খোয়াব
তোর মনে আছে কুহেলি ভট্টাচার্য,
রোগা হাত পা, সরু নাক
গাল টিপে কথা বলতে এলেই
তুই কি রাগ করতিস ?
সেই ফাঁকা, টানা ক্লাস
বিকেল চারটের স্তব্ধ ক্যানটিন
আর, পঁচিশে ভাদ্র,
পুজোর ছুটির ঠিক কুড়িদিন
বিচ্ছেদের আঠাস
আর বিয়ের সাতান্ন দিন আগে,
তোকে আমি চুমু খেতে চেয়েছিলাম
রাধাবিরহ
ঠাকুরের কাছে আসলেই তুই কেমন যেন হয়ে যাস বিনোদ,
ওনার চোখ চোখ যেতেই
তোকে আর ধরে রাখা যায় না
আলপনা আঁকা লম্বা মেঝেটায়
গোল হয়ে ঘুরিস, পাক খাস, ভোগ রাঁধিস
শিউলিতলা থেকে ফুল এনে-
'রাধামাধব, রাধামাধব, তোমায় আমি সাজিয়ে দি?' আর চন্দনে-তাম্বুলে সারা ঘর
তখন স্বয়ং শ্রীধাম
প্রতিটা পদে কেঁপে ওঠে স্তুতি
গম গম করে,
চোখে মান
আর কাজলে সারাবেলা জমানো মেঘে,
একে একে ধুয়ে যায় সন্তানস্ত্রীঘর, সংসার
জগতে তুই আর কিছুই বুঝিস না
লোমহীন, ফর্সা গায়ে আলো
বুকের সহজ,
নামা, ওঠা, নামা...
ঠাকুরের পাশে আসলেই, তুই বড়ো নরম হয়ে যাস বিনোদ