোচ্ছিল না…