দোঁহা

বিবেকানন্দ মণ্ডলের কবিতা

 

 

শব্দবৃক্ষ 

গাছকে কবিতা ভাবতে পারি না আমরা
কবিতাকে গাছ— 

সচ্ছন্দ ডালপালা, পর্ব, পংক্তি, পদ
পত্রমর্মর-দোলা— বাতাসের ব্যঞ্জনা
নেই— নেই পাখিপ্রভাত আলো
বিস্তৃত কবিতাঞ্চল জুড়ে এখন নগরায়ন, বৃক্ষ ধ্বংস… 

মাসহীন কংক্রিটের মতো বাক্যের হাড়গোড়
প্রণয়হীণ শব্দের অবৈধ সহবাস, আঁধার গলি
আত্মপ্রসাধ– ফেউ

কবিতাকে গাছ ভাবতে পারলে কিম্বা গাছকে কবিতা—
শব্দবৃক্ষের মাথায় মেঘ জমে 
পাতায় পাতায় বৃষ্টি নামে আক্ষরিক অর্থে
নিহিতার্থে হৃদয় জুড়ে বন্যা— মন মাতানো ঢেউ। 


আরোগ্য চেয়ে

ঘাড়-কোমরের ব্যথা মুক্ত হতে অষুধ খাই
পেটের ব্যথা বাড়ে– পেটের ব্যথার অষুধে
হৃদয়ের ব্যাধি— অর্থপেডিক-রিউমাটোলজিস্ট-গ্যাস্ট্রোলজিস্ট-হৃদরোগবিশেষজ্ঞ!

আমি আর ক’জনের কাছে গিয়ে বলব– আমাকে ব্যথা নিরাময়ের জন্য বিষ দাও!

মানুষের হৃদয়েই বিষ উৎপন্ন হয়
অজান্তে খেয়ে মানুষ মরে, প্রকৃতি মরে…সভ্যতা…

ব্যথা সয়ে সয়ে শরীর নীল
প্রেম– সে-ও তো দর্শন বিশেষে পাপ!
এত প্রেম দিয়ে তবু এক দেহে এত বিষ
কিভাবে হজম করো গাছ?

আমাকে তোমার বাকলের নীচে নিও
আরোগ্য বুঝি সেখানেই মিলে যাবে।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন