সেদিন সর্বনাশ
অসময়ে হঠাৎ বৃষ্টি হলে ভেসে যায় হাতানিয়া দোয়ানিয়া নদী
ছাপোষা মধ্যবিত্ত সংসারে ভীষণ কলরোল, তবু
স্থির হতে পারি না।
পাশের ঘরে মধ্যরাতে যৌবন বন্ধক রেখে
যারা ঘুমাবে ভেবেছিল
চুপি চুপি দরোজা খুলে বলে ওঠে -
মধ্যরাতে নদীর পাড়ে ছৌ নাচ!
আত্মহত্যার উদ্দেশ্য নেই তো হে!
ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায়
একান্ত সংগোপনে একটি চমৎকারের ভিতর
লিখেছিলে, যদিদং হৃদয়ং -
তদিদং মম বলার পর
রোদেরা ছদ্মনামে মেঘ হয়ে যায়।
ক্রমশ রাত প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে উঠলে
তুমুল কলোরলে নির্লজ্জ নদী চাঁদের পাশে বসে
অদ্ভুত ঘুমের ভেতর মাঝি দাঁড় বায়।
জোনাকি নেভে জ্বলে। সাথে ছেঁড়া ছেঁড়া লোভ।
চরাচর জুড়ে চুম্বনের গন্ধে মনখারাপ মাখামাখি;
বাতাসে ভেসে আসা দু'এক কলি রবীন্দ্রনাথ
নিঃস্ব করে বলে যায়, "ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায় ..."
তবুও কেন যে নিশাচরের ডানায় টলটল করে বাইশে শ্রাবণের শোক!
চন্দ্রানীর কবিতা প্রকৃত অর্থে বোধের উৎসব! কারণ যে উপকরণে কবি সাজিয়ে তোলেন অমর্ত্য চালচিত্র, সমকালীন বাংলা কবিতায় তা সচরাচর নয়। অথচ প্রাণিত মূর্ছনার ছলাৎ ছল একটুও অপ্রকাশ্য থাকেনা। এ এক আশ্চর্য বিধুরতা, এ এক অলীক চৈতন্য নিভৃতি - যার কাছে আমাদের সব দেওয়া-নেওয়া ফুরিয়ে আসে, সব হিসেব-নিকেশ অর্থহীন হয়ে পড়ে...যেন এক আত্মস্থ গুনগুনে কবি জাগিয়ে তোলেন সব ঘুমন্ত সংবেদগুলি...এরপর ঘোর, অপরিমেয় ঘোরের রূপকথা...
উত্তরমুছুন