নির্বাসন
আরও কয়েকটা টুকরো টুকরো চিঠি খুঁজে পাওয়া গেছে ।
নীল কালিতে ঈষৎ দুমড়ে-মুচকে যাওয়া অক্ষর সমূহের বাঁকে
মানুষের ভাষা কতটা দুরূহ হয়ে পরে বুঝি।
বুঝি, পাহাড় কেন এত বছরেও সরেনি
বুঝি, দেখা হওয়ার ভিতর আজও কোনো গভীরতা নেই
একই অক্ষরেখার উপর মানুষজন
দিন-দিন একই কথা, একই সঙ্গীত শুনে চলেছে।
কিংবা মানুষের প্রতিবাদ একটা দেশলাই সমান আগুন।
মৃত্যু নিয়ে না বলাই উচিৎ এখানে
কেননা একদিন গাছেদের কান্না প্রতিটি রেডিও চ্যানেলে বাজানো হবে,
পাহাড়ের বুকে ঠিক এইখানে বিচারসভার আয়োজক সরাসরি খাদে ফেলে দেবে খুনীদের।
আমার তো মনে হয় সবকিছু সরিয়ে রেখে
চিঠিগুলোকেই সকাল-বিকেল উপাসনা করা উচিৎ।
শুনুন বন্ধুগণ,
আপনারা আজ এখন থেকে
নির্বাসনে যাওয়ার জন্য একটু একটু করে প্রস্তুতি নিন,
কেউ কেউ নির্বাসনমুক্ত হতেও পারেন...
তিন-তিনবার ঘুম ভেঙে
এখন এই রাতে তিন তিনবার ঘুম ভাঙল আর প্রত্যেকবার ভাবছি সকাল হল কিংবা বেরিয়ে গেল ভোরের ট্রেন চৌকানো ঘরের ভিতর আরো একটি চৌকানো জানলায় তাকিয়ে দেখছি কেউ ওঠেনি কেউ ভুল করেনি যা আমি সাবলীলভাবে করে চলেছি কী নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে আছে শিশুরা পাখিরা গাছেরা অযথা তিন তিনবার উঠে বিঘ্ন ঘটল আর ততোধিক হর্ন বাজিয়ে আপাতশান্ত একটি রাত্রিকে অস্বস্তিতে ফেললাম...