দোঁহা

কোলের কাছাকাছি


ছবি © রাহুল ভট্টাচার্য/ পিক্সাবে

 অরিত্র দ্বিবেদী

আমাদের সবার জীবনই যুদ্ধে যুদ্ধে কাটছে। কেউ কোথাও আজো কোনো ট্রেন মিস করছে। কেউ বা হারিয়ে যাচ্ছে শরৎ মেঘে। যুদ্ধবিধ্বস্ত নগরীর মত আবার গুছিয়ে উঠতে চাইছি আমরা। পরবর্তী যুদ্ধের আগে অবধি সেই সময়টুকু। যে শান্তি আমরা চাইছি, মায়ের কোল ছাড়া সে শান্তি কিছুতেই আর নেই...

মা, সেই মা যদি সকলের এক হন, তবে হয়ত কিছু যুদ্ধ বন্ধ হবে, কিছু হতে গিয়েও হবে না। কিছু শান্তি মিলবে।

দুটো যুদ্ধের মাঝখানে একটা মেঠো আলপথ এরকম থাকে, যেটা বেয়ে মায়ের কোলে উঠে পড়া যায়, যুদ্ধ আর শান্তির মধ্যে সবচেয়ে বড় তফাৎ বুঝি সেটুকুই।

 

 

ডাক পড়েছিল শূন্য বিছানা
ডাক পড়েছিল দূরের ট্রেন
একটা কোথাও গম্ভীর যুদ্ধ হয়ে গেছে
শরতের হাওয়া দিলে, তুমি বলতে
মনে আছে। এখনো মনে আছে।

 


 সিঁড়ি দিয়ে উঠে আসি আজো
আজো খামচে ধরি শরৎ মেঘ,
আছো, আছো? ভেলায় করে
ভাসতে ভাসতে ভাসতে জিজ্ঞাসা করি।
একটা কোথাও বড় ক্ষতি হয়ে গেছে।

 


যেই ট্রেনটা তুমি সবে যেতে দিলে,
তাকে জিজ্ঞাসা কোরো বলে দেবে:
একটা কোথাও কিছু ছেড়ে গেছে
একটা কোথাও কিছু রয়ে গেছে।
একটা কোথাও কিছু বাকি আছে আজো...

 


 আকাশে দু এক কুচো
শরৎ মেঘ ভেসে যায়...
কোথাও কোনো গম্ভীর যুদ্ধ হয়ে গেছে।

 


 শূন্যকবচ আলগা বিছানা
একলা পড়ে আছে...
যুদ্ধে ভেঙ্গে পড়া শহরের নামে
গুছিয়ে রেখেছে নিজেকে...

 

 

সব ছেড়ে যাওয়ারাই পথ ফেলে আসে
পিছনে রেখে আসে চিহ্ন।
মেঘ-মেঘ আর ট্রেনের চেনাজানার
ঠিক মাঝখান দিয়ে একটা মেঠো
আলপথ। যেটা তোমাকে যুদ্ধ থেকে বের করে আনে...

 

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন