১.
এসব কি সব কবিই জানে?
কিংবা লেখার অগোছালো, জটিল সরল ভাব,
ছন্দ, মাত্রা, ওলটপালট, অভ্যেস
সব বাদ -
মাতাল শব্দ, কবির গানে রাত শেষ হয় ভোর,
ভাঙন কবি, মেঘের মাঝে বৃষ্টি নামে জোর।
ভাঙছে কবি, এক, দুই, তিন, কাব্যে আঁকা সিঁড়ি,
পাগলামি আর ভণ্ডামি সব কবির নামেই ছবি।
অলস দুপুর, মনখারাপী, দূরের মহুল বন -
রাস্তা বাঁকেই দুই জোড়া মন আলাপ করে বলে -
থমকে থাকে সময় সেদিন কবির কাগজ জানে।
অথৈ জলে, পাহাড় নীলে, ভেসে আসা মুঠো ফোনে,
কারা, কোথায়, কেমনভাবে খারাপ ভালো বলতে থাকে -
এমন মানে কেবল কেন কবিই জানে ?
এমন মানে জেনো শুধু কবি ই জানে।
২.
যুদ্ধ হবেই -
পাহাড়, মেঘে, সমতলে, উঠোন শেষে, নদীর চরে,
উড়বে বারুদ, আগুন জ্বেলে ফিসফিসিয়ে সূর্য যখন পাথর ভাঙে,
মিছিল, গানে, রাস্তা জুড়ে, যুদ্ধ যখন এখন তখন,
জানবে সবাই যুদ্ধ মানেই মনের টানে কোথাও যেন ভালোবাসার নিশান ওড়ে।
যুদ্ধ হতোই...
এই পৃথিবীর হাজার বছর, এক লহমার ধ্বংসাবশেষ,
সভ্য মানুষ, সমাজবদ্ধ, এক এক ক্ষণের গভীর তত্ত্ব,
ধুলোয় মিশে, ফিরছে আবার, উড়ুক্কু সব, হাওয়ায় ভাসা।
রঙের প্যালট, 'তুমি'র জন্য যুদ্ধ হবেই।
যুদ্ধে নেমো।