দোঁহা

নীতির কবিতা

  



তোমার বান্ধবীদের মতো 

তোমার বান্ধবীদের দেখে দম আটকে আসে আমার ঘনঘন গায়ের উপর। পায়ের কাছে। শরীরে লু বয়। দাউদাউ আগুন শব্দ! শিরা উপশিরা ছিঁড়ে ছিঁড়ে পড়তে থাকে শব! আসমুদ্রহিমাচল ঘুরে যায়। জ্যামিতি বক্সের কম্পাস হারিয়ে যায়। চেনা কিছুই চেনা থাকে না আর। জীবনের অঙ্করা শেষে এসে ঘুপচি হয়ে যায় কেন? লোভী! অন্ধকার! স্যাঁতসেঁতে! তোমার বান্ধবীদের মতো। যাদের দেখে দম আটকে আসে আমার!

 

স্যারিডন

নারকেল পাতার ফাঁক দিয়ে ওর বাড়িটা দেখা যায়। পায়ে হেঁটে একটুখানি। দুপুরে পাবদা মাছের ঝোল, দই রুই বাটি চালাচালি হয়। মাদুর পেতে ছাদে পা ছড়িয়ে দিই। কাউকে মনে পড়লে কতটা পড়তে পারে ভাবি! খবরের কাগজ উল্টো ধরি। আনমনা হয়ে বসে থাকি ঠায়। পোষা হুলোটা কোলে এসে শুয়ে পড়ে। বাড়ির ল্যান্ডলাইনে খবর আসে, ছোট পিসির নাতনি হয়েছে। সোনার চেন, কাঁসার থালা আরও কত কী যাবে উপহারে। আমার কোনওকিছুতে বিশেষ আগ্রহ নেই। ওকে ভাবি! ভাবতে ভালোলাগে। ভাবতে ভাবতে নারকেল পাতার ফাঁক দিয়ে দেখি ও ছাদে উঠেছে। বুকের ধুকধুকানি রাজধানী এক্সপ্রেসের মতো দ্রূত দৌড়য়। পরপর স্টেশন চলে যায়, কোত্থাও দাঁড়ায় না। একটা অচেনা অজানা ভাঙাচোরা রাতে হঠাৎ থমকে যাবে বলে! একা। নীরবে। ততক্ষণে মাথা যন্ত্রণায় ফেটে পড়েছে চতুর্দিক। ও আসে। নারকেল পাতার ফাঁক দিয়ে মুখটা কাটা দেখায়। অল্প রোদ পড়েছে, চাঁদের। জোয়ার চলছে। জোছনায় ঘিরে ধরেছে আমাকে! যত অপরাধবোধ সব একদিনে তাগাদা দিচ্ছে, আজই। সরে যাও ব্যথা। ভুলে যাব সব অভিমান। ও হাত রাখল কপালে! চোখ বুজে এ কথা ভাবতে ভাবতে সব যন্ত্রণা সেরে যায়। মাথা থেকে মধ্যরাতের...

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন