দোঁহা

কুমোরটুলি ও আলোকচিত্রীদের আবেগ

 

ছবি © রাহুল ভট্টাচার্য/ পিক্সাবে

অভিষেক ভৌমিক

সারা বিশ্বে হাজার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক অস্থিরতা, কোভিডের ভয় পেরিয়ে, যখন এই আগস্টের শেষটা আসে, গড়িয়াহাট, এসপ্লানেড ছাড়াও আরেকটা জায়গায় এক ধরনের মানুষের আনাগোনা একটু বেশি দেখা যায়। তাদের সাথে জামা কাপড়ের ব্যাগ এর বদলে থাকে একটা ক্যামেরা আর কিছুটা আশা। আর আমি যেই জায়গাটার কথা বলতে চাইলাম সেটা শোভাবাজারের লালমন্দির এর বামদিক দিয়ে গিয়ে কিছু হাঁটলেই পাওয়ার-কুমোরটুলি অঞ্চল।

পুজো সংখ্যা লিখতে বসে, ভাবতে ভাবতেই অর্ধেকদিন কেটে গেলো। তাই সব থেকে সোজা টপিক টাই বেছে নিতে হলো। সপ্তাহের ওয়ার্ক ফ্রম হোমের ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে পুজোর আগের শনি রবি গুলিতে, চলে যাই একমাত্র গন্তব্যে। ভেজা খড় ও মাটির গন্ধটা আর অনেক ফটোগ্রাফার, এটাই পুজোর আগের কুমোরটুলি, ঠাকুর কেনার ব্যাপার এখন একটু অপ্রধান। এক্ষেত্রে সরু গলি তে চলাচল এর রাস্তা না পাওয়া থেকে শিল্পীদের ধমক খাওয়া সবই এই ছবি তোলার অংশ। উদ্দেশ্য তো একটাই, কিছু ভালো মুহূর্তকে ফ্রেমবন্দী করা। সবাই হয়তো একই ছবি তুলবে, সেটাই আনন্দ। সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রতিদিন নতুন কিছু ছবি পোস্ট হবে, অনেক লাইক রিয়েক্ট পড়বে-সেটাও তো একটা অনুপ্রেরণা। এভাবে তো কাটে আমাদের মত শখের, অপেশাদার কিছু ফটোগ্রাফারের পুজোর আগের কিছু মাস-একটা ফ্রেম যেটা আগের বছরের থেকে একটু আলাদা হবে।

মা আসবেন, চলে যাবেন, আবার আসবেন-এই পুরো কালক্রমের মধ্যেও একটাই জিনিস যেটা বদলাবে না, যেটা অটুট থাকবে, সেটা হলো কুমোরটুলি ও আলোকচিত্রীদের আবেগ।
 

 






একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন