দোঁহা

সততার আরেক নাম ঋত্বিক, উন্মাদনারও ...


 
অমর্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায়

শিরোনাম লিখতে গিয়ে হাত কেঁপে গিয়েছিল। শিরোনামের নীচে নিজের নাম দস্তখত করতে গিয়ে হাতের জোর প্রায় কমে আসার উপক্রম। ঋত্বিককে নিয়ে যে আগে লিখিনি তা নয়। কিন্তু এবারে যখনই ভাবনা সাজাতে বসলাম, এক বন্ধু মনে করিয়ে দিল-সাহস থাকলে দেশভাগ আর ঋত্বিককে বাদ দিয়ে কিছু লিখে দেখাস। চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলাম বলেই একটা বই পড়া হল। এই লেখার শেষে তার নাম বলব। আপনারাও পড়ে দেখতে পারেন। আর সেই বই থেকেই শিখলাম সৎ হতে গেলে পরে কোনও মূল্য লাগে না। ঋত্বিক সম্পর্কে আমি যে গদগদ, তা যদি শিরোনাম অথবা প্রথম দু-একটি পংক্তি পড়েই কারও বা মনে হয়ে থাকে – বুক বাজিয়ে স্বীকার করে নিতে রাজি আছি, আমি তাই। কিন্তু সেই গদগদ ভাবটাকে যদি সত্যকারের ভালোবাসা অথবা অনুরাগীর চোখ দিয়ে কেউ দেখতে পারেন, তাহলে দেখবেন তাতে নিছকই স্তাবকতার উপাদান নেই। ‘বাংলা’ খেয়ে ‘বাংলা ছবি’ বানিয়েছেন বলেই তাঁকে নিয়ে হইচই করতে হবে, আমি ঋত্বিককে এভাবে দেখিনা। যেমনটা কাদম্বরী দেবীকে দেখিনা রবীন্দ্রনাথের প্রেমিকা হিসেবে। এই কথাগুলোকে সরাসরি বলা প্রয়োজন।

ঋত্বিকের উত্থান সাহিত্য থেকে, তারপর মঞ্চ। সবশেষে সিনেমাতে প্রবেশ। কিন্তু এমন সমস্ত শিল্প মাধ্যমগুলিকে ঋত্বিক বেছে নিয়েছিলেন তার কারণ হল তিনি বলতে চেয়েছিলেন। বিশেষ কিছু বক্তব্যকে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। সেই বক্তব্যকে অনেক মানুষের কাছে পৌঁছিয়ে দিতে চেয়েছিলেন, এবং অবশ্যই সেই বক্তব্য ছিল রাজনৈতিক বক্তব্য। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক বক্তব্য আর পার্টি’র বক্তব্য দুটি বিষয়ের মধ্যে কিন্তু ফারাক রয়েছে। খোলাখুলি বলতে গেলে, বিস্তর ফারাক রয়েছে। সেই ফারাক মানুষ অথবা সুবিধেবাদী নেতৃত্ব বুঝতে চায়নি বলেই ঋত্বিককে কমিউনিস্ট পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরবর্তীতে তাঁর সেই বক্তব্য অথবা মতামতগুলিকে কিন্তু পার্টি নেতৃত্বও অস্বীকার করতে পারেনি। শিল্প যেমন কেবল মাত্র শিল্পেরই জন্য নয়, নান্দনিকতারই জন্য নয়-ঋত্বিক যেমন ভাবে একথাকে বিশ্বাস করতেন, ঠিক তেমনই বিশ্বাস করতেন রাজনীতির জন্য শিল্প নয়, প্রচার কোনোভাবেই শিল্পের উদ্দেশ্য নয়, এই কথাও। নিজের বিভিন্ন লেখাতে, সাক্ষাৎকারে ঋত্বিক উল্লেখ করেছেন ‘slogan-mongering’ আমার ছবি তৈরির উদ্দেশ্য নয়! ঋত্বিক নাগরিক দলিল তৈরিতে বিশ্বাসী ছিলেন। ‘নাগরিক’, ‘অযান্ত্রিক’, ‘বাড়ি থেকে পালিয়ে’, ‘মেঘে ঢাকা তারা’, ‘কোমল গান্ধার’, ‘সুবর্ণরেখা’, ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘যুক্তি-তক্কো আর গপ্পো’–মোটামুটি ভাবে দেখতে গেলে ঋত্বিকের প্রদর্শিত ছবির তালিকা এই। এছাড়াও রামকিঙ্কর বেইজের উপরে, আলাউদ্দিন খাঁ সাহেবের উপরে তাঁর তথ্যচিত্র, লেনিনের উপরে তাঁর স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবিটি, ইত্যাদিও আজকাল দেখতে পাওয়া যায়। দেশভাগ বাদ দিলেও, বিষয় নির্বাচন এবং একেবারে প্রযুক্তিগত খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে ঋত্বিক যা কিছু করে দেখিয়েছিলেন, সেদিকগুলি থেকে তাঁকে বিচার করলে তিনি সব অর্থেই ছিলেন একজন iconoclast, প্রতিষ্ঠান-বিরোধী অথচ মৌলিকত্বের দিক থেকে চরম মেধাবী ও তদুপরি নগ্নতম সত্যের এক মূর্ত প্রতিরূপ, সৎ একজন মানুষ। যিনি কিনা মানুষের কথা বলতে চেয়েছিলেন। মানুষেরই কাছে সেই বক্তব্যকে পৌঁছতে চেয়েছিলেন। এই আমাদের ঋত্বিক ঘটক।
 
 
ঋত্বিকের সাক্ষাৎকার থেকেই কিছু অংশ তুলে আনি। ‘বাড়ি থেকে পালিয়ে’ ছবির বিষয়ে বলতে গিয়ে ঋত্বিক বলছেন, “একটি শিশুর চোখে মহানগর। তাই একটা বিশেষ lense ব্যবহার করেছিলাম ছবিতে। ঠিকই, ছবিতে technical কাজ বিশেষ ভাবে করেছি। কিছুটা সময় sound track বিশেষ ভাবে বাজিয়েছি– যেমন ধরুন, যে speed–এ music take করেছি, তার প্রায় তিনগুণ speed–এ transfer করে ছবিতে ব্যবহার করেছি। Lense 300 long focus-এ বিশেষ angle-এ ছবি তুলেছি। এতে যে effect হয়েছে তাতে ছবিতে দেখা যাবে যে গাড়ি চলছে, চাকা ঘুরছে অথচ গাড়ি এগোচ্ছে না। দর্শকের কাছে একটা fantastic effect বলে মনে হবে। আবার কোন-কোন জায়গায় 18mm lense–এ object-কে intentional distortion করেছি। এগুলো যেন ছেলেটির চোখ দিয়ে দেখা subjective use.”
 
 
‘বাড়ি থেকে পালিয়ে’ ঋত্বিক বানিয়েছিলেন যখন, সাল ১৯৫৮। ছোটদের গল্প নিয়ে তৈরি একটা ‘সামান্য (?)’ ছবির পিছনে এতখানি ভাবনা? এতখানি পরিশ্রম? আধুনিকতার শুরু তো সেই জায়গা থেকেই। আরও একটা জিনিস মনে হচ্ছিল। ঋত্বিকের সাক্ষাৎকারের এই অংশটি পড়তে পড়তে। ঋত্বিক কি ভিতরে ভিতরে একজন আদর্শ শিক্ষক হিসেবেও বেড়ে উঠেছিলেন? তাঁরই আরেকটি সাক্ষাৎকার এই প্রসঙ্গে তুলে আনা যাক, যেখানে তিনি বলছেন – “আমি মনে করি আমার জীবনে আমি যে কয়টা সামান্য ছবি বানিয়েছি সেগুলি যদি পাল্লার একদিকে দেওয়া হয় আর মাস্টারিটা যদি আর-এক দিকে দেওয়া হয়, তবে ওজনে এটা অনেক বেশি হবে। কারণ কাশ্মীর থেকে কেরালা, মাদ্রাজ থেকে আসাম পর্যন্ত সর্বত্র আমার ছাত্র-ছাত্রী আজকে উঠেছে। I have contributed at least a little in their luck which is much more important than my own film making. আমি বলছি তো, ওজনে এটা অনেক বেশি।” [পুনা ফিল্ম ইনস্টিটিউটে শিক্ষকতা প্রসঙ্গে]
 
 
‘মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারানো পাপ’, রবীন্দ্রনাথের এই বাক্য আজন্ম বুকে করে নিয়ে চলেছিলেন ঋত্বিক ঘটক। আরও বিশ্বাস করতেন গুরুদেবেরই আরেক বক্তব্যে, যেখানে দ্বিতীয়জন বলেছিলেন – “শিল্পকে প্রথম সত্যনিষ্ঠ হতে হবে, তারপর সৌন্দর্যনিষ্ঠ।” এই বিশ্বাস থেকেই সততা, যুক্তি এবং মানবতা–এই তিন ভিত্তির উপরে তাঁর (ঋত্বিকের) সৃষ্টি দাঁড়িয়ে। খোলাখুলি যিনি আলোচনা করেছিলেন নদীমাতৃক বাংলাদেশকে নিয়ে ছবি করতে গিয়ে দুটি উপন্যাস একইসঙ্গে তাঁর পছন্দ ছিল। এক, পদ্মানদীর মাঝি, লেখক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়। দুই, তিতাস একটি নদীর নাম, লেখক অদ্বৈত মল্লবর্মন। ঋত্বিক দ্বিতীয়টিকেই বা দ্বিতীয়জনকেই বেছে নিয়েছিলেন। কারণ হিসেবে বলে গিয়েছেন, “... কিন্তু উনি (মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়) দেখেছেন এই জেলেদেরকে বাবুদের চোখ থেকে। তিনি ভদ্রলোকের ছেলে, তিনি কিছুতেই...ঐ যে... একটা জায়গায় গণ্ডগোলটা আছে আর কি। আর এই অদ্বৈত মল্লবর্মন নিজে একজন মালো, নিজে একজন জেলে। সে একটা মানে blah blah করে গেছে। মানে গুচ্ছের অকারণ কথা আছে। কিন্তু from inside–একেবারে ওদের গভীর থেকে দেখা।” ...ঋত্বিক আজীবন এই সততার কথা বলেছেন। মতাদর্শের অধীনে নিয়ে আসা, বিশেষ কোনও এক ধরণের formএ ফেলে দেওয়া–এই বিষয়গুলি তাঁর চিরকালের অপছন্দের ছিল। যে কারণে ফরাসি নবতরঙ্গ সিনেমা নিয়েও তিনি বাড়তি উচ্ছ্বাস দেখাননি। বার্গম্যানকে জোচ্চোর অথবা গোদারকে “is an utter communist filmmaker” বলতেও তাঁর বাধেনি। যখন যে আবেগ তাঁর যুক্তিকে তাড়িত করেছে, (‘প্রভাবিত’ শব্দটি সচেতন ভাবে ব্যবহার করলাম না, কারণ প্রভাবিত শব্দ থেকে ক্রমশ আচ্ছন্নভাব ইত্যাদির এসে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে ও সেক্ষেত্রে যুক্তির পাল্লা লঘু হয়ে পড়ার সম্ভাবনা)–সেই আবেগকে ফুটিয়ে তুলতে ঋত্বিক পিছিয়ে আসেননি। তিনি তাঁর ছবিতে গানের ব্যবহার করেছেন। যথেষ্টভাবেই করেছেন, এবং সেই প্রসঙ্গে বলেছেন, নিজের মনের ভাবকে ব্যক্ত করতে কেউ লেখে, কেউ ছবি আঁকে, কেউ বা গান গায়। কোনও বিশেষ ক্ষেত্রে যদি মনে হয় গান প্রয়োজনীয়, তাহলে সেই গান ছবিতে আসতে বাধ্য। গণ্ডি ব্যাপারটাই ঋত্বিকের স্বভাবে ছিল না। নিয়মে বাঁধা পড়তেই  তিনি অস্বীকার করেন।
 
 
ঋত্বিক মানুষের কথা বলতে চেয়ে কবিতা লিখেছিলেন। অনেক মানুষের কাছে তিনি সাহিত্যের মাধ্যমে পৌঁছতে চেয়েছিলেন। তারই মধ্যে তাঁর মনে হল নাটকের মাধ্যমে এই কাজ আরও ভালো ভাবে করা যায়। অনেক দর্শকের কাছে নাটকের মাধ্যমে পৌঁছনো সম্ভব। সেই ভাবনা থেকেই আইপিটিএ, সেই ভাবনা থেকেই গণনাট্য আন্দোলন। কিন্তু পার্টি তাঁকে মর্যাদা দেয়নি। সিনেমার প্রতি তিনি আকৃষ্ট হলেন সিনেমার আরও বহুগুণ বেশি মানুষকে আকৃষ্ট করার ক্ষমতা দেখে। ইতিমধ্যে তাঁর সততা ও যুক্তিনিষ্ঠতার ঠেলায় তিনি অনেকেরই বিরাগভাজন হয়ে উঠেছেন। ১৯৫৪ সালে কমিউনিস্ট পার্টি সদস্য থাকাকালীনই তিনি ‘অন দ্য কালচারাল ফ্রন্ট’ নামে একটি থিসিস লেখেন। সেখানে পার্টি ও শিল্পীর মধ্যে সম্পর্ক ও উভয়ের, উভয়ের প্রতি দায়িত্ব সম্পর্কে দীর্ঘ তাত্ত্বিক আলোচনা ছিল। ১৯৫৫ সালের অক্টোবর মাসে পার্টি থেকে তিনি বহিষ্কৃত হন। মেধা ও সততার প্রশ্নে তিনি  বহু-বহুবার এমন আঘাতের সম্মুখীন হয়েছিলেন। মানুষের চেয়ে বড় সত্যি তাঁর জীবনে আর কিছুই ছিল না। সেই বিশ্বাসকে অন্য যে কোনও বিশ্বাসের সুমুখে দাঁড়িয়ে বুক বাজিয়ে বলতেও গলা কাঁপেনি তাঁর। সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলতে পেরেছিলেন বলেই তিনি ঋত্বিক ঘটক।
 
 
উন্মাদনা, অথবা উচ্ছ্বাস–পুনায় নিজের পড়ানো সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, “সেখানে নতুন ছেলেমেয়েরা অনেক আশা নিয়ে, অনেক বাঁদরামি নিয়ে আসে, বাঁদরামি মানে ঐ নতুন মাস্টার এসেছে, তার পেছনে লাগতে হবে। তাদের মধ্যে গিয়ে আমি ঝপাং করে পড়লাম...” এই উচ্ছ্বাসের নামই ঋত্বিক। ‘মদ্যপানজনিত আলোচনা’ তাঁর জীবনের অতি ক্ষুদ্র এক অংশ মাত্র। তাঁর উচ্ছ্বাস সত্যি–তাঁর শেষ সিনেমাতে–“যুক্তি-তক্কো আর গপ্পো’এর সেই সংলাপের মতোই। নীলকণ্ঠ যেখানে দরদভরা কন্ঠে জ্বলজ্বলে দুটি চোখ নিয়ে বলে ওঠেন হঠাৎ, “প্রেমে পড়ে...” পর্দাজুড়ে গাছের সারি তখন, সুরেলা কন্ঠে বেজে ওঠা গান “আমার অঙ্গে অঙ্গে কে বাজায়...” চোখ নিবিড় হয়ে আসে। অথবা সেই ‘মেঘে ঢাকা তারা’র ভোর।

