সারাংশ লিখে রাখি
শরীরে জ্বরের চিহ্ন, জলের গভীরে ক্ষত
আলোর অধিক, দেহ মন অঝোর মল্লার
এত গাঢ় সন্ধ্যা নামে পোশাক পরি না আর
উলঙ্গ চরাচর, অসমাপ্ত বাক্য ওড়ে কবরে
চাপা উত্তেজনা অথবা শিকারি - শিকার।
তার মধ্যে দেখেছি তোমাকে। গোপন পথ
পায়ে পায়ে উঠে আসে ঠিকানা প্রস্থান
মেলে দিই পাখা আর যত ফ্যান্টাসি মন
চাঁদ চেনে, চেনে ব্যাকরণ। ঈষৎ মলিন
সারাংশ লিখে রাখি, বাকি চোরা টান।
কে তাকে আদর দিল? আঙুল পিপাসা
জ্বরের গভীরে ক্ষত আবার জড়িয়ে ধরি
প্রিয় মুখ, স্তনভার, কবিতার খাতা-
সারেঙ্গি বেজে ওঠে, প্রেম অর্বাচীন
দুচোখে ঘনায় পাপ, মাদকতা উপর্যুপরি।
একটি স্বপ্নের দৃশ্য
আমাদের দু'জোড়া একাগ্র চোখ
পরস্পরের মাইনাস পাওয়ার পেরিয়ে উপচে পড়ছে
যেন ঢেউ লোভাতুর, হয়তো বা মগ্ন চৈতন্য
লেভেল ক্রসিং পেরিয়ে খুঁজে নিচ্ছে পাটা বুক
বা জোড়া মালভূমি , হয়তো কিছুই খুঁজছে না
এভাবেই ভুল বোঝাবুঝি বা নিরাপদ দূরত্ব
চোখের তারায় গালিব বা চন্দ্রবিন্দু
এভাবেই স্তব্ধতা প্রতিস্তব্ধতা...
চশমা খুলে রেখে সময় দীর্ঘতম চুম্বনে ডুবে যায়।
