দোঁহা

কালিকা


 

ছবি © রাহুল ভট্টাচার্য/ পিক্সাবে

বিপ্রজিত দত্ত

কোনও কোনও জনশ্রুতিতে শোনা যায় কলিকাতার নাম এসেছে “কালিকা” থেকে।

তা সে সত্যিই হোক আর না হোক, মা তো আসেন প্রতি বছর এই শহরের বুকে। তাঁর থেকেই সৃষ্টি হয় আনন্দের, বিরহের। তিনিই আলো, তিনিই আঁধার। তাঁর থেকেই শুরু, আর তাঁতেই লয়। আর তার মাঝের সময়টুকু - তাঁকে আবাহনের আয়োজন - এই ধরণীর বুকে স্বর্গ-খেলনা গড়ার ধৃষ্টতা…

 

এই মায়াময় জগতে প্রবেশের দ্বার অবাধ… কিন্তু তাও কী সাহস হয়?
 

যা অবাঙমানসগোচর, যিনি অরূপ, যিনি চিন্ময়ী-তাঁকে মৃন্ময় রূপ দেবে কে?


“জানি নাই গো সাধন তোমার বলে কারে।
আমি ধুলায় বসে খেলেছি এই
                        তোমার দ্বারে ॥” - সন্তান ছাড়া এই স্পর্ধা হবে কার?



মায়ের থেকে সন্তানের উৎস, আর সন্তানের সাথে সাথে জন্ম মায়ের
আর তাই সন্তানই বলতে পারে -
“আমার শিরায় শিরায় রক্তের ধ্বনি
শরীর-আঁধারে মা জননী।
তোমায় জন্ম দেওয়ার ব্যথা না পাইলে,
তোমার জন্ম শব্দ পাবো না,
তোমার কথা শুনতে পাবো না।”



প্রজন্মের পর প্রজন্ম শিখতে থাকে এই স্পর্ধার, এই ভালোবাসার, এই সৃষ্টির পাঠ…



আর মায়েরা রক্ষা করতে থাকেন - স্নেহে, আশ্রয়ে…

 পাশবিক আর দৈবিক শক্তির দ্বৈরথে…

 


মূহুর্তের শান্তির মরুদ্যান হয়ে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন