১.
সত্যি মিথ্যে আঁকা কল্পনার জগৎ। কখনও সত্যি হবে না জেনেও নিমজ্জিত হতে থাকা। বিষণ্ণতার পরাগ রেণু ছোপ ধরায় ব্যতিক্রমী অস্তিত্বের ভূগোলে। কোনো একদিন অসহ্য অন্ধকার সরে গিয়ে রামধনুর রশ্মি উদ্ভাসিত হবে স্বতঃস্ফূর্ত প্রাণোচ্ছলতায়, এবংবিধ বিশ্বাসে পাকদণ্ডীতে হেঁটে চলা। পথের দু'পাশে ঝুঁজকো হয়ে থাকে বিলীয়মান আবহমানতার ছায়া। আবেগের পাপড়িগুলো ঝরে পড়ে রংজ্বলা চারণভূমি ছাড়িয়ে বেগবান নির্ঝরের গভীরে। মনে পড়ে...কাছে যারা এসেছিলো,যতটা জিজ্ঞাসু ছিল,উত্তরের অপেক্ষায় ততটা নয়। বৃত্ত থেকে এতটা দূরে সরে আসার কথা কি জানা গিয়েছিল আগে? অন্য গোলার্ধের তুলনীয় যাপন মনে হয় মিথ্যা। শিকড়ের জলকণা ধ্রুবসত্যি হয়ে আদ্রতায় ভরিয়ে রাখে মনের অন্দর। বহিরঙ্গে অবিরাম উড়তে থাকে অভিমানী আমিত্বের নশ্বর ভস্মগুলি।
২.
যন্ত্রবৎ, স্থাণুবৎ ...বলো বৎস, কি জন্য এই জীবন? জীবন বয়ে যায় বল্গাহীনতায়,অতর্কিত ঝঞ্জায় উড়ে আসা ঝরা পাতায় ঢেকে যায় ম্রিয়মান মুখ। ডুবতে থাকা সূর্যের মায়া আলোয় সাইকেল ছুটিয়ে যাওয়া, বিম্বিত কিশোরের হাসি এখন স্বপ্ন মনে হয়। যন্ত্রবৎ ,স্থাণুবৎ ... বলো বৎস, কি জন্য এই জীবন ? জীবন বয়ে যায় বনজোৎস্নায়, অঝোর শিশিরপাতের শব্দে কেঁপে যেতে থাকে অসহায়তা। গর্ভ-গোপনে লুকোতে চায় এযাবৎ অর্জিত সমুদয় পরাজয়ের রক্তস্রোত। এলোমেলো কৃতিত্ব দুমড়ানো কাগজের মতো পাক খেয়ে ভেসে যেতে থাকে দ্রুতগামী ট্রেনের জানালায়। বোবাচোখে বসে থাকা টার্মিনাসে। সত্যিই কি স্থানান্তরে যাওয়ার কথা ছিল কোনদিন?
