দোঁহা

দুর্লভ ঠাকুরের কবিতা

 

 

বাইরে থেকে

হাওয়ায় হাওয়ায় লড়াই হলে,আকাশ
ভেঙে পড়ে সন্তর্পনে। শুরু হয় অলস দুপুরে
হেঁটে চলা। অলস দুপুরে ভালোবাসা,শাদা গাছ
উপঢৌকন সবুজ জড়োয়া সব কিছু দেখে মনে
হয়,সব যেন আমার জন্য রেঁধে রেখেছে কেউ
                     বহুকাল ধরে।

বুকের ভেতর ফুটো তাঁবু, বুকের ওপর ক্লান্ত কমলা চাঁদ
বর্ষায় ঘন ঘন মেঘ মরীচিকা সাজায় বাইরে থেকে
হাওয়ায় হাওয়ায় লড়াই বাঁধলে আকাশ ভেঙে পড়ে
বৃষ্টির জল আসে বাইরে থেকে, ঘরদুয়ার ভিজে যায়।
আমার বুকের মাঝে জেগে ওঠে প্রাচীন গ্রিস,আধ খাওয়া
                     সবুজ আপেল।

আঁচলের খুঁট ধরে গ্রাস করে এক ভয়াল দেহ,যার মাথা
থেকে পা পর্যন্ত টলমল করে,দেওয়াল ভেঙে যায়,কার্নিশ
দিয়ে উঁকি মারে হাওয়া, বাইরে ঝর ওঠে। সারারাত
অতিশয় স্বপ্নে দেখি,বাইরের আকাশে আমার পুরোনো চাঁদ।


আজ পূর্ণিমা
 

বিরক্ত নদীর মতো ক্লান্ত জীবনে,এক মুঠো
পূর্ণিমার আলো আজ আমাদের দরজায় এসে ঘুরে গেল
প্রতিশ্রুতির কথাগুলো জমে যে নিবন্ধ তৈরি হল
আলবোলা হাতের ছোঁয়ায় তা ভাঙতে শুরু করল।
বাগানে সদ্য যৌবনে পা দেওয়া জুঁইগুলো আজ দিশেহারা
হাওয়ার খাতায় তারাভরা আকাশ আজ পূর্ণিমায় নিমজ্জ্বলা
স্মৃতির সরণিতে আজ জ্বরের প্রাদুর্ভাব,আমাদের বিকিয়ে
ফেলে রেখে দেয়- মনে আসে পুরোনো দিনের প্রেমগুলো
আলতো নদীর জলে ভেসে পাওয়া পূর্ণিমার সেই সাঁকোপথে হাঁটাগুলো
আজ আর নেই।

শুধু এইটুকু জেনে রেখো,মানুষ হয়েছে গাছের মতো
জল পেলে সে বড়ো হয়ে ওঠে,আলোর খোঁজে সে উন্মত্ত।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন