পিসির কামড়
সনেট নিয়ে লিখতে বসে খাচ্ছি বেজায় ধাক্কা
হঠাৎ করে উল্টে গেল বিনি পিসির ছক্কা
সাপ লুডোতে এখন তিনি 'রানি' বলেই জানি
আমার মাথায় সনেট ঘোরে চাল করি শয়তানি।
বিনি পিসি কানে কালা চোখের নজর রাখতে
আমায় দিল আস্ত কলা খাদ্যে মজে থাকতে
এই অধম কি অতই বোকা, কলার খোসা পিছলে
পড়বে গিয়ে পিসির ঘাড়ে মিছিমিছি, বিটলে!
পিসির এখন বারের ব্রত চালের গুঁড়ো বারণ
অধম বলে, 'খেলব পরে' বাকি আছে জারণ
এই না বলে বেড়ালপায়ে দু'চার মুঠো ভাত
ঢাকনা খুলে সাবুর বাটি, পিসি কুপোকাৎ!
মা চিল্লায় ওরে বাঁদর, রইবে পিসি উপোস?
ভরদুপুরে বন্ধ দোকান করতে হবে আপোস
আমোদ করে রবিবারটি কর্তা খাবেন মাংস
উড়নচণ্ডী ছেলে দেখো করল সবই ধ্বংস
ভাবছি বসে কী করা যায় পেটের ভিতর ছুঁচো
বাবার হাতে বিরাট লাঠি করবে কুচো কুচো
এক্ষুণি যা, বিনি দিদির খাবার কিনে আন
ঘোষের বাড়ি দুধটা পাবি পাশের পাড়ায় পান
দিদি আমার বিনি সুতো পদ্মপাতার মতো
কাঁঠাল আমে নিয়ম রাখে মনের ভিতর ক্ষত
সেই দিদিরই খাদ্য খাওয়া ঘোচালি তুই ছেলে
একটিও মার বাদ যাবে না পিছন দিকে গেলে
ভয়ে ভয়ে জড়োসড়ো পিসির সাথে ধাক্কা
খামচে ধরে পিসি দেখি জুড়েছে বেমক্কা
কান্না কেন করো পিসি, যাচ্ছি ঘোষের বাড়ি
আয়-না খোকন একটু খেলি সাপ লুডুরই গাড়ি
ভাল্লাগে না তোমার সাথে শোনো কানে কম
এর চেয়ে তো সনেট ভালো কবির মতো ঢং
যেই বলেছি বিড়বিড়িয়ে চোখটি নিচু করে
দাঁত চিবিয়ে মা আর পিসি পড়ল আমার ঘাড়ে
ঘাড়ের শিরা উঠল ফুলে বয়স্কদের মতো
তেল মালিশের পাশাপাশি জুটল ঘা কতক
সনেট গেল ভোগের বাড়ি জারণ হল পাঁপড়
এবার ভয়ে দরজা দেব বিনি পিসির কামড়...
লাফিং ক্লাবের গল্প
প্লীহা নিয়ে গেছে কাক
চিল বসে আছে ঘাড়ে
এখন বেজায় অন্ধকার, ঘুটঘুট করছে এ' মন্দিরের সর্বত্র
ভোর হলে মানুষ আসবে
বুকের ভিতর মানুষ ঢুকলে টের পাব খুব
ছেনি হাতুড়ি চালাবে ওরা
মিউসিক থেরাপি দেবে আলগোছে
বিটোফেন বাজবে একদিকে, অন্যদিকে বেহাগের আলাপ
নিস্তব্ধ সব। ঘুমিয়ে পড়ি
নদীর জলে ভেসে যাক বিগত অভিমান
ঘাড়ের ওপর দাঁড় করানো যে অ্যান্টেনা, তার তার জোড়া দিক ডাক্তার
আমি ডাক্তারকে কেদার ভাদুড়ি পড়ে শোনাই বরং...
তুমি ততক্ষণে লাফিংক্লাব হয়ে এসো।
ফেরার সময় হাফ কেজি বেগুন এনো...