দোঁহা

তুমি নব নব রূপে এস প্রাণে



ছবি © রাহুল ভট্টাচার্য/ পিক্সাবে

অর্ক চৌধুরী

বর্ষাস্নাত দিনের অবসানে নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা ভাসিয়ে বাঙালির জীবনে শরৎ ঋতুর আগমন। 'দিগন্তে অরুণকিরণকলিকা' ফুটে উঠার সাথে সাথে দূর্বা দল সিক্ত হয় হিমেল শিশিরে যার ছোঁয়ায় কচি পাতা সেজে ওঠে মুক্তোর সাজে। রম্যসাজে সজ্জিত প্রকৃতির এই মুক্তাঙ্গনে ধ্বনিত হয় উমার আগমন বার্তা। শিল্পীর নৈপুণ্যে মাতৃমূর্তি মৃন্ময়ী রূপ নেয়। সৃষ্টির নিভৃত পরিসরে শিল্পী ও শিল্পের করস্পর্শে  রচিত হয় সহস্র অব্যক্ত সংলাপ। অসুর সংহারিণী দশভূজার হাতে শোভা পায় অস্ত্রের সাজ। শিশু মন ব্যাকুল হয় "হয়তো এবার সিংহরাজের কেশর দিলো জুড়ে"। নিবিড় মগ্নতায় শিল্পীর তুলির টানে দেবী মূর্তিতে আসে প্রাণ। বাঙালি তার ঘরের মেয়েকে নব নব রূপে আবাহন করে প্রাণের দেবালয়ে। মহিষাশুরমর্দিনী রূপে মা দুর্গা তার সন্তানদের নিয়ে বিরাজ করেন পূজাপ্রাঙ্গনে, ভক্তহৃদয়ে। অঞ্জলীর ফুলে প্রণতি অর্পিত হয় অদ্রিজার চরণে। মিলনোৎসবে মেতে ওঠে ভক্তকুল। সন্ধিপূজোয় জ্বলে ওঠে শতাধিক দীপশিখা। রাত পোহালেই মাকে বিদায় জানানোর পালা। বিদায় বেলায় সিঁদুর খেলার লালিমায় ধরা দেয় সহজ, শ্বাশত, চিরন্তন আর্তি-ভালো থেকো মা, সবাই কে ভালো রেখো। অপেক্ষা একটা বছরের...













একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন