অমর্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায়
সদ্য সদ্য যখন ভগৎ সিংয়ের লেখা পড়ে নাস্তিক হয়ে উঠতে চেষ্টা করছি, মন থেকে ঝেঁটিয়ে দূর করতে চাইছি অতিরিক্ত ভক্তিভাব থেকে শুরু করে ঈশ্বরপ্রেম-জনিত সবকিছুই – এমনই সময়ে আহ্বান এসে পড়ল কালী’কে নিয়ে দু’কলম লেখার। দীপাবলির উৎসব যে এখন। ভক্তেরা বলবেন, “সবই মায়ের ইচ্ছে, তিনিই তোমাকে দিয়ে লিখিয়ে নিলেন। আহা, এমন মা’কে নিয়ে দু’অক্ষর লিখলে পরেও যে পরকালের পাথেয় আসে। পুণ্যি সঞ্চয় হয়।” আমি তাঁদের ভক্তির উত্তরে জানাব, “আজ্ঞে বিষয়টিকে আমি নেহাতই কাকতালীয় ঘটনা অথবা কোইনসিডেন্স বলে দেখতে পছন্দ করি। তাছাড়াও, ইহকালের চিন্তা সামলিয়ে পরকালের পাথেয় অথবা পুণ্যি, এই দুইয়ের মধ্যে কোনওটির বিষয়েই আমার তেমন কোনও আগ্রহ ছিল না। বরং ইহকালের দিকে তাকালে পরে, পুণ্যির পরিবর্তে কেরিয়রগ্রাফ অথবা ব্যাঙ্ক-ব্যালান্সের বিষয়েই যে কারোর অধিকতর সচেতন হওয়া উচিত বলে মনে করি। কারণ পাপীতাপীরা নরকে কতটা শাস্তিভোগ করছে তা বলতে পারি না। অথচ ইহলোকে যে বড়লোক হলেই অধিকাংশ সমস্যার দিব্য সমাধান ঘটে যায়, সেও আর আলাদা করে বলে দেওয়ার মতো কোনও বিষয় নয়। অর্থ উপায়ের রাস্তা এখানে যেমনটাই হোক না কেন, যথেষ্ট পরিমাণে অর্থ হাতে থাকলে পরে কোনও অনর্থই আর কারোকে ছুঁয়ে উঠতে পারে না। এমনটাই জগতের নিয়ম।” আমরা নির্বিবাদে শুয়ে থেকেছি বিছানার উপর।
১৯৮৭ সালে প্রকাশিত হয় গুন্টার গ্রাসের স্ব-চিত্রিত কাব্যগ্রন্থ ‘জুঙ্গে জাইগ্ন’ অথবা ‘শো ইওর টাং’। জার্মান উচ্চারণটি কতখানি সঠিক হলো জানিনা, কিন্তু আজকের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এই বইটিকে বেছে নেওয়ার প্রধান কারণ হলো, বইটির মূল উপজীব্য বিষয় - কলকাতা, কলকাতা শহর ও তার অন্যতম প্রিয় দেবী চণ্ডিকা অথবা মুণ্ডমালিনী শ্রীময়ী কালিকার বিষয়ে লেখকের এক অদ্ভুৎ অবসেশন। অবসেশন অথবা ‘ঘোর’ শব্দটিই এখানে সঠিক বলে প্রতিভাত হবে, কারণ বইটিতে লেখক বিচিত্র সমস্ত এনকাউন্টারের মাধ্যমে তাঁর অবচেতনের কলকাতা, কালিকা ও নগরদর্পণের বিশেষ মুহূর্তগুলিকে তুলে আনতে চেষ্টা করেছেন। এনকাউন্টার অথবা দূরার্থে ‘সংঘাত’ শব্দটিকেই এখানে ব্যবহার করলাম কারণ, এই শব্দ বইটির ভিতরকার যে সমস্ত ছবি ও রচনা, সেগুলির একেকটির যে আঘাত, সেই আঘাতের তীব্রতাকেই সরল ভাবে বোঝাতে সক্ষম হবে। এই বইটি সমালোচক মহলেও সমালোচিত, ও বলা ভালো সার্বিক ভাবে এক মিশ্র প্রতিক্রিয়ার ভাগীদার। বইটিকে তীব্র, তীক্ষ্ণ, সরাসরি রচনা, কঠিন, ও সাহসী ইত্যাদি বর্ণনায় অনেকে অভিহিত করলেও, তার পাশাপাশিই বইটিকে ‘সাহিত্যিক বিপর্যয়’ বলে চিহ্নিত করতেও অনেকে পিছপা হননি। স্তালিনের পাশাপাশি নেতাজী, ও তারই মধ্যখানে কালীকে কল্পনা করার যে ভয়াবহ অবিমৃশ্যকারিতা, এবং তারই সঙ্গে চিত্রলেখ হিসেবে উল্লেখ “বিপ্লব সফল হলো কি হলো না, মার্ক্স অথবা মাওয়ের কাছে তার উত্তর খোঁজা বৃথা, কালীর খড়্গেই রয়েছে সেই প্রশ্নের জবাব” – এমনতরো অতিভক্তির ‘সারকাজম’কে ছুঁড়ে দেওয়ার যে প্রচেষ্টা, অনেক ক্ষেত্রেই তা পাঠকের দিক থেকে তার কল্পনাকে ঠেলে নিয়ে গিয়েছে এক দুঃসহ কঠিন উচ্চতায়। কালীর প্রসঙ্গে গুন্টার গ্রাসের এই অবসেশন – নাকি আসলে তা এক অর্থে সেসময়কার কলকাতার দুঃসহ দারিদ্র, বস্তিজীবন ও দমচাপা অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশকেই উদ্দেশ্য করে রচনা, বিবিধজনেরা দ্বিতীয় মতটিকেই মান্যতা দিয়েছেন। তাঁরা এও বলেছেন, এই দীর্ঘ কবিতা আদতে একই সঙ্গে কালীর যে অন্ধকার, যে অন্ধকারে নিমজ্জিত সেই তখনকার কলকাতা শহর – সেই অন্ধকারেরই রূপ বর্ণনায় অগ্রসর হয়েছে। অন্যদিকে, সেই নিকষ কালো অন্ধকার ও অরাজকতার ভিতরে দাঁড়িয়ে, নিজেরই সেই সৃষ্টিকে প্রত্যক্ষ করে স্বয়ং চণ্ডিকাও যেন বা লজ্জায় জিভ বের করে রয়েছেন। এই দুই উপলব্ধির সংমিশ্রণেই ‘শো ইওর টাং’এর আত্মপ্রকাশ। দেবীর ধ্বংসকারী রূপটিকেই গ্রাস অধিকতর প্রাবল্যে নিজের ভিতরে গ্রহণ করেছেন। দেবীর অন্ধকাররূপী প্রথম চেহারাটিকেই গ্রাস নিজের মননে আত্তীকরণ করেছেন বেশি। হয়তো বা শাস্ত্রানুসারেও দেবী চণ্ডীর এই চণ্ডরূপটিকেই আমরা অধিকতর গুরুত্বের সঙ্গে প্রত্যক্ষ করে থাকি। সেই চণ্ডরাগ যে সকল অনাচারের বিরুদ্ধে, কোনও অনাচারের পক্ষে নয় – সেই তথ্যটুকুকে আমরা ততখানিও প্রকাশিত হতে দেখিনা। আমরা কালীকে শ্মশানের অন্ধকারেই খুঁজে ফিরতে চাই। শ্মশানের মধ্যেও যে একটা শুরু আছে, সেই শুরুকে আমরা অস্বীকার করি।
লীনা মণিমেখলাইয়ের শিল্প-স্বাধীনতা। পোস্টারটিকে নিয়ে উত্তাল হয়েছিল দেশ। পোস্টারটিকে আর কোথাও কখনও দেখা যাবে না। দেখানো যাবে না। ছবিটির মুক্তি অবধি নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আগ্রহী মানুষ যাঁরা আছেন, তাঁরা লীনা মণিমেখলাইয়ের নাম অথবা ‘কালী বাই লীলা মণিমেখলাই’ লিখে গুগলে ‘সার্চ’ দিলেই বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত হওয়ার সুযোগ পেয়ে যাবেন। কিন্তু লীলার যে যুক্তি, তাকেও তো ফেলে দেওয়ার নয়। কালী যদি নীচতলাকার মানুষেরই দেবতা হন, কোনও না কোনও শাস্ত্রের অনুসারে – তাহলে তাঁকে সব দেশে, সব বেশে অথবা সব রূপেই বা দেখালে পরে আপত্তি কোথায়? বহুরূপী অনেক মানুষই তো আমাদের চারপাশে অনেক কিছু সেজে, অনেক রকম পোশাক পরে, অনেক রকম অভ্যাস নিয়ে ঘুরে বেড়ান, আমাদের তো তাতে কোনও আপত্তি ঘটে না। ভক্তির বাহ্যিক প্রকাশ না দেখলে পরে, গণ্ডিবদ্ধ কিছু প্রাগৈতিহাসিক আচারের প্রতি অসহায় আত্মসমর্পণ না করলে পরেই যদি বা দেবীর আসন সচলা হয়ে ওঠে, তাহলে বলব আমরা সেই দেবীর প্রতিই বিশ্বাস হারিয়েছি। তিনি যদি বা দেবীই হয়ে থাকেন, সর্বশক্তিমানই হয়ে থাকেন, সর্বকল্যাণকরই হয়ে থাকেন – তাহলে সেই রূপ, অস্তিত্ব বা প্রকাশেরও মানসিক ব্যাপ্তি বিরাট। কোনও নির্দিষ্ট গণ্ডিতেই তাঁকে আবদ্ধ করতে নেই। রুশদির কথা ধার করে বলতে চাইব, “অন্তিমে এই প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মই একদিন মানুষকে ঈশ্বরবিমুখ করে তুলবে। আজকে যাঁরা তথাকথিত ‘ঐশ্বরিক’ মানুষ, তাঁরাই আদতে সবচেয়ে বেশি অধার্মিক, ঈশ্বরের সবচেয়ে নিকৃষ্ট সৃষ্টি ও সমর্থক। এক হাজার এক বছর অবধি লাগতে পারে, কিন্তু শেষ অবধি প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের মৃত্যু ঘটবে – আর সেই থেকেই হবে সত্যকারের ঈশ্বরের সূত্রপাত।”[১] কালীকে আমরা ধ্বংসের বিপরীতে দেখিনা, দেখতে চেষ্টা করিনা। আবার কখনও কখনও, কোথাও গিয়ে দাঁড়িয়ে – করিও বা বোধহয়।
গোদারের ছবিতে শ্রীরামকৃষ্ণের প্রসঙ্গ এসেছে।[২] কথামৃতের বর্ণনা এসেছে। কালীর অন্ধকারকে ছাপিয়েও হয়তো বা তাঁর ভুবনমোহিনী ভবতারিণী রূপও সত্য। অথবা সে এক বিশ্বাস কেবল। কিন্তু সেই বিশ্বাসের স্তরবিন্যাস বিপুল। ধারণার বিস্তৃতিও তেমন। মানুষ অন্ধকারের নেশায় ছুটেছে। তন্ত্রের সারটুকুকে না নিয়ে রোমাঞ্চটুকুকে নিয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে তন্ত্র সম্পর্কে উচ্চধারণা পোষণ না করলেও, আমার প্রথম বক্তব্যের সঙ্গে ওয়াকিবহাল অনেকেই বোধহয় একমত হবেন। দেবতার অস্তিত্ব অথবা ঈশ্বরের অস্তিত্বকে আমরা অস্বীকার করতেই পারি। কিন্তু সাধারণ মানুষের বিশ্বাসকে প্রভাবিত করা অথবা বিশেষ এক হিংসাত্মক লক্ষ্যে তাদের বিশ্বাসের আবেগকে পরিচালিত করা, এই দুইই দণ্ডনীয় অপরাধ বলে জানি। কালীকে আমরা অনেক অর্থেই সেভাবে ব্যবহার করে এসেছি। অথবা বিকৃত হয়ে তিনি আমাদের মননে আশ্বাস, আত্মবিশ্বাসের বিপরীতে যেন বা সেই বিচারপতি-সুলভ ভয়ের ভাবটুকুকেই, আতঙ্কের বাতাবরণটুকুকেই সঞ্চারিত করেন বেশি। হয়তো বা তারও পিছনে রয়েছে অগণিত সামাজিক ও রাজনৈতিক কারণ, যুগ যুগ ধরে চলে আসা ইতিহাস। কিন্তু কালীর অন্ধকারকে ছাপিয়ে, নারী তথা সাধারণ মানুষের ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গেও এই রূপটিকে ব্যবহার করা চলে। ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কালী অর্থে যেমন অন্ধকার সত্য, যেমন যুদ্ধের দামামা সত্য, এলাকার পর এলাকাতে এগিয়ে গিয়ে রাজত্ব কায়েম করা সত্য। তেমনই এর বিপরীতে এও সত্য যে, কালী পৃথিবীকে এক নতুন উচ্চতায় তুলে নিয়ে যেতে চেষ্টা করেন। পুরুষোত্তম শ্রীবিষ্ণু অথবা তাণ্ডবের আরেক দেবতা শিবের পাশাপাশিই নিজেরও এক দুর্দমনীয় পরিসর তৈরিতে কালী সফল। কালীর মূর্তিগত প্রকাশও বোধ করি সবসময়ে তাঁর বিস্তৃতিটুকুকে অচেনা, অজানা সংস্কৃতির কাছে বোধগম্য করে তুলতে পারে না।
আকাশে উড়তে উড়তে গুন্টার ভাবেন এই শহরের যে অন্ধকার, আরাধ্যা কালীরও যে সেই একমাত্র পরিচয়ই হলো অন্ধকার। নীলবর্ণ সেই অন্ধকারেরই ভিতর কালীর অধিষ্ঠান; আর তারও ভিতরে অসহায় দিকভ্রান্ত নাবিকেরই অস্তিত্বের মতো - হাতড়িয়ে চলা কিছু অন্ধকার মানুষ। ঈশ্বর যদি কল্যাণময় হতেন, তিনি কি তাহলে এই দুর্দশাকে প্রতিহত করতেন না? ঈশ্বর কি নিজেরই সৃষ্টিতে নিজেই লজ্জিত হয়ে উঠেছেন? সাহিত্যে নোবেল পেতে চলা একজন মানুষ অন্ধকার কোনও অমাবস্যার রাত্তিরেও ঘুরে ঘুরে বেড়িয়েছেন নিমতলা বার্নিং ঘাট। কমিউনিস্ট পার্টির কাস্তে প্রতীককেও রূপান্তরিত হতে দেখেছেন মা কালীর খড়্গতে হঠাৎ।
ত্রয়োদশীর রাত্তিরে মহেশতলা এলাকাতে গেঞ্জি কারখানায় আগুন। কতজন শ্রমিকের কাজ চলে যাবে, খবরে আসবে না সেসব। অথচ আমরা বেশ জানব দীপাবলির রাত্তিরেও কাজ চলে যাওয়া সেই সব শ্রমিকেরা - চণ্ডিকা, রুদ্রা, চামুণ্ডরূপিণী কালিকার কাছেই নিজেদের ভবিষ্যৎকে সমর্পণ করবে। বিশ্বাস রাখতে চাইবে তাঁরই কোনও দৈবী কার্যকলাপের উপর। কালীর জাগ্রতভাব নিয়ে কোনও প্রশ্ন উঠবে না। মানুষ সেই অন্ধকারের মধ্য থেকেই বিশ্বাস অর্জন করে চলবে। ধ্বংসের মধ্য থেকেই উঠে আসবে, প্রায় দারুণ এক প্রত্যাবর্তনের ক্ষমতা। আত্মবিশ্বাস। প্রলয়ের সময় আসন্ন। আমরা আগুনের ধ্বংসকারিতা দেখে মোহিত হই। বিপ্লবের চূড়ান্ত উচ্ছাসকেই হয়তো বা খুঁজে দেখতে চেষ্টা করি কালীর উত্থানের ভিতর। এই দেবী রূপে ভোলাতে আসেননি, ভালোবাসাতেও নয়। এই দেবীর সম্বল বলতে নীলবর্ণ অন্ধকার, মুণ্ডমালাশোভিত আতঙ্ক, ও পতিবক্ষে পা তুলে দেওয়া এক লজ্জার অভিব্যক্তি। পরতে পরতে বৈপরীত্য যার। আতঙ্ক ও লজ্জার এই সহাবস্থান মানুষের নিজস্ব কল্পনাকে দিয়েছে ঘুলিয়ে, বাধ্য করেছে তাকে কালীর রহস্যে নিমজ্জিত হওয়ার। মানুষ রহস্যকে খোঁজে, খোঁজে অদ্ভুৎ বৈপরীত্য, আর খোঁজে এক ক্ষমতাশালীর প্রকাশ। কালী এই প্রত্যেক চাহিদাকেই পূর্ণ করেছেন। গ্রাস কি এভাবেও কালীর গভীরতায় খুঁজে পেতে চেয়েছিলেন কলকাতা শহর? দারিদ্রের জাঁতাকলকেই শেষতম সত্য বলে মানতে অস্বীকার করে, একদিন সেই অন্ধকার থেকেই আগুন ফেটে পড়বে বলে ইঙ্গিত দিতে চেয়েছিলেন? ইঙ্গিত দিতে চেয়েছিলেন এই রহস্য অথবা এই বৈপরীত্যের আড়ালে, ওম হয়ে যারা লুকিয়ে থাকতে চায়, বিভিন্ন সাজে ঘাপটি মেরে থাকতে চায়, একদিন এই অন্ধকারের আগুনই তাদেরকে তাড়া করে এনে রাস্তায় ফেলবে ঠিক? কালীর দেবত্বের চেয়েও, কালীর বিস্তৃত ও বিপরীতের চেয়েও বিপরীত যে সত্ত্বার অস্তিত্ব, তাই যেন মেঘের আড়াল দিয়ে, জোয়ারের ভাঙন দিয়ে কখনও বা আত্মপ্রকাশ করছে। কখনও বা হারিয়ে যাচ্ছে অনন্ত নীরবতায়। কার্তিক মাসের শীত। ফুটপাথে শুকনো কাগজ পুড়ছে।
অগ্নি আহুতিতে সেই আমাদের কালী-তর্পণের সূচনা। গ্রাসও যে সেই কথাই লিখতে চেয়েছিলেন ...
সূত্রঃ
[১] ‘টু ইয়ার্স এইট মান্থস এ্যাণ্ড টোয়েন্টি এইট নাইটস’, সলমন রুশদি, পেঙ্গুইন Random হাউজ, ২০১৫
[২] ‘জঁ-লুক গোদার’, চণ্ডী মুখোপাধ্যায়, গাঙচিল, জুলাই ২০১৬