দোঁহা

অমিত চক্রবর্তীর কবিতা

 


যে গান কেউ লেখেনি

 

যে গান কেউ লেখেনি, আমিও নয়, তাহাদের সাদৃশ্য নিয়ে

আমি যমুনাকে প্রশ্ন করি – সৃষ্টিছাড়া বালক কি একবার

এইখানে, বল আমাকে তুই মৃদুহাসি যমুনে,

এক হাতে কি তার গুলতি ছিল, অথবা পলকা বাঁশের

বাঁশি নিয়ে সে কিশোর, ভেসে যায়নি তবু

বিষয়ী রাধা? পলক ফেলেন 

স্বপ্নটার শুরু হয়

এইভাবে বোষ্টুমীর গানে, তারপর জটিলতা বাড়ে,

তারপর রোগনির্ণয়, ‘একদিন গেয়ে শোনাবো তোমাকে’

বলে ঝরে যায় প্রাচীন গানের সে নিশ্চয়তা।

 

বসন্তের কামোদি হাওয়ায়


 মোহন বাঁশি নেই বা মাথার মধ্যে অবিরাম বসন্ত,

আমি সুস্থির এখন, গড়ানে ঢালের মানুষ,

খুশি এবং খামখেয়ালি। হৃদয় ভেঙেছে বোধহয়

সামান্য-র সে বিন্দুকথায়

সে চিড় কিন্তু নষ্ট করেনি প্রাচীর।

আপনার কি বয়েস কমছে মশাই?

এ ধরনের প্রক্ষিপ্ত উচ্চারণে হয়তো মানুষ শান্তি পায়,

তাহলে নিশ্চয়ই ঠিক পথে চলছি আমি

অন্তত ভুল তো নয় তার সাহচর্য।

তবে চুমু দাও চরিত্রহীনা, চমৎকৃত হব আজ,

বসন্তের কামোদি হাওয়ায় দেখো চরিত্র উবে যায়,

পড়ে থাকে হঠাতের চৈত্রী প্রণয়, কুর্চি ফুল। 




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন