![]() |
প্রচ্ছদ পরিকল্পনা: শর্মিলী মোস্তফী |
সব্যসাচী মজুমদার
ডিসটোপিয়া যত গভীরে ছড়ায়, কিংবা সমস্পর্শী বাস্তব বিমর্ষ করে তুললে অত্যন্ত স্বাভাবিক কারণেই মানুষ 'অপর-বাস্তব'-এর সন্ধান করে। পাঠক, লেখকের যৌথ মিথষ্ক্রিয়াতেও ঘটে চলে এই সন্ধান। যে অর্থনৈতিক বাবলে আমরা বাস করছি তার বিকল্প নান্দনিকতার সন্ধান কী বাংলা আখ্যানবিশ্ব করেনি! ত্রৈলোক্যনাথ থেকে মানিক তারাশঙ্কর বিভূতিভূষণ বেয়ে অতীন স্বপ্নময় কিংবা রবিশংকর প্রমুখের বিবিধ লেখাতেই অপর বাস্তবের ছাপ পড়েছে। আর বাংলা কবিতা অনিবার দিয়ে চলেছে ইঙ্গিত। একটি প্রতিস্ফিয়ার নির্মাণের ইঙ্গিত।
আপাতত যে তিনটি কাব্য এই পাঠককে সেই ইঙ্গিতে তাড়িত করেছে তাদের পাঠকালিন অভিজ্ঞতা জানাবো। দেখা যাক কিভাবে নিরাপত্তা কেড়ে নেয় বাংলা কবিতা।
'ভূমা' তমোঘ্ন মুখোপাধ্যায় রচিত বহুচর্চিত পুস্তিকা। এরকম চর্চা কোনও তরুণের প্রথম বইকে কেন্দ্র করে অতিসাম্প্রতিকে হয়েছে বলে তো মনে পড়ছে না।অতিবিদগ্ধের মতামত গ্রন্থকে ইতিমধ্যেই ঋদ্ধ করেছে। এরপরেও আমার কী লেখার থাকে অতিরিক্ত - এই প্রশ্নই সমস্যার সম্মুখীন করে দিয়েছিল,
"সনাতন জলে শস্য, ক্ষেত, কৃষি সমস্ত ভাসিয়ে
ব্যাধের জীবন নিয়ে গার্হস্থ্য পালনে দূরে যাবে।"(১)
বিস্ময়ে লক্ষ্য করি এক সনাতন প্রজ্ঞার প্রতিনির্মাণ হচ্ছে। কৌমের ত্রুটি ধরা পড়ে যায় তরুণের চোখে। কী নিশ্চিত ভঙ্গিমায় সে তার অবস্হানের প্রেক্ষা বদল করে সম্পূর্ণ নতুন অবস্হান থেকে বলে
"তোমার কিরাত পুত্র সারারাত বাণ ছুঁড়ে ছুঁড়ে
অজস্র জন্তুর সঙ্গে তোমাকেও মারুক, পুরুষ।"(১)
তমোঘ্ন জানেন তিনি কী বলতে চান। অনিত্যের ভঙ্গিমায় স্পষ্ট করে দিতে চান তাঁর প্রেক্ষণ ভঙ্গি। আর স্বতঃস্ফূর্ত উচ্চারণে ফুটে ওঠে একটা সম্পূর্ণ নতুন ভাষাপ্রতিমা
"শ্রমণের বেশ ধরে ভিক্ষাবৃত্তি মাথায় তুলেছে
যে-আমি বিপক্ষে খেলি, তার প্রান্তে অস্ত্র লহু মাখে।
নৌকো ভেসে যায়। ঘোড়া কাটা পড়ে। ওপরে শকুন।
লাশের বিকট গন্ধে সারা পরিবার নিয়ে ওড়ে।"(৬)
একটা ডিসটোপিয়ার জি সময়ে দাঁড়িয়ে তমোঘ্ন লেখা শুরু করেছেন। দুহাজার উনিশ থেকে দুহাজার বাইশ পর্যন্ত মানে ভারতে ফোর জি ছড়িয়ে পড়ার সময়টাতে দ্রুত, অতিদ্রুত মানুষের কিছু মৌলিক অভ্যাসের পরিবর্তন ঘটেছে। আরও তাৎপর্যপূর্ণ যে এই সময়ের শিশুরা এমন কিছু অভ্যাস নিয়ে গড়ে উঠছে যারা আগের প্রজন্মের সঙ্গে একটা বিপুল দূরত্ব তৈরি করে দিচ্ছে। এই সংশয় ও সম্ভাবনাময় দ্বন্দ্বের কালে দাঁড়িয়ে তমোঘ্ন বেছে নিচ্ছেন পুরান ও লোকযানের প্রতিনির্মাণে এমন একটা বাবল যার মধ্যে রয়েছে কাফকা রঙের আকাশ ও তীব্র জেনোসাইড শেষে পড়ে থাকা ক্যাথারসিসটুকু। এটুকুই তো 'ফড়িঙের ঘন শিহরণ'
"নিমেষে কোপাতে হয় যে-পশু দর্পণে ভেসে ওঠে।
কাটা মুণ্ড শেষবার হা-ক্লান্ত দু'চোখ মেলে দ্যাখে -
চার পা ছড়িয়ে ধড় মিশে গেল নরকের মেদে।"(১১)
ভরসার কথা, তমোঘ্ন মুখোপাধ্যায় বাংলা কবিতার মূল স্রোতের প্রবাহ বজায় রেখে তার শক্তিপূরণের জন্য এসেছেন বোঝা যায় তাঁর নির্মাণ কৌশলে। লক্ষ্য করুন প্রাজ্ঞ, সদ্য উল্লেখিত পংক্তিত্রয়ের দ্বিতীয়টিতে অনায়াসে 'মুণ্ডু' ব্যবহার করে তিনি ক্লান্তির ভার কমাননি বয়সোচিত প্রগলভতার তাড়নায়। অথচ চলতি ও চলিতকে ব্যবহার করেছেন অন্যত্র নিপুণ অবকাশে
"আমাদের জ্ঞাতি-গুষ্টি গায়
মাংসের নিক্কন শোনো। কাঁঠাল পাতার স্বাদ মুখে।"
পূর্বেই বলেছি তমোঘ্ন দেখতে পারেন শেষ পর্যন্ত। অনেকটা বিস্তারিত তাঁর দেখা। কাজেই সুনিশ্চিত করে তোলেন তাঁর প্রতিটি আরোহন-অবরোহনের সা থেকে নি। আপনি এ পুস্তিকায় একটা সুরের চকিত বিস্তার দেখবেন নিশ্চিত। যেন দীপক ধীরে ধীরে ইমন হয়ে যায়।
'ভূমা' এই সময়কালের একটি অনিবার্য গ্রন্থ। নির্মাণ আর সৃষ্টির তর্ক মিটিয়ে একটা পরিপূর্ণ কাব্যের আস্বাদ এই পুস্তিকা বলেই আলোচকের বিশ্বাস। নতুন যুবকের এই কাব্য স্পর্ধার কাছে আলোচক দীর্ঘদিন বিবিধ বাঁকের জলে ভেসে যাবে - এই আশায় পড়ে ফেলতেই পারেন।
"জেগে থাকো মা আমার; খসে গেছে স্নেহের আরক।
ভাই-বন্ধু জ্বলে। ধায়, গর্ভ ধায় পোড়া মাংস খেতে।
জেগে থাকো মাতৃঘ্রাণ; নাসাপথে চিতাগন্ধ ঢোকে..." (২১)
মোট চারটি ভাগে অন্তর চক্রবর্তী ভাগ করেছেন তাঁর 'অবলীলায় শিশু উদ্যান' নামক পুস্তিকাটিকে - সন্ধ্যে নিকোনো আটচালা, পাতার গরাদ থেকে, তেপান্তরের মেয়েরা আর অবলীলা শিশু উদ্যান।
পাঠক, আপনি অন্তর চক্রবর্তীর কবিতার সঙ্গে যদি পরিচিত না হয়ে থাকেন, একটা কথা বলতেই পারি তাহলে আপনাকে, একটা সরল অল্টার পাবেন ওর কবিতায়। ঈষৎ সান্দ্র ও প্রধানত মেদুর শব্দ ব্যবহার করে অন্তর পৌঁছতে চায় এমন এক প্রতিমায় যার প্রত্ন সে নিজেই তৈরি করে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় জারিত থাকে। এই কবির তৈরি ছবি একটি উপান্তে দাঁড় করিয়ে অপর উপান্তের সন্ধানে ঠেলে দেয়,
"শুনেছি
একবার সারা বর্ষায়
আমার কবিতা পাগল বাবা
মাকে একটা চুমুও খায়নি" (নাকফুল)
ঈষৎ মফস্বলের জড়তা, সঙ্গে আবেগের তাড়নায় তৈরি হওয়া সহজ দৃশ্যগুলিই এ কাব্যের চুম্বক। অন্তর প্যাস্টোরাল।ক্যাওজের বনামে দাঁড়িয়ে তৈরি করেছে তার একান্ত মফস্বলের স্ফিয়ার -
"কে বলেছে
ভোগ রান্না হয়নি?
কী সুন্দর
জ্যোৎস্না বেড়ে
লক্ষ্মীর হাতে তুলে দিলেন মনসিজ!" (কোজাগরী)
আপনি সবিস্ময়ে লক্ষ্য করতে পারছেন যে একই সময় খণ্ডে, একই প্রজন্মের দুই তরুণ তাঁদের প্রথম কাব্য লিখছেন সম্পূর্ণ দুই বিপরীতমুখী প্রবণতা নিয়ে। তমোঘ্নের কারু ও শব্দের পিনদ্ধতার সঙ্গে তুলানাত্মকতা তৈরি করে অন্তরের প্যাস্টোরালিটি। আপনার বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস সন্ধান করলেই দেখবেন মধ্যযুগ থেকেই এই বৈচিত্র্য বাংলা কবিতার চুম্বক। এই সার্কাসটিক, ক্যাওটিক সময়কে একপ্রকার স্পর্ধা দেখিয়েই অন্তর অল্টার করছেন তাঁর পরিতোষ সেনপম ছবিগুলো দিয়ে,
"ডিম সেদ্ধ পেলে আর কিছুই চাইতাম না আমরা। বাইরে তুলতুলে সাদা জমি। লাঙলের মতো দাঁত চালিয়ে দিলেই ম্যাজিক।" (খিদে ও মেলার পাঁচালী)
ছোট্ট ছোট্ট খণ্ড চিত্রে এ কাব্যে অন্তর আসলে তার কাঙ্খিত পৃথিবী তৈরি করেছে। একটা অপর বাস্তব। বিশাল প্রেক্ষিত নয় তার। অত্যন্ত নিপুণ একটি বেড়া বেঁধে তিনি সুরক্ষিত করেন তাঁর উঠোন। যেখানে পিঁড়ি পেতে গল্প করে দুই সই, মা বাবা আর অজস্র পাখি। নখে তাদের তখনও শিশির লেগে। অন্তর নিভৃত পথের আশেপাশে লিখে রাখে
"তুষার-মুলুকে আপাতত দেখা মিলেছে পুড়ে খাক হওয়া দুজনের। কেবল বরফ খুঁটতে একজন। অন্যজন খুঁটছে বরফে ঢাকা একটি গাছ।" (অভ্যাস ২)
এই ছোটো ছোটো দৃশ্য গুলোকে একটা উপাদান বলে ধরা যাক। এগুলো জুড়ে জুড়ে তৈরি হচ্ছে একজন বিমর্ষ মানুষের অবয়ব। তার মধ্যে রয়ে গেছে পাঠস্মৃতি, রয়ে গেছে পাঠবিনির্মাণের তাগিদ। যা কিছু ঘটে চলেছে তার সঙ্গে বিশেষ আলাপ না রেখে নিরত গড়ে চলেছেন একটা নিজস্ব স্ফিয়ার। যেন নিশ্চিত কবি, সমস্ত ক্যাওজ-ক্লান্ত মানুষকে তার শিশু উদ্যানে আসতেই হবে। বেড়া বাঁধার কাজটা করে চলেছেন অন্তর অবলীলায়,
"হৃদিরা মাথুর হলে সরোবর মৃদু ব্রজঠাঁই,
মেঘযান ভেবে দাদা চাঁদজলে এগিয়েছে ঢেউ
খেয়াজাতকেরা যেন পাতালে এলিয়ে রাখা রাত
আকাশডুবির পরে ভেসে ওঠে মনোরথ ভোর"
আর এর পর থেকেই বলার জন্য যেন তৈরি ছিল পূর্বেই সাম্য রাইয়ান। বাংলা কবিতা লিখতে যারা দুহাজার দশ পরবর্তী সময়ে এসেছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম শক্তিশালী তরুণ সাম্য তার বই 'লিখিত রাত্রি'তে গড়ে তুলতে চেয়েছে একটা দৃঢ় ও তীব্র গতিময় অবস্হান। একজন কুশলী গায়ক যেন বিস্তারে ক্রমশঃ ব্যপ্ত হয়ে চলেছেন, এমন ভঙ্গিতে সাম্য লেখেন,
"ভূগোল ক্লাসের স্মৃতি ভুলে গেছি তমোগুণে! মধ্যরাতে
কিচ্ছু মনে পড়ছে না কোনও মতে, যেন স্মৃতিখণ্ড জমা নেই
কোথাও; নির্জনে ডাহুক ডাকে নাই বুঝি সারাংশ সমেত।" (এক)
সবিস্ময়ে লক্ষ্য করি সুর ও শব্দের নিপুণ যোজনা তরুণকে দিয়ে 'নাই' শব্দটি ব্যবহার করিয়ে নিল। একটি'ই'-এর ওপর ভর করে থরথর করে উঠলো সমস্ত হাহাকার
"...মৃত শরীরের স্মৃতিবাহী
সকল জাহাজ জেগে উঠুক মানুষ মেশিনের
অযৌন শিঁরদাঁড়ায় টিক টিক ঘণ্টা শব্দ হয়ে।"(তিন)
পাঠক, বাংলা কবিতার আরেকটা কারুবাসনা আপনার সামনে জেগে উঠছে। লক্ষ্য করতেই পারছেন তীব্র হয়ে উঠেছে ভাষা, উক্তি সরাসরি বিদ্ধ করছে আপনাকে। কথা বলছে পাঠকের সঙ্গে,
"সাপের ঝাঁপির মতো যে ঘরটিতে আমি থাকি
তার পশ্চিমে একটা আকাশমুখী জানলা আছে।
ঘরের একমাত্র যাত্রী হিসেবে আমি প্রতিদিন
সেই জানলা দিয়ে জিরাফের মতো গলা বার করি।"(নয়)
ঘরের একমাত্র যাত্রী আর জিরাফ'টি যে গলা বার করছে আমাদের পাঠস্মৃতির এবং স্মৃতি বিশ্বাসের বিনির্মাণ করে।যাত্রী, জিরাফ আর ঘর-তিনটি মৌলিক প্রেক্ষণবিন্দু্ পরষ্পরের সঙ্গে অবস্হান বিনিময় করে আসলে আমাদের পাঠষ্ক্রিয়ায় যে ছবিটা গড়ে তুলছে তার দেখার জন্য আমরা হয়তো প্রস্তুত ছিলাম না।
সাম্যের কবিতা রোমান্টিক অবসেশন থেকে বেরিয়ে রোমান্টিক রিয়ালিটির বিভিন্ন পরিক্রমাকে তুলে ধরে বলে মনে হয়। অন্ততঃ ছাপ্পান্নটি ছোটো কবিতায় নির্মীত বর্তমান কাব্যটি নিঃসন্দেহে এই প্রতীতির সাক্ষ্য দেবে,
"...দেখছি ডানাঅলা এক
মাথার আকাশে সুর তুলে উড়ছে।"(একত্রিশ)
বাস্তবের বিবিধ রূপ তৈরি হতে থাকে আর আমরা দেখি যাদু, অপর বাস্তবের তীব্র নিখাদে বেজে ওঠার বাসনা। একই পরম্পরায় রচিত শিরোনামহীন কবিতাগুলো নিঃসন্দেহে একটা নতুন অতিক্রমের দিকে নিয়ে যায়।
এই তিনটি কাব্যের সঙ্গে এতক্ষণ যাপন করে আপনি এই সত্য স্বীকার করতে বাধ্য যে বাংলা কবিতা এই ডিসটোপিয়ায় এখনও লিরিক প্রবণতায় বিশ্বাস রাখছে। এই আলোচকও বিশ্বাস করে বাংলা কবিতার নিজস্ব অর্জন এই প্রবণতা। কেউ তাঁকে এড়িয়ে অর্জন করতেই পারেন বিকল্প ভূগোলে নির্মিত প্রবণতা। কিন্তু প্রতিবেশকে যাপন না করলে কী আর সেই প্রতিবেশে তৈরি কাব্য প্রবণতায় সম্পৃক্ত হওয়া যায়? সন্দেহ থাকে। সেই সঙ্গে ভরসা থাকে যে ছন্দ এবং লিরিক আরও উন্নততর কবিতা মাধ্যমে পরিণত করবে বাংলা কবিতাকে।
সাম্য রাইয়ান লিখছেন,
"দেখো পুরোটা জুড়ে শুধু ছেঁড়া পাতা ফুল পড়ে
ছিলো যা। সকল খারিজ হলো অন্ধ বাগান থেকে।"(উনপঞ্চাশ)
তিনজন তরুণের কবিতাই নতুন নতুন ছবি তৈরি করছে ভিন্ন ভিন্ন প্যাটার্নে এবং ছাঁদে। তমোঘ্নের লেখায় বিস্তারিত নকশাময়, অন্তর সহজ নির্মাণ আর সাম্য কুয়াশার যাদু মিশিয়ে বিচিত্র করে চলেছেন আসলে বাংলা কবিতাকেই। নির্মাণ প্রতিনির্মাণে ওঁরা বলে চলেছেন এই উত্তর মহামারি পৃথিবীর ভাষা।
সমস্ত মানচিত্র থেকে উঠে এসেছে সেইসব অক্ষর। সাম্য লিখে রাখছেন,
"ভুল জায়গায় সঠিক বাক্যফুল ফুটতে দ্যাখোনি কেউ।"(একান্ন)
• ভূমা | তমোঘ্ন মুখোপাধ্যায়
প্রকাশক: বিদুর
প্রচ্ছদ: সঞ্জীব চৌধুরী
দাম: সত্তর টাকা
• অবলীলা শিশু উদ্যান | অন্তর চক্রবর্তী
প্রকাশক: প্ল্যাটফর্ম
প্রচ্ছদ: সুপ্রসন্ন কুণ্ডু
দাম: সত্তর টাকা
• লিখিত রাত্রি | সাম্য রাইয়ান
প্রকাশক: ঘাসফুল (বাংলাদেশ)
প্রচ্ছদ: রাজীব দত্ত
দাম: একশো ষাট টাকা