চিতা
হাতের তালু বেয়ে পরমায়ু খসে যায়
নির্বাপিতের ন্যায় দেখি।
চিতাতে নিজেরই আমি আগুন দিয়ে এসে, স্বপাকে হবিষ্যান্ন খাই।
কেবলই দিয়েছি শুধু আঁচল ছড়িয়ে, অবশেষে হই নতজানু।
করেছি যা কিছু করার—
ধ্যান, মন্ত্র, যোগ, পুজো, যজ্ঞ, আহুতি বহু।
ক্ষয় তো ক্ষয়ে যাক শরীর, মনও যদি না বাঁচে, না বাঁচুক।
হয় যদি শেষ তাই হোক।
আবার আসবো ফিরে, আবার উঠবো।
আর্তনাদ এ তো—নাভিরজ্জু ছিন্ন শিশুর কান্নাসম।
পরাজয় মেনে নিয়ে, অধোমুখে বসে যেতে
আসিনি আমি, তা জেনো।
চোষক
আসে
নেড়ে চেড়ে দেখে চারপাশ
কতটা ঈষৎ গোলাপী আভা, কতটা লাল।
গভীর কতটা—মেপে দেখে দৈর্ঘ্য প্রস্থ।
মলমের প্রলেপের ছলে কতটুকু রক্ত শুষে নেওয়া যায়।
ভাবে,
নেড়ে চেড়ে দেখে চারপাশ।
পুঁজরক্ত বেরোবার আগে
শেষ ফোঁটা জিভ দিয়ে চেটে
চলে যায়।
