ধর্ম
কোথাও পরম্পরার মতো থেকে গেছে
ছায়ার সংসার,ধড়ফড়ে দেহ-সাধ
পড়ন্ত দিনের শব্দ তিক্ত অবসাদ
কাঁকর জ্বলে পালক-ফুলের মেঝেয়
স্তব্ধ ভরাট মহুয়া বিভ্রান্ত নেশার
পাঁকে ডুবে মোহময় বীজ ফোটে পাপে
বিক্ষত টিলার পাশে নিঃস্ব অনুতাপে
নির্বিকার জলস্রোতে পালক প্রসার
মুঠো পাহাড়ের ধারে অরণ্যরেখায়
দুঃখচাটা চোয়ালের ফেনা উঠে শিরে
পতিতার স্তনভূমি পাতাঝরা জলে
ক্ষমার্হ আগল খোলে,নির্জন দেখায়
চকিত , নিস্পন্দ জন্মনাড়ি , ছিন্ন নীড়ে
তিতির পালকে দেবীত্বের ফল ফলে ।
তাহাদের কথা
কোন্ বিভূতির পারে কুহকের নীল ভাঙে ঊরু
বিকেল-সুরভি ওড়ে,গতর-জ্বালায় পূর্ণ দিন
অনিশ্চয়তা মন্ত্রের ছোঁয়াচ এড়িয়ে সে আদিম
দূত আসে , কৃষ্ণ মেঘে অনায়ত্ত শিকারের ভীরু
চোখে খোঁজে ভক্তিজিভ , গোলাপি স্পন্দিত মত্ত অশ্রু
করজোড়ে আলো পড়ে যেন সেই প্রথম প্রাচীন
কম্পমান ক্রুশে ' প্রাণ,ও প্রাণ' মুখ ঘষেছে ক্ষীণ
স্বরে ,চোখে অধীরতা , বাকি সকলই শৈশব-মরু ।
'দূত ছিল সে',ঘুমন্ত গির্জামাঠে আঙুল মটকায়
বজ্র , কলসে গড়ায় অকাল মহুয়া , মৌন কাল
বিবরের জ্যোৎস্না উঁকি মারে অবারিত খেলা ভ'রে
শাল ফুলের অম্লান আলোয় আঙরাখা ভেদ করে
বেচাকেনার ছায়ায় বাড়ে ঝলসানো নষ্ট মহাল
পুণ্যের স্মারক তবু সে নিজেকে খোয়াবে চমকায়
স্বর্গ যেন ঠাঁই করে ঘরে ভাবের বশে কথায়
এসে পড়ে ভ্রান্ত গির্জামাঠ,কল্যাণময়ী সকাল
অবিশ্বাসের চেহারা ফিকির আঁটে বিক্ষিপ্ত লাজে
প্রার্থনা থেকে সুদূরে পরিচয়ের কৌতুক বাজে ।