দোঁহা

দৈবিক, দৈনন্দিন

 

ছবি © রাহুল ভট্টাচার্য/ পিক্সাবে

অগ্নিজিতা

বাঙালির শ্রেষ্ঠতম উৎসব শুরু হতে দেরী নেই আর একমাসও। শুরু হয়ে গেছে কাউন্টডাউন। গত দুবছর করোনার প্রকোপে উৎসবের রঙ খানিক ফিকে হয়ে আসলেও, এইবছর আর কোনও অংশে ত্রুটি রাখতে চান না শিল্পী থেকে উদ্যোক্তারা। কুমোরটুলিতে শুরু হয়ে গেছে দারুণ ব্যস্ততা। এই বছর শিল্পীরা প্রত্যেকেই অনেক বায়না হাতে পেয়ে বেজায় খুশি। অতএব তাদের দম ফেলার ফুরসত নেই।

ছোটবেলা থেকে বিভিন্ন খবরের কাগজে কুমোরটুলির শিল্পীদের প্রতিমা গড়ার ছবি দেখেছি পুজো শুরুর আগেভাগেই 'পুজো আসছে' অথবা 'তুলির টানে' এইসব নানারকম শিরোনামে। কখনো চাক্ষুষ দেখার সুযোগ না হওয়ায় কৌতূহল ছিল তুঙ্গে। এইবার কলেজটা কাছাকাছি হওয়ায় একবার নয় একাধিকবার সুযোগ হয় কুমোরটুলি গিয়ে মায়ের প্রতিমা গড়া দেখার।

কেমন অদ্ভুত এক ছন্দে কাজ করে চলেন কুমোররা। তাদের দিন নেই, রাত নেই, দুপুর নেই, বিকেল নেই...তাদের জীবনের সমস্তটা জুড়ে রয়েছেন মা। একসময় খুব মন দিয়ে প্রতিমা গড়ছেন, তো পরক্ষণেই প্রতিমার সামনে বসে ভাত মেখে তৃপ্তি করে খাচ্ছেন। এ দৃশ্য বড়ো আরামের, বড়ো কাছের।

একদিন শেষবেলায় এক প্রবীণ শিল্পীকে মায়ের অপরূপ মায়াভরা মুখখানিতে তুলির টান দেওয়ার সময় গুণগুণ করে গাইতে শুনেছিলাম- "এ বার আমার উমা এলে/ আর উমায় পাঠাবো না..."

 


 









একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন