ব্যাধ
তুমি ফেরত চেয়েছিলে চেনা পথ, মশগুল সন্ধে, সব না বলা কথাদের...
ফেরত চেয়েছিলে সেই নদীটিকেও যার কিনারে বসে
তুমি এক এক করে নাম দিয়েছিলে ঘরফেরত পাখিদের, বন্ধুদের, সন্ধের গানকেও...
সেই নদীটি, যে নদীটির আড়ালে আমাদের ছোঁয়াচে ডাকনামগুলো আজও অনর্গল মুখ লুকিয়ে সারারাত কাঁদছে ঈশ্বর হবে বলে...
সেই নদীটি যে কখনো তোমায় বলেনি নিজের হারিয়ে ফেলা নাম, অচেনা শহরের সমস্ত রাস্তা কিংবা
চেনা শহরের সমস্ত খোলা জানলাদের কথাও...
তুমি সত্যি সত্যি সেদিন ফেরত চেয়েছিলে এই অসম্ভব বেলাশেষের আলো, তোমার ঈশ্বর আর
লেখা এ কবিতা...
আর আমি?... আমি আজও এই মরে যেতে চাওয়া
নদীর কিনারে দাঁড়িয়ে তোমায় কিছুই ফিরিয়ে দিতে পারিনি...
কিচ্ছুটি না...
এমনকি আমাকে দেওয়া তোমার সেই
ভালোবাসার ডাকনামটিও...
সম্রাজ্ঞী
সকাল মৃত্যু লেখেনি, লিখেছে বিকেল
সেই বিকেল গাছেদের শরীর থেকে খুলে
নেওয়া পোশাক... ঝুঁকে পড়া সাঁকো
ঘোলা জল ছুঁয়ে রেখে যাওয়া এলোমেলো আলো
আদিদেবতার আদিম রহস্য...
প্রতিটি সন্ধ্যে আহত ঘোড়া; অল্প আলোতে গলিতে
গলিতে গান ফেলে রাখে কারা?
মুখ লুকিয়ে কাঁদে সন্ধেমণি ফুল, মাটির খিদে...
একা হয়ে আসছে নিয়ন আলো
একা হয়ে যাচ্ছে উজান-ভাঁটির দেশ
দাঁড়িয়ে থাকা আস্তাবল, ধানখেত, পথের পোস্টার শিশুটিও...
তুমি মৃত্যু নিও না, আলোটুকু নাও
কারণ তোমাকে বোঝার মতো
সন্ধ্যে এখনও নামেনি...