দোঁহা

নবনীতার কবিতা

  


দীক্ষিত

ঈশ্বর ও ধর্ম আমার মধ্যে
মধ্যযুগীয় কোনো অন্ধত্বের জন্ম দেয়নি কখনো।

ভোরবেলার প্রথম আলোর কণা
সবুজ পাতাটির শিশিরভেজা শরীর ছুঁয়ে
তাকে বিভাময় করে তুললে
আমার মন বলে ওঠে,
"এই তো তোমায় প্রত্যক্ষ করলাম, হে ঈশ্বর!"

ঈশ্বর ও ধর্ম আমার মধ্যে
কখনো জন্ম দেয়নি মধ্যযুগীয় কোনো অন্ধত্ব।

আমার প্রেমিক
প্রগাঢ় আশ্লেষে আমার অধর চুম্বন করলে
স্পর্শের উষ্ণতা
আমায় চিনিয়ে দেয় ধর্মের আদিমতম রূপটি।

ঈশ্বর ও ধর্ম আমার মধ্যে
কখনো কোনো মধ্যযুগীয় অন্ধত্বের জন্ম দেয়নি,
তাই, প্রেমের বীজমন্ত্র
আমরণকালের জন্য দীক্ষিত করেছে আমায়।
                                         
      
উদ্বায়ি

কখনো কখনো রাতের ঘনত্ব বেড়ে গেলে
ছায়া হয়ে ওঠে গাঢ়তর,
তখন অন্ধ কুয়াশায়
অরুন্ধতী নক্ষত্রের আলোও বুঝি বা পথ হারায়।

ধৃতিহোমের পবিত্র কুণ্ডের আগুন নিবু নিবু হয়ে এলে
সপ্তপদীর প্রতিটা পদক্ষেপ
এক পা এক পা করে পিছু হাঁটতে শুরু করে।

ক্রমশ পিছিয়ে যেতে থাকে
এক, দুই, তিন করে সাত সাতটি জন্ম।

উদ্বায়ী কর্পূরের মতোই
বাতাসে মিশে যেতে থাকে সংবেদী যত স্পর্শ।

সেই সব রাতে ঘরে ফেরবার
চেনা পথ-অলি-গলিও অচেনা হয়ে ওঠে,
পূর্বনির্ধারিত গন্তব্যের অভিমুখে চলা
বদলে ফেলে পথিক, আর
কাঁটাতারের সীমারেখা যোজন যোজন বিস্তার বাড়ায়৷
          
 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন