দোঁহা

বন্যা ব্যানার্জীর কবিতা



অমলতাস

আবারো একটি শপথ বাক্য পাঠ করে ফেললাম। সব সত্যের ভাঁজে ভাঁজে আবারও এঁকে ফেললাম দীর্ঘ এক প্রচ্ছদ। ভেতরে অদৃশ্য কারো তত্বাবধানে চরিত্ররা সেজে উঠলো। ধান ভাঙা রোদে ইচ্ছেরা বিছিয়ে নিল নীল রংয়ের শাড়ি।
বেলা পড়ে আসে। চিলের ডানায় সন্ধ্যে নামে। গোধূলির ধুলো লাগে পায়ে।
অমলকান্তি রোদ্দুর হতে পারেনি। কবিতা হয়েছিল। জীর্ণ পাঁচিলের গায়ে হেলান দেয় মাধবীলতা। দাবী হীন। একা।সেই ক্ষণে আসে আশ্বিন। লাশ ভেসে যায় রক্তবীজের।।


বেওয়ারিশ

বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে সেই কবে। যখন তোমার ধোয়া বারান্দায় ছায়ারা পাল্টে যাচ্ছিল একের পর এক। আর বছর জুড়ে ইচ্ছেরা ছাই চাপা দিচ্ছিল আগুনের উৎসব কে।
আমার কোনো এন্ড্রোয়েড ফোন নেই বলে, কোনো এঞ্জিও নেই বলে আমার আটপৌরে নামটা ওরা তুলে নিয়ে গেলো পেছনের বাগানে। সেই থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে শ্রম আর সম্পর্ক।
এতো বিপ্লব পেরিয়ে এলাম। এতো কোলাহল, এতো শব্দের বুনিয়াদ তবু বেনামী হয়ে রইলো সবকিছুই।
ঘাম মুছে নেওয়া শাড়ির আঁচলের খুঁট খুলে মা দিয়েছিল যে নামটা সেটাও। তবু আমার উঠোনের মাটিতেই মায়ের শরীর গড়ে ওঠে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন