অতল জুড়ে যে অজানা সুর
দুয়ার থেকে হিমেল গান
মুছে দিল ঘাম
কাছ থেকে ফিরে আসা অশালীন হতে পারে যদিও কেউ শত্রু নেই। তবুও গেল না
একাকী রাত,
এক একটি মা হারা যুবকীয় শিশির দানা জন্মঋণ রেখে গেছে। শেয়াল এসে গন্ধ নিয়ে গেল
তুই দেখ এ যেন কামধেনু ভোর
ন -মাস গর্ভবতী মাঠ। এ সময়ে ছেড়ে যাস
লজ্জা নেই তোর।
খসে পড়া পালকের ঋণ
একজন নারী অথবা মমতাময়ী নারী ঘরে ঢুকলে,
কোমর পর্যন্ত টানা অন্ধকার সরে গেল
গাছের ফাঁকে নদীগামী বিধবা চাঁদ বেড়ে দিল ভাত জল ভরা। যারা পুরোনো হয়েছে তবুও শুকনো গিরিখাত! কভু পর ভাবিনি...
এতদিনে?
জল গিলে জলের দাগ সর্বাঙ্গে চোখ নামালাম
খাটের দড়িতে যে জীবন বাঁধা অপরাধ তার এইটুকু
আবছায়া অপ্সরারা ডানাহীন উড়ে গেছে দক্ষিণে
কখনো কখনো ছবি দেখে মনটাকে হালকা করেনি
মন হালকা থাকলে জীবন সহজ হয়
জলের মতো হাওয়ার মতো
বিপরীত পাশে কেউ থাকে না যখন
তখন কেউ থাকে
থাকলে থমথমে রাতে একটানা শেয়াল ডাকে
কাঁচা রাস্তার ওপারে ঝোপে জঙ্গলে
আজকাল হটাৎ হটাৎ মন ভালো হয়ে যায় অথচ সেসব ছবি কাউকে দেখাতে নেই।
বিষন্ন মাথা রাখে মানুষেরই কাঁধে
কল্পনা করি, সামনে একটা রাস্তা চলে গেছে।
সম্পূর্ণ সোজা পথ নয়, কিছু অলিগলি লালগোলা স্টেশনে ভদ্রলোক বললেন ' এবার পথই আপনাকে নিয়ে চলে যাবে '
দুঃখের বিষয় এখানে অনেক ঘুরে ও এরকম পথ খোঁজা মুশকিল
যেদিকে তাকাই দু চোখে বিষ
জেগে ওঠে অবিশ্বাস, সন্দেহ
আমার আর বেঁচে ওঠা হয়না।
শিশিরের ছায়া থেকে হেঁটে ফিরে এলে
মৃতদেহের পোড়া ধোঁয়ায় পাণ্ডুলিপিরা পুড়ছে,
তুমিও ডাকোনি আর আমার উদভ্রান্ত বুকে কখনো ঢেউ নামেনি
রোদের চমকে মিথ্যুক ভাবনা
আশকারা শুধু,
আমি ফেলে এসেছি প্রতিশ্রুতিহীন রাত
নৈৱ্যক্তিকতা কি সেদিন চুপ থেকে বলে দেইনি
কোনোও গোপন প্রশ্রয়ের কথা
শরীরের কাটা দাগে তুমি ছুঁয়ে দিলে জলের মতো
যতবার খেই হারিয়েছি তোমার দিকে চেয়েছি সমাধানের পথ,
প্রদীপের একশিরে আলোয় আজও নকশিকাঁথা বোনা হয় তাই।