এ টি কানন সাহেবের গলায় ভৈরবী সুর। ঋত্বিক বুনুয়েলের ‘ভিরিদিয়ানা’ ছবির কথা বলেছেন। আইজেনস্টাইনের ‘ব্যাটলশিপ পোটেমকিন’এর কথা বলেছেন। তিনি নিজে নির্মাণ করেছেন ‘সুবর্ণরেখা’র উপাখ্যান। দেশভাগের কথা নাহয় অনুচ্চারিত থাকুক। কেবল মনে পড়ুক সেই মালভূমি অঞ্চলের বিস্তীর্ণ, দূর বিস্তীর্ণ একেকটি শট, ক্যামেরার চোখ দিয়ে অমোঘ দৃশ্যায়ন। জঙ্গলের ভিতর সেই প্রাচীন উড়োজাহাজ। রানওয়ের উপরে ছুট। একেকটা ফাটল, আর-তারই উপর দিয়ে সরসর করে শুকনো পাতার উড়ে যাওয়া, রবিঠাকুরের গান-মা কালীর মূর্তি ধরে, লোলজিহ্বা সেই বহুরূপীরও হঠাৎ আবির্ভাব!

...অথবা ‘অযান্ত্রিক’! ঋত্বিকের ছবিরা, সব দিক দিয়েই-কবিতা হয়ে উঠতে চায়!
 
 
যাঁরা তাঁর বোহেমিয়ান নেশাগ্রস্ততা নিয়ে অধিকতর আবেগতাড়িত হয়ে থাকেন, ঋত্বিকের কথা দিয়েই তাঁদের উদ্দেশ্যে একটি বক্তব্য রাখতে চাইব। ঋত্বিক নিজেই নিজের সম্পর্কে যা বলেছিলেন। উদ্ধৃত করছি,

“আমি জানি আমার দোষগুণের কথা। আমি জানি আমার অপবাদের কথা। তবুও একটা কথা আজ আপনাকে জানিয়ে রাখি। আমি আজও মরে যাইনি, হার স্বীকার করিনি। আমি নীরবে সে সুযোগের অপেক্ষায় আছি। আজ না-পারি কাল, কাল না-পারি পরশু–আমি প্রমাণ করে দেব আজও আমি সংগ্রামী মানুষের পাশে এসে দাঁড়াবার ক্ষমতা রাখি। তাদের আমি ভুলে যাইনি। অভাব-অনটন-অপবাদ কিছুই আমাকে পথভ্রষ্ট করতে পারবে না, তার জন্য যে মূল্য দিতে হয়, আমি দিতে প্রস্তুত। মরবার আগে আমি প্রমাণ করে দিয়ে যাব, আমার চারপাশের জনতার চাইতে আমি অন্যরকম।”

অন্যরকম। সমস্ত সংগ্রামের ঊর্ধে, নীলবর্ণ নক্ষত্র এক–জ্বলজ্বল করে। আমি সেই নক্ষত্রের ‘ঋত্বিক’ নাম দিলাম।

সূত্রঃ

[১] ‘অন দ্য কালচারাল ফ্রন্ট’, ঋত্বিক ঘটক, নাট্যচিন্তা, প্রথম প্রকাশ - বইমেলা, জানুয়ারি ২০০৩
[২] ‘নিজের পায়ে নিজের পথে’, ঋত্বিককুমার ঘটক, সংকলন বিন্যাস সন্দীপন ভট্টাচার্য, মনফকিরা, প্রথম প্রকাশ – কলকাতা চলচ্চিত্রোৎসব, নভেম্বর ২০১০

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন