আধেকজান
পর্ব -১
এতক্ষণ পর যখন বিকেল মুছে সন্ধ্যার মায়া, সে মায়ায়ই বোধহয় আদ্যন্ত নাগরিক উদ্দালকের চোখ টেনে নিয়েছিল সবুজরঙা ভূখণ্ডখানি! কিংবা সারাদিনের শারীরিক শ্রম, মানসিক চাপ থেকে আপাত মুক্তিই হয়তো তার মনে এ সবুজের শীতলতা এঁকেছিল, যে সবুজের ওপর পাশের নাম না জানা গাছের স্নিগ্ধ ছায়ার পরাবাস্তব প্রলেপ ঝির ঝির নেচেছিল, কেননা তখন সে বৃক্ষের পাতায়-পাতায় গ্রীষ্মবিকেলের দখিনা হাওয়ার ফুসলানি। হা-ক্লান্ত উদ্দালক বসে পড়ে সে মায়ার টানে এবং একসময় সে সবুজের প্রাগৈতিহাসিক আত্মীয়তা উদ্দালককে ডেকে নেয় তার নরম বুকে। উদ্দালক তার শরীর মেলে দেয় মাটিতে, অবচেতনেই।
আর সে মুহূর্তে তার চোখে ভানুমতীর খেল যেন বা। এ মাঠ পেরিয়ে, মাঠ-পুকুর ছাড়িয়ে, দূরের গাছের ফাঁকে ফাঁকে পশ্চিম দিগন্তে তখন আগুন রঙের মাতন...সূর্য ডোবার বেলা! প্রাকৃতিকতার এ সুন্দরে উদ্দালকের নাগরিক মন যেন পুরাণ শুশ্রূষা পায়। একটা বকপাখিই বোধহয়, ভেসে-ভেসে, ভেসে-ভেসে উড়ে যায় দূর আকাশে। ডানায় তার দিনশেষের মায়ারঙের নৈ:শাব্দিক স্বনন। আর সে অলৌকিক উড়ানের ছায়ার পিছুপিছুই যেন সাঁঝ ক্রমে তার মায়া বিছায় মাটির ধরিত্রীর বুকে, আজন্ম কলকাতাবাসী উদ্দালকের মনে। সে বুঁদ হয় অপার্থিব এ সুন্দরে। পরক্ষণেই তার শিক্ষিত-সচেতন মন যুক্তিশীল হয়—অলৌকিক-অপার্থিব কেন! এ সুন্দর তো অতিলৌকিক, অতিপার্থিবই। তার শহরে সন্ধ্যা নামে না, অন্তত এমন সাজে, সে তো শহরবাসী তাদের প্রকৃতি-বিচ্ছিন্নতার ফল। তাছাড়া ছুটন্ত নাগরিক মনে প্রাকৃত-সুন্দরের ঠাঁই-ই বা কোথায়! সে নিজেই তো অফিসের কৃত্রিম আলোর-উত্তাপের ঘেরাটোপ থেকে যখন বেরোয়, নাগরিক লব্জ তা সন্ধ্যা বলে দেগে দিলেও প্রকৃতির নিয়মে তা রাতই। যদিও রাত না নামাই মেট্রোপলিশের লক্ষণ! এমন ভাবনায় তার চোখ দিগন্তে ভাসমান থাকলেও সে দৃষ্টিতে কোনো দৃশ্যের জন্ম হয় না, ফলে তার আনমনা চোখ সে পাখিটিকে কখন যেন হারিয়ে ফেলে। এ নিরুদ্দেশে তার মন আবার প্রকৃতিমগ্ন হয়, যখন ধীরে ধীরে স্নিগ্ধ অন্ধকার ঝরে পড়তে থাকে। উদ্দালক সে স্নিগ্ধতা মনের চোখে এঁকে নিলে শান্ত ঘুম নেমে আসে তার হা-ক্লান্ত চেতনে। যদিও ডুবে যাবার আগে তার অবচেতনে এ চিন্তা ঘাই মারে—পাখিদের শরীরে কি কম্পাস গাঁথা থাকে, জড়ুল চিহ্নের মতো যা জন্মাদ্য? তারা হাজার-হাজার মাইল পাড়ি দিয়েও কেমন করে ঘর চিনে নেয়, খড়–কুটো ঠোঁটে নিয়ে! প্রকৃতি-বিচ্ছিন্নতাই কি...
-মুখার্জীবাবু। চা।
এ ডাকে তন্দ্রা ছিঁড়ে ধড়মড়িয়ে উঠে বসে উদ্দালক। তবুও তন্দ্রার আবেশ তার চেতনায় তখনো রেশ রাখায় তার চোখ স্থানিক ছায়া আঁকতে সময় নেয় যেন, যদিও তা ক্ষণিকমাত্র, পরক্ষণেই নতুন টিনের তৈরি বাক্সমাফিক চৌখুপিটা তার নজর টানলে ধাতস্থ সে, মুখার্জীবাবু যে এক্ষণে, স্থান-কাল-পাত্র সম্পর্কে জানকারি পায়। অন্ধকারেও জ্বলজ্বলে ফ্যাকফেকে সাদা সে চৌখুপিটা চুড়ান্ত অশ্লীল ইয়ার্কির ভঙ্গিতে তার উদ্দেশ্যে চোখ মারে বলে মনে হয় উদ্দালকের। পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্রের আঁতুড়ঘর এ চৌখুপি, আপাতত দুদিনের তরে! অক্ষম রাগ-ক্ষোভও কখনও কখনও নিরুপায়ের হাসি চারায় মানুষের মনে, কেননা তার ঠোঁটের ফাঁকে এক টুকরো তেতো হাসি আভাস আনে যেন বা।
-মুখার্জীবাবু! আবারও আহ্বান জাগলে সে মুহূর্তিক বাস্তবে ফেরে।
-আরে! সরফরাজবাবু! চা পেলেন কোথায়!
-রমেশ, ওই থার্ডপোলিং ছেলেটা করিত্কর্মা খুব। সে তার ব্যাগে করে ছোট্ট এই ফ্লাস্কটাও এনেছে। সে-ই বাসস্ট্যান্ডের দোকান থেকে চা-বিস্কুট নিয়ে এসেছে। ফ্লাস্ক থেকে প্লাস্টিকের কাপে চা ঢালতে ঢালতে ফার্স্টপোলিং সরফরাজ বলে।
ভর করোনাকালে একটু ইতস্তত করেও পকেট থেকে স্যানিটাইজারের শিশি বার করে হাত জীবাণুমুক্ত করে সে। --আজ সকাল থেকেই যা করোনাবিধি! এখনো আজ রাত, কাল ভোটের সারাদিন... ! জোর করেই ভাবনাকে আর বাড়তে না দিয়ে হাত বাড়িয়ে চা-বিস্কুট নেয় সে। সশব্দে তৃপ্তির চুমুক ঝরে পড়ে দুজনের মুখেই একসঙ্গে যেন—আহ!
সেই বেলা বারোটা নাগাদ ডি.সি.আর.সি.-তে যা একটু চা খাবার ফুরসত পেয়েছিল তারা। ততক্ষণে সরফরাজও ঘাসে বসে পড়েছে।
-রমেশ ছেলেটা সত্যিই কাজের। সে চায়ের দোকানে কথা বলে রাত্রের জন্য রুটি-আলুর দমেরও পাকা ব্যবস্থা করে এসেছে। ওরাই দিয়ে যাবে।
-বাহ! রাতের মতো তাহলে নিশ্চিন্ত।
-কিন্তু ওই বায়ো-টয়লেটে আর বাইরের এক ড্রাম জলে বারোজন লোকের কি করে ব্যবস্থা হবে বলুন তো! ও তো মুহূর্তে নরক হয়ে যাবে। সিগারেটের ধোঁয়ার সঙ্গে নিজের হতাশাকেও ভাসিয়ে দেয় উদ্দালক।
-ও নিয়ে ভাববেন না দাদা। আমি মসজিদে গিয়ে কথা বলে রেখেছি। আমাদের চার পোলিংপার্টির ওখানে ব্যবস্থা হয়ে যাবে।
-কিন্তু আমি...আমি যে ব্রাহ্মণ, পৈতে আছে। ওরা...
-দূর-দূর! এ আপনাদের মন্দির নয়। আর সঙ্গে আমি তো আছিই। সরফরাজ ধোঁয়ার সঙ্গে ব্রাহ্মণ উদ্দালকের ভাবনাকে উড়িয়েই দেয় যেন।
উদ্দালক আশ্বস্ত হয়, তবুও কোথাও একটা থাপ্পরের ঘা যেন ফুটে ওঠে তার অবচেতনে, আর তা অবয়ব পাওয়ার আগেই কাছে-পিঠে কোথা থেকে যেন আজানের সুর ভেসে আসে। সে সুর যে এতো মধুর—তা এ প্রথম উপলব্ধি করল তার মন। চোখ বন্ধ করে স্তব্ধ বসে থাকে সরফরাজ আজান চলাকালীন। স্তব্ধ হয় উদ্দালকও। মাগরিবের নামাজ—সরফরাজ পরে বলে তাকে। তারা দু-জন মসজিদ পানে যায়। একটু হাত-মুখ ধুয়েই চলে আসবে তারা আপাতত। চলে আসতে হবে মহান গণতন্ত্রের ওই টিন-নির্মিত মন্দিরে, যেহেতু গণতন্ত্রের এ পুজোয় প্রচুর কাগুজে নিয়ম-কানুন। হয়তো রাতই জাগতে হবে। একটা চোরা উদ্বেগও যেন ছায়ার মতো লেপ্টে থাকে তার মনে সর্বক্ষণ।
॥ ২ ॥
যখন ভোটের সরকারি আমন্ত্রণপত্র তার নামে তার অফিসে এসে পৌঁছায় তখন থেকেই একটা চোরা টেনশন ভর করে উদ্দালকের মনে, যেহেতু তার বছর দশেকের চাকরি জীবনে এটাই ছিল ভোট ডিউটির নেমত্তন্ন চিঠি। দু-বছর আগের লোকসভা ভোটে তো তাদের ব্যাঙ্কের এ ব্রাঞ্চে কারও নামেই চিঠি আসে নি। তবে এবারে করোনা অতিমারির জন্য পরিস্থিতি নাকি আলাদা! তবুও গণতন্ত্র রক্ষার মহান কর্তব্য, অন্যদিকে মানুষের জীবন—তাই এবার বুথের সংখ্যা পঞ্চাশ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে, যাতে বুথে ভিড় না বাড়ে, নাগরিক-স্বাস্থ্য অক্ষুণ্ণ থাকে! অতএব গণতন্ত্র নামক অতিজাগ্রত দেবতার বলি তার মতো নিরীহ কিছু সরকারি পাঁঠা! হ্যাঁ, এমনই ভাবে উদ্দালক, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অফিসার যে। নাগরিক স্বাস্থ্য! এই তো কদিন আগেই বামপন্থীরা ব্রিগেড়ে লাখ-লাখ লোকের মিটিং করল। কোথায় জনস্বাস্থ্য, কোথায় করোনাবিধি! আগামী রবিবার তো স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর ব্রিগেডসভা! আসলে মানুষ কোথায়? সবাই তো রাষ্ট্রের চোখে ভোটার শুধু! নইলে গত বছর করোনাকালে হঠাত্ লকডাউনে কত কাজ হারানো পরিযায়ী শ্রমিক হাজার-হাজার মাইল পায়ে হেঁটে পাড়ি দিয়েছিল, যে অভিযোজনে মৃত্যুও ছিল। তারা পথ হেঁটেছিল নিজের গাঁয়ে ফিরতে চেয়ে— একটু খেতে পাবার জন্য, একটু মানুষের মতো সম্মানের সঙ্গে বাঁচার জন্য শুধু। কেননা ভিনরাজ্যে তারা তো মজুর শুধু, ভোটার নয়! অতএব কোনও রাজনৈতিক দলেরই দায় ছিল না তাদের প্রতি। আর করোনার চিকিত্সা? গাঁয়ে-গঞ্জে? একটা তেতো হাসি ঝুলিয়ে দেয় তার ততটা পুরনো নয় ঠোঁটজোড়া। এ দেশে, বোধহয় সব দেশেই যার টাকা আছে সে অধিকতর নাগরিক, রাষ্ট্রের সুবিধাভোগী। নাছোড় ভাবনারা উদ্দালককে ছেড়ে যেতে চায়ই না যেন! যে ভাবনা তাকে এ সিদ্ধান্তে আসতে প্ররোচিত করে যে—আসলে সব তন্ত্রের শেষ কি একনায়কতন্ত্রে! অথচ উদ্দালক তো রাজনীতির লোক না, সে তো রাজনীতিকে ঘেন্নাই করে এসেছে ছোটো থেকে! এ ভাবনাও যখন তাকে বিস্মিত করতে চায়, তখন তাকে একপ্রকার উদ্ধার করে ক্যাশিয়ার বোস’দা।
টিফিনে তার ঝুলে পড়া কাঁধে চাপড় মেরে বলে—আ রে ঘাবড়ানোর কিছু নেই ব্রাদার! আমি চার-চারটে ভোট পার করেছি ভাই। মোদ্দা কথা হল যেদিকে স্রোত, সেদিকে গা ভাসানো। তবে হ্যাঁ, গা ভাসাও...ওই পর্যন্তই, বসন যেন না ভেজে! হাঃ হাঃ হাঃ!
নিজের রসিকতায় নিজেই উছলে ওঠেন বোস’দা।
-আর একটা কথা জানো তো...বোবার কোনো শত্রু নেই। কোনো রকম তর্ক-বিতর্কে যাবে না। গত বছর আমার ভাঙরে ডিউটি পড়েছিল। ওই হাঙর-কামট ভরা ভেড়ি থেকে প্রাণ বাঁচিয়ে বহাল তবিয়তে ফিরে এসে...
বোস'দা একটু থামেন। দাঁতের ফাঁক থেকে খাবারের কুচিটা বের করে জিবে খেলাতে খেলাতে আবারও হাল ধরেন।
-আগের সন্ধে থেকেই দফায় দফায় কোল্ডড্রিংকস। ডিনারে রুটি মাংস, লাঞ্চে বিরিয়ানি।
মজাই লাগে উদ্দালকের। সে লোকটাকে উসকে দেয়—পেট খারাপ হয় নি তো গরমে?
-হ্যাঁ রে! সঙ্গে জেলুসিল আর মেট্রোজিল ছিল না! ভাই, ও ওষুধ দুটো মাস্ট। সেই সাঙ্গে মুড়ি, চিড়েভাজা, বিস্কুট, কেক... মানে শুখনো খাবার আর সাফিসিয়েন্ট খাবারজল। নইলে এমন বাঁশবনেও পড়তে পারো, যেখানে খাবারজলই...
বোস’দা সিগারেটের ধোঁয়া উড়িয়ে বাকি কথাটা ভাসিয়ে দেন,-হয়তো পেলে না!
এমন ভাসা কথাবার্তায়, লঘু যা, উদ্দালকের মন একটু হাল্কা হয় যেন।
-আচ্ছা, সেন্ট্রাল অবজারভার কিছু বলে নি? নাকি ওরাও আপনাদের মতোই ঘণ্টায় ঘণ্টায় চা, কোল্ডড্রিংকস, বিরিয়ানি?
-ধুস! সেন্ট্রাল অবজারভার! ওসব এলাকায় লোকাল নেতারাই সেন্ট্রাল, গ্লোবাল...
