দোঁহা

কোলাজ

 

ছবি © রাহুল ভট্টাচার্য/ পিক্সাবে

শমিতা অধ্বর্য্যু 

জীবন যেন রামধনু। উদ্দাম ঝোড়ো হাওয়ায় ঘনিয়ে আসা কালো মেঘের প্রবল বরিষণে জীবনের গলিঘুঁজি, তাপ অনুতাপ, চাওয়া পাওয়ার হিসেব নিকেশ জলভরা ট্রাপিজের মধ্যে দিয়ে বিচ্ছুরিত হয়। সেই সাত রঙে রঙ মিলিয়ে বুনে চলা মানবজমিন। জীবনের রঙিন কোলাজ। কতো ফাঁকি ধুয়ে যায়, কতো ফাঁক ভরাট হয়ে মাটিকে করে তোলে ঊর্বর। বুনে চলে আশা ভরসা, ভালোবাসার  মায়াজাল। বেঁচে থাকার জিয়নকাঠি। কর্ষিত জমিতে মানব সভ্যতার শৌর্যের জয়গাথা। স্বাধীন মনের স্বপ্নের উড়ান। দূরে আরো আরো দূরে ছোট্টবেলার খেয়াঘাট। ঘাটে খেয়া বাঁধা। গচ্ছিত আছে সুখ দুঃখের শেষ পারানি। অনেক দূরে এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকার অছিলায় উদাসী বক নদী থেকে তুলে নেয় চকচকে মাছ। এমন কত শত শিকারীর তীক্ষ্ম নজরে প্রতিনিয়ত খানখান হয়ে যায় নরম কলিজা। নাঃ, বৃষ্টি নামল। এ বৃষ্টি ক্ষণিকের। এক্ষুনি আকাশ নীলে ভেসে বেড়াবে নৃত্যরতা মেঘবালিকার দল। স্বপ্নেরা হুড়মুড় করে  পেখম মেলে দেবে। কাশের দোলায় নব আনন্দের উন্মাদনা। মূর্তির কাঠামোয় কাদামাটির কাজ শেষ। এই মাটিতে রয়েছে পতিতার পায়ের স্পর্শ। বছরে এই একবার অশুদ্ধ নারীর সামনেই নতজানু হয় কোটি কোটি বিশুদ্ধ পুরুষ। এইভাবেই পতিতালয়ের বাতাস ভারী হয় নষ্ট নারীর নিঃশব্দ দীর্ঘশ্বাসে। অশ্রুর আনন্দ ধারায় মাটি হয়ে ওঠে পবিত্র। চারিদিকে খুশির জোয়ার। বাঁশির সুরে বেজে ওঠে অপাপবিদ্ধ নষ্ট নারীর যুদ্ধ জয়ের আলোকিত মূর্চ্ছনা।
 

 








একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন