ঝরে পড়ার ছন্দ
সিন্ধু সারস সিন্ধু ছুঁয়েই খোঁজে রম্যবিলাস
তবুও তৃষ্ণার্ত চোখ বারে বারে
জড়িয়ে ধরে অনাবৃত নীল
মুহুর্মুহু যন্ত্রণা সাপটে ধরে বুকের পালক
মানুষের মতোই আত্মীয় ডানার উষ্ণতায়
মায়াময় ভাষাহীন অভিমান
সকল বিষ্ময়ে জড়িয়ে মানুষের মতো পক্ষী শাবক
একটু জল ছুঁতে গেলে চেপে ধরে বুকের বোতাম
চোরা টানের স্রোত আগলে ঝরা পালক
অনুগত জীবন সেও পোড়ে অবিশ্বাসে
পোড়া পাঁজরের অস্থিরতায় ভেঙে গেছে অন্ত্যমিল
সিন্ধু সারসের চোখের জলের মতো ঝ'রে পড়ার ছন্দ
উন্মোচনের সময় দেখেনি আমি গোত্রহীন
কাগজের বিগ্রহে আমিও সম্ভ্রম শূন্য
আমার উত্তরাধিকার দেখায়নি এখনো সিন্ধু সারস বুক
যতই প্রতিবাদ হোক তুমি মানে একক অচল রাজনীতি
ভালোবাসা মানে কি বোঝে বোধের সংবিধান
অনভ্যস্ত রঙের চালচিত্র
মুখোমুখি বসে আছি আমিও আত্মগ্লানি
গৃহস্থালির সম্পর্ক বোঝাচ্ছে রীতি রেওয়াজ
শিবির হীন এ জীবন ব্যস্ত কুড়োতে
পরিত্যক্ত সময়ের অচ্ছুৎ শব্দভাণ্ডার
নির্জনতা ভেঙে ছিল অজানা পাখির চিৎকার
অজানা চিত্র মালার দিকে চোখ রেখে
কে সে অজানা বিধুমুখী
তর্জনী উঁচু করলে কয়েক হাজার করতালি
তাল বুঝে হস্তরেখা বিদ বদলে দেয় আয়ু রেখা
বড়ো বেকুব বনে গেছে হে এক বিংশতি পৌরুষ
বেমালুম আহ্লাদী সুখ তেজপাতার চায়ের চুমুকে
এ কেমন সাজাও অনভ্যস্ত রঙের চালচিত্র
হাসিমুখে মালা গেঁথো কার্নিভাল কলা কৌশলে
শরীরের ভেতরে একটাই বেআক্কেলে শিরদাঁড়া
বেয়াড়া স্বর্গের সিঁড়ি বাঁধে ছাব্বিশটি কঠিন কশেরুকায়
অর্গ্যানের রীডের মতো জনরীডের উচ্চারণে বলে ফিরে এসো
নীলগর্ভের জলস্তম্ভে এখন অশুভ গরল স্রোত