বোস’দা সিগারেটের ছাই ঝাড়ার সঙ্গে বিষায়টাকেও টুসকি মেরে বাঁশবনের বাদাড়েই ঝেড়ে ফেললেন যেন!
-আর লাস্ট সাজেশন। গণতন্ত্র-ফনতন্ত্র কিচ্ছু না। আসল তন্ত্র হচ্ছে প্রাণতন্ত্র... চাচা আপন প্রাণ বাঁচা। তুমি যদি ভাব সেন্ট্রাল ফোর্স তোমার জন্য, তাবে তুমি আমাদের তন্ত্রমন্ত্র কিচ্ছুটি জানো না ব্রাদার। ওরা তোমার পাহারাদার নয়। ওরা শুধু ভোটিং মেশিনের পাহারাদার।
বোস’দা সিগারেটে শেষ টান দিয়ে উঠতে উঠতে শেষ জ্ঞানবাণীটুকু ভাসিয়ে দেন উদ্দালকের পানে—আমাদের আমোদগেঁড়ে দেশে ভোট হচ্ছে আমোদতন্ত্র। হাঃ হাঃ হাঃ। আমোদগেঁড়ে হাসিটা প্রতিধ্বনি তুলে বোস’দার পিছন পিছন তার লোহার খাঁচায় ঢুকে যায়।
অথচ উদ্দালক তার এই পঁয়ত্রিশ পার জীবনে আজ পর্যন্ত ভোট দেয় নি। না, কোনো সচেতন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে, চলতি সিস্টেমের প্রতিবাদে তার ভোট বয়কট নয়, বরং ছোটো থেকে তার বাড়ির, তার লক্ষণরেখায়িত চারণক্ষেত্রের অপর রাজনীতি তার মজ্জায় মজ্জায় এটাই চারিয়ে দিয়েছিল যে দেশের তথাকথিত ‘রাজনীতি’ তাদের মতো ভদ্র-শিক্ষিতজনের নয়—তা ছোটোলোক, লুম্পেনদের করে খাওয়ার চারণভূমি বই অন্য কিছু নয়। ‘সংসদ শুয়োরের খোঁয়াড়’—নাঃ, এমত বিশ্বাসও তার অবচেতনে ঘাই তুলেছিল, এমনটাও বলা যাবে না…যদিও তেমন সম্ভাবনা থাকেলেও থাকতে পারত! হ্যাঁ, পারত, অতীত যা, কেননা তার ওই লক্ষণগণ্ডি! যে গণ্ডির মধ্যে তার গল্ফগার্ডেনের পাঁচিলঘেরা সাজানো কমপ্লেক্স, টাইবাঁধা দামী কনভেন্ট স্কুল, ঠাকুরদার টাকায় ব্যাঙ্গালুরুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, এম.বি.এ. আর সাউথসিটি, সল্টলেক, পার্ক স্ট্রিট, নিউ টাউনের একান্ত নিজস্ব ইন্ডিয়াক্ষেত্র। তারপর এই ব্যাঙ্কের ‘কারিয়কর্তার’ চাকরি। যদিও এখনো অবধি তার পোস্টিং কলকাতা কেন্দ্রিক, তবুও ব্যাঙ্কে ঢুকে আরেক ভারতের ছায়া কিছুটা হলেও ছুঁয়ে যায় তাকে নিত্যদিন। এই চেনা তার খারাপ লাগে তেমন। কিন্তু এই ভোটের ডিউটি! কেন যে আই.টি.-এর চাকরি না নিয়ে, মায়ের মতের বিরুদ্ধে গিয়ে সে ব্যাঙ্কে এলো! তবে কি...
উদ্দালক অবচেতনে উঠে আসা শব্দকে রূপ পাবার আগেই গলা টিপে হত্যা করে, যে প্রতিক্রিয়ায় একটা চাপা দীর্ঘশ্বাস উঠে আসে তার বুক মুচড়ে। (ক্রমশ)