দোঁহা

বিশ্বজিৎ বাউনার কবিতা

 

 

হাসি প্রায়োগিক

ডানা আঞ্চলিক, রোদের আড়ালে নেমে এসে আজ

ঘনীভূত ঘাসের ডগা ছুঁয়ে রাখে তাঁর কৌতুক।
আমাদের পাখি-মন সীমানা ঘেঁষে আঁকে কোলাজ,
আলোড়িত প্রাণের পসরা উপচায় নাব্য সুখ।

সেই তরল জ্ঞানের প্রবণতা আজো দেহ ঘিরে
প্রস্ফুটিত কুসুমের মতো শিরায় নাচে মেজাজ।
হাসি সেই আলো--সমূহ আঁধার ফালাফালা চিরে
চঞ্চল চলার পথে রাখে এগোনোর কাম্য ভাঁজ।

অনুভূতি উপচানো রসে ভাসে যে বাহ্য ঘটনা
তার নতি আঁকড়ে উঠে যায় উদার আগামীরা।
হাসি সেই খনি, দুঃখ তাকে যাই করুক উন্মনা--
মুগ্ধ প্রহরের নীচে মন যেন পায় তার হীরা।

হাসি সেই চির ঔষধি, সব বিষাদের নাশকারী।
আঘাত সয়েও যেন ফুলের মতো হাসতে পারি।



হাস্যরস বহুমাত্রিক
 
রক্তের তলানিতে চাঁদ শুয়ে দেখে সব ভাঁড়ামি,
কাঠুরিয়া সমাজে বিদ্যমান মুখর অসঙ্গতি।
কামনার হরফে গেঁথে হরিণী বধে স্থূল আমি--
অক্ষরের দানায় লুকিয়ে রাখা যুগাতীত ক্ষতি।

অপ্রত্যাশিত বাতাসের নীচে কাঁপে খোসার কাল,
চেতনার ফণা নিয়ে কখনো কি মুখোমুখি বসি?
প্রহসন কতটুকু ভাঙে সেই ভণ্ডের কপাল?
সঙ্গীন রসে ডুবে কাটে সে 'সধবার একাদশী'।

বাহ্য ভঙ্গির বহুধা অভিনয়ে স্নাত সেই বেলা
নিবিড় দৃশ্যে উদ্রেককারী বিদ্রূপের কথা বলা।
বিস্ময়ের শেষে কটু সত্যকে কে করে অবহেলা?
আস্তিক্যবোধের জাগরণে রাখা আছে ছলাকলা।

হাস্যরস তরল পুলকে কাগজের তরবারি ---
হৃদয়ের খাদ জাগিয়ে দিয়ে তার সে হত্যাকারী।























 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন