জন্মদিনে
প্রখর তিক্ত ঋতু, অবেলাসম্ভব
তোমাকেই মনে পড়ে শীতলপাটি মন,
এবং জলের মতো ধারা অবিরল
তোমার জন্মদিনে হোক ঝর্ণা উদযাপন।
যেহেতু শ্বাসধ্বনি স্বাক্ষী থাকা ঘর,
পাহারা ছিল জানলা আর প্রিয় রাস্তা-মোড়,
আমাদের পাড়া ছিল কুহক মঞ্জরী
ভাতের গন্ধে বিকেল হয়, শূন্যতায় ভোর।
শুশ্রুষার জন্য তবু ফিরে ফিরে আসা,
জেনে গেছে জন্মদিন এই সব কথা,
এর চেয়ে দীর্ঘ নয় অশান্তির রাত
আমাদের দেখা হোক অক্ষরে, ব্যথায়
অলক্ষ্যগোচর
১.
যেন এই মাত্র রোদে শুকোতে দেওয়া কুল চুরি করে সিঁড়ি দিয়ে নেমে এসেছো, এমনভাবে হেসে তুমি যখন সামনে বসলে, আমার পুরনো পাড়ার কথা মনে পড়ে গেল। সেই মালির মাঠ, দোলমঞ্চ আর ঝুলন পূর্ণিমার মাঠে ভুতের গল্প! আমাদের মধ্যে হারিয়ে যাওয়া সময় উড়তে থাকল চঞ্চল। আমাদের মধ্যে এসে বাঁশি বাজিয়ে গেল কোন কানহাইয়া কৃষ্ণ? কোন সে রেফারি? ভুতে পাওয়া দুপুর জানে এ সব অলক্ষ্যগোচর
২.
ঝাড় খেলে তোমার মুখ সামনে আসে। অফিসের ডেস্কে, মাতাল তরণীতে, অপদার্থতায়, অপমানে। সেই মুখের কাছে মায়ের মতো আলো। সেই মুখের কাছে স্মৃতির বিদ্যুৎ জমকালো। শেষ হয়ে আসছে রোদ, বারান্দার ওপারের পলাশ ছুটি নেবে এবার। শেষ সাইকেল ঘন্টি বাজিয়ে চলে গেল অনন্তের দিকে। যাপন গরলের পাত্রটুকু নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছি সেই কখন থেকে। তিনি যদি ভিক্ষা নিতে আসেন আমার দ্বারে..
৩.
মেলার মাঠে হারিয়ে ফেলার মতো করে বারবার খুঁজেছি জীবন। খুঁজেছি তোমার পোশাকের রং। ঘোষকের কন্ঠে নিরুদ্দেশ সংবাদ শুনে ভেসে গিয়ে সুপুরুষ ভিড়ে তোমাকে খুঁজেছি অবলম্বনহীন গুল্মের মতো। তোমার ব্যস্ততার পরিসর খুঁড়ে তখন তৈরি হচ্ছে একটি পুন্যপুকুর। সেখানে সন্তরণশীল লাল নীল মাছেদের কাছে আমি পৌঁছসংবাদটুকু রেখে আসি
খুব, খুব ভালো লাগল
উত্তরমুছুনবেশ ভাল লাগল প্রতিটি কবিতাই । অশেষ শুভেচ্ছা জানবেন অগ্নি রায় ...
উত্তরমুছুন