খনন
আলোলিকা হৃদয়ের পাশে
সমাধিস্থ হয়ে আছে প্রস্তরযুগ।
উন্মন প্রত্যাশায় নিজেকে যত না খুঁড়েছি
তার চেয়ে অনেক বেশি খুঁড়েছি
ব্যথাতুর সময়ের ঘাস-মাটি-পাথরের বুক,
জীবাশ্ম সরিয়ে সরিয়ে দেখেছি
ঠিক কতটা গোপনে রেখেছি
সেই নিকোটিন-স্পর্শ,
তুমুলে মিশে যাওয়া শরীরী-ঘ্রাণ,
অজন্তার মূর্তির মতো ধ্রুপদী প্রেম
আর গড়িয়ে পড়া অভিমানী গাঢ় হেমলক।
এই খুঁড়তে থাকাটা চলতে থাকে—
চলতেই থাকে...
জীবনভর…
আয়োজন
একদিন আমাদের আসঙ্গ মুহূর্তদের গায়ে
রাভী নদীর জলছাপ ছিল—
জলহীন তটে নুড়িপাথরের ধুলোবালি ছিল—
হরপ্পার চাঁদ ছিল— চাঁদের ফ্রেস্কো ছিল,
উত্তুঙ্গ হাওয়ায় ভেসে গিয়েছিল
সঙ্গোপনী আলাপ ওম-রাত্রি পেরিয়ে
সুদূর আনাতোলিয়ার দিকে।
কিংবদন্তী ঝড় উঠেছিল জ্যোৎস্নার ভিতর
‘নগ্ন মাছের মুদ্রা’য় ভরেছিল প্রাচীন আয়োজন,
বেদুইন বৃষ্টির মতো আলিঙ্গনে হাত রেখে
অরণ্যভোরে আমরা হেঁটেছিলাম
এক মেঘজন্ম থেকে আরেক মেঘজন্মে—
এক সভ্যতা থেকে আরেক সভ্যতায়…
মনে পড়ে—
আমাদের প্রতিটি জন্মেই হংসমিথুন প্রেম ছিল।
