রিপোর্টার’স নোটবুক
এক
পাহাড়ি কেল্লায় কাগজের টুকরো উড়িয়ে দেওয়ার সময় পৌরাণিক যন্ত্রে একলা বাজছিলেন লতা মঙ্গেশকর। আমরা সেই সুরের গোপন জেনেছিলাম কোনও দেহাতি সন্ধ্যায়। উড়ে যাওয়ার ঠিক তাকে কখনও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল ডানার যত্নে। বিকেল-আলোর গার্গল সেরে আজ তবুও মৃত্যুর পাথরগুলি অন্ধকারের দিকে গড়িয়ে নামছে পর্যটকদের পায়ে পায়ে। এই রহস্যবিধুরতার কথা জানলেন না লতা মঙ্গেশকর
দুই
মৃত্যুর ওম লেগে থাকা এই অপূর্ব ভোরে পাখি-মোর্চার কৌশল স্থির হয়। কত বীজে কতখানি ভালবাসা খুঁটে নেওয়া যায়, তার ইস্তেহার বানাতেই বেলা শেষ। প্রসন্ন ফেরিওয়ালার মতো বাতাসে যা উড়ে যাচ্ছে, বাইরে থেকে দেখে তাকে বন্ধুর ছাই বলে বোঝা যায় না! শুধু ঘর পোড়া রাস্তা জানে, চাকার ব্যর্থ দাগ। সড়ক পার হয়ে চলে যাওয়ার আগে যে একবার আমাদের ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে নিয়েছিল
তিন
ওয়াশের কাজ হয়ে ওঠা ঝাপসা সন্ধ্যায়, ট্যাক্সি থেকে বারবার নেমে যাওয়া কাঁচা ক্রিমিন্যালের মতো। উল্টোদিকের আয়নায় যার চিহ্ন থেকে গেল। গোয়েন্দার মতো বিদ্যুৎ ঝলসে দাঁড়ালো মধ্যবর্তী নীরবতায়। পরের সিগন্যালে অপেক্ষা করছ জেনেও কাগজের নৌকো বারবার ডুবে যায় স্রোতস্বীনী সড়কে। ভিজে হাতে লেখা ডায়েরিতে নেতিয়ে পড়ছে স্বীকারোক্তি। সিগন্যাল বদলের সঙ্গে সঙ্গে এই সব অপরাধের রং বদলে যায়
মর্নিং স্কুল
সেই নীলচে বাস আর নতুন স্কুল
বাজে প্রেয়ার সং
স্মৃতি দীপ্যমান,
বাথরুমের ভোর, কিছু কুয়াশা তোর
শুধু যুদ্ধে হার
শুধু মনান্তর
হরি দিন তো যায়
করিডর বেয়ে, কাঁধে বন্ধু হাত
আজও বাস খোঁজে