বল লিলি
গার্গীদিরা বেলুন নিয়ে খেলত!
মস্ত মস্ত !
গোলাপী বুদবুদের মতো
হাওয়ায় ভর করে উড়তো
ওরা প্যান্ডেলের সামনের গোটা মাঠ জুড়ে,
লাফিয়ে লাফিয়ে, ডজ দিয়ে দিয়ে
সারা আকাশ আল্পনায় ভরিয়ে দিত।
আল্পনা আর হাসি।
হাসি আর লাফ।
লাফ আর আফসোস।
আমরা ক্যাপ ফাটানো, ভুলে যেতাম
বন্ধুদের সঙ্গে এতদিন পর দেখা, ভুলে যেতাম
তখন সদ্য পরীক্ষা শেষের আলো আর শরৎ
ঠাকুরের বোধন হয়েছে কি হয়নি
তার বীজমন্ত্র উচ্চারিত হয়ে যেত
মাঠের মাঝ বরাবর ...
অনেকটা দূরে প্যান্ডেলের ছায়া ছায়া অন্ধকারে
গোল হয়ে এইচ লেখা কাঠের চেয়ারে
কেউ উল্টো, কেউ সোজা হয়ে বসে
আমরা
আল্পনা আর হাসি। দেখতাম...
হাসি আর চিৎকার। শুনতাম...
লাফ আর আফসোস। গিলতাম...
রুইতন
ক্রমাগত ভাঁজ করে দিচ্ছ তুমি।
তারপর কাঁচি।
কোন গুলো গোল করে কেটে,
পেটের মাঝ বরাবর ত্রিকোণ খুবলে নিলে,
খুলে দিলে সবটা এবার।
বুকের মাঝে বরফি নিয়ে এখন
একটা আস্ত নক্সা হয়ে বাঁচি।
