দোঁহা

শঙ্খশুভ্র পাত্রের কবিতা

 কথামুখ

কথামুখ, অভিপ্রায়— সে-ও নাকি লতার অধিক৷
সফলতা, তুমি যে নিরব, নীর, অনুচ্ছ্বাস, ব্রত...
এত দিন পরে দিঘি—ছায়াচ্ছন্ন, অভিমানাহত
মনকে শেখাও নীড়, সুনিবিড়, অপেক্ষার দিক৷

গুরু দিনে শুভ-চিন্তা, ফের লঘু, ঘুলঘুলি জাগে৷
বুলবুলি— সে আমার নিত্যদিন, অন্যমন, শিখা...
উহ্য থাক সবকিছু, পৃষ্ঠা জুড়ে ঢের কুজ্ঝটিকা
তোমাকে লিখিতে পারি যথাবিন্দু যে-রকম আগে!

অসমাপ্ত, সপ্তসিন্ধু— অনাদরে ভাদ্র প্রায় শেষ৷
মাঝে-মধ্যে কথা আলো৷ কেন হবে স্বপ্ন অন্তরায়!
দিকে-দিকে জলছবি... সাদা মেঘ, কাশের মায়ায়
অবকাশ ডুবে থাকে— তুমি হলে কবিতার দেশ৷

আভূমি-অক্ষর, সখ্য— কথামুখ, লতা-অভিপ্রায়৷
তোমাকে জড়িয়ে বাঁচি— একা-একা বিষণ্ন হাওয়ায়...


এই ভোর

এই  ভোর যথাব্রত— আবার নতুন করে শুরু৷
সর্বপল্লি, গর্ব হয়৷ তুমি তো শ্রীময়ী, সেই রাধা...
কৃষ্ণন ভাবলে মন, অঙ্কুরিত, বুক দুরু দুরু—
সহাস্যে এগিয়ে যাব৷ গোপনে আপন হোক বাধা৷

তার পর যথাআজ্ঞা, নির্নিমেষ, স্পর্শাতুর শ্বাস
হাঁসেরে চেনাও— বাস, জলবিন্দু, স্রোতে ঝিকিমিকি
মাধবী ভাসিয়া যায়— আমি তার কত টুকু লিখি৷
সমস্ত অক্ষর, সে কি অস্তরাগে মরমি, উদাস!

এই ভোর যথাব্রত— আবার নতুন করে শুরু
তত দিনই সত্য প্রেম— যত দিন বুক দুরু দুরু

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন