ঠান্ডা জাদু
১
শীতের তুকতাক
স্টেশন থেকে সাইকেল চালিয়ে
ভারহীন দেহ টেনে নিয়ে যাই ঘর
চুপিসারে সন্তর্পণে যারা আমায় দেখছে
তাদের বাঁশির কুয়াশা জটিল সুর শোনা যায়
২
দুর্বল পা পথ চিনে বিশ্রী ব্যথায়
অসিতবর্ণ
নীল আগুন ছুঁয়েছে গহন
তাই আধমরা গ্রহণ করে বিপল
আর কী উপায় আছে কোনো
সাঁতারের জন্য প্রস্তুতি নিয়েও
ভেসে যাই আলোকণা হ্রদে
উপচে পড়ে রং-ঢং
বহুকাল দেহ তো মিষ্টিজলে ডুবিয়ে রাখলে
উপরে তাকালে দেখতে পেতে আকাশের শস্য
উচ্চকিত হৃৎপিণ্ড আর রিপু ষড়যন্ত্র
নন্দিত নিশা দুর্যোগ-ঢালতলোয়ার রূপকথা
এ-তল্লাটে এমন অনাসৃষ্টি তুমি ছাড়া আর কার
সোনা মেয়ে আর মৌসুমী বায়ুতে লুকিয়ে থেকো না
ভাসতে থেকো না প্রবাহ ঘূর্ণি ফোয়ারায়
চলো লোকালয় দেখাব তোমায় হাঁটা লাগাই
ধোঁয়াওঠা কারখানা অদৃষ্ট আমাদের
শ্যাওলা ভবিষ্যৎ হলুদ ঘাসজমি
দেখবে চলো একপলক মানুষের কুঁড়ে
অপরিসীম গালগল্প লেপের তলায় নদী
নদীর তলায় পথচারীর ধর্মকৌতুক
সেলে কেনা প্রজাপতি ছাতা
শতাব্দীর শ্বাস ক্রীতদাসের হা-উল্লাস
ছুটি
আন্দাজে কি মৃত সম্পর্ক বলে দেওয়া যায়-
হায় হায় করে এইসব বোঝা,
আমাদের অসুবিধাগুলোকে দেখিয়ে দেয়,
তা দিক, এইসব নিয়েই তো আছো,
ছেঁড়া বস্তা লুটিয়ে পড়ে দিনমজুরের স্বপ্নে,
কৃতকর্মের ফল বিষাদ-পায়রা,
তবু আজ তো রবিবার তুমি শখের রান্না রাঁধবে,
কীটপতঙ্গের ঘুম আজ হারাম হবে,
কান থেকে খুলে পড়বে গান,
এযাবৎ বহু অর্কিড এনেছ জীবনে,
সংকটে জড়িয়ে গেছে আঁচল চাকায়,
তোমাকে বলি সীমান্ত বেশি দূরে নয়,
চলো দেখি শিশিরসিক্ত খেজুর গাছ,
গ্রাম্য পাখিদের উড়োউড়ি,
বোঝাবো তোমায় তমসার ঠাট