দোঁহা

সিজনারের হস্তি দর্শন



সব্যসাচী মজুমদার 


নব্ব‌ই কেটে গেছে। তখন চুরানব্ব‌ই। মুক্ত পৃথিবীর ঈষৎ স্পর্শ লাগছে মফসসলগুলোতে। ই এস পিন, স্টার মুভিজ, ডিসকভারি তখন না আসলেও শ্রীদূরদর্শন যথেষ্ট ছিল। আর বিশ্বকাপের রাত জাগার শরিক কে না হতে চায়,যখন পাশের বাড়িতেই মহা পিকনিক আমেজে চলছে বাল থেকে বৃদ্ধের রাত্রি গুলজার! 
এভাবেই হঠাৎ দেখে ফেলা চুইংগামের কার্ডের নায়কদের। তবে ঘন রাতের চোখের আঠায় ভরা সে দৃষ্টি হঠাৎ একদিন, একদিন‌ই চমকে উঠে সোজা হয়ে বসল। একটা মানুষ, যে মানুষ নাকি যখন তখন যেমন খুশি লম্বা হয়ে উঠতে পারে, সেদিন খেলতে নেমেছিল। প্রথম দেখা খেলা? যতবার জিজ্ঞেস করেছি নিজেকে, দেখছি, বাতিগোল উইং ধরে দৌড়চ্ছে যখন, তার উল্টো দিকের উইঙে ঘটে যাচ্ছে অসম্ভব কিছু ঘটনা, ছোট ছোট বিদ্যুচ্চমকের পর বলটা এসে পৌঁছেছে বাতিস্তুতার পায়ে, তারপর ঘর ভরা চিৎকার। এরকম পর পর তিন বার ‌। মাঝখানে ক্যামেরা ধরছে একজন ঝাঁকড়া চুলের ছোটো মানুষকে, যেন গোলাপ বাগানে হাওয়া খেতে এসেছেন, যেন কালীতলা পর্যন্ত জগিং করতে যাওয়া ভোরবেলার ন'মামা। ফুটবল কী সহজ! কী উত্তেজক! এমন সময় বক্সে একটা অদ্ভুত মোচড়ের পর জানতে পারলাম লোকটা এবার নিজেই গোল করল। সেকী শিহরণ, দাদা-মামাদের মধ্যে! আহা আহা'তে ভরে যাচ্ছে ঘুম পালানোর রাস্তাঘাট। লোকটা কিছু পর উঠে গেল। বেশি কিছু না, গ্রুপের ম্যাচে আর্জেন্টিনা গ্রীসকে চার শূন্য গোলে হারিয়েছে। কিন্তু, বাতিস্তুতার হ্যাট্রিকের মধ্যে একটা একটা লয়কারি ঘটেছে, মারাদোনার একটা গোল।

পরদিন থেকেই সকলের মুখ ভার আর উত্তেজিত, খাট-রক-বেঞ্চি চাপড়ানো তর্ক।জানা গেল, ডোপ করে মারাদোনা সাসপেন্ড। সম্ভবতঃ আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলার আয়ুও খতম। ডোপ বিষয়টি যথেষ্ট‌ বুঝি সেই দশ বছরের আয়ুতেই।কেন, সে প্রসঙ্গে পরে আসছি। ভালোমতো বুঝতে পারছি, যার কাটানো নকল করতে করতে কেটে যায় উঠোনের বিকেলটা আর শেষ পর্যন্ত থেঁতলে যায় বাতাবি লেবু, সে আমাদের পাশের বাড়ির টিভিতে আর খেলবে না। আমাদের রেডিওতেও 'ম্যারাডোনা...ম্যারাডোনা ...ম্যারাডোনা..."বলে চেঁচাতে চেঁচাতে কেউ শেষ পর্যন্ত এক নিঃশ্বাসে ',গোওওওওওওও...' বলতে বলতে নিঃশ্বাস হারিয়ে ফেলবে না।
 
 
 
বাঙালি, ষড়যন্ত্র খুঁজে পাবেই। অকাট্য কিছু যুক্তি বলে দিল এটা ইউরোপ আর ফিফার মিলিত ষড়। আর একনিষ্ঠ ব্রাজিল বিরোধী অজয় দাদু কাউকে না পেয়ে আমাকেই ঝাড়া একঘণ্টা ধরে বুঝিয়ে দিল, এটা আসলে পেলের ষড়যন্ত্র। আজন্ম এবং বংশগত সর্বক্ষণের  রাজনৈতিক কর্মী আমার বাবা তখন পা ভেঙে বিছনায়। ছ'মাস মেয়াদের দ্বিতীয়টা পাড় হয়েছে সদ্য, কাছে গেলেই মোটামুটি রাশিয়া হয়ে লাতিন আমেরিকার ইতিহাসের গলি ধরে গুয়েভরা থেকে কাস্ত্রো পর্যন্ত পৌঁছে বলিভিয়া পর্যন্ত ঘুরে আসা হয়ে যেত। সমস্যা  হলো, আমার দায়িত্ব ছিল,সকাল-বিকেল বাবার সঙ্গে খাওয়া। খেতেই হতো।

কখন যে লোকটা এভাবেই রূপকথা হয়ে গেল বুঝতে পারিনি। এখন হয়তো কিছুটা আন্দাজ করি, এরকমভাবে জীবনে, সবার জীবনেই একটা প্রেম থাকে।বোঝা যায় না,কখন ঘটে গেছে, কিন্তু ঘটে যায়।ঘটে যাওয়ার পর বোঝা যায়-আর নিস্তার নেই।

২.

আমার প্রাথমিক আর মাধ্যমিক বয়সটা কেটেছে উনিশশো নব্ব‌ই দশকে। দশকের সব রহস্য বুঝতে পারতাম না হয়তো, কিন্তু ছবিগুলো তো দেখতে পেতাম। একশো ওয়াটের বাল্ব জ্বলা সন্ধ্যায় এন্টেনার ছায়া দীর্ঘ হতো ভাঙাচোরা রাস্তায়। হাড় বের করা মানুষরা তখন জমেছে ধোঁয়া ধোঁয়া গলির কোণে আর ফুটপাতের দুরূহতম চকে। এ মফস্বলের পাশেই তখন এমন একটা গ্রাম ছিল, ডাকনামে 'হিরোগ্রাম' বলে পরিচিত। নেশায় আর পাচারে ভরে যাওয়া দিন-রাতগুলোতে আমরা যারা একজন নায়ককে খুঁজতাম, একজন নায়ক-যার সঙ্গে কেউ পারবে না, যে কেবল ভালো আর জিতে যাবে; এমন একজন নায়ক, যার জন্য বাবা হাঁপানি কাটিয়ে ঝকঝক করে উঠবে; এমন একজন নায়ক, যার জন্য কলোনির ছেলেগুলো মাস্টারপাড়ার মাঠে কলার তুলে খেলতে নামবে; বিশ্বাস করুন, মারাদোনা তাদের কাছে ছিল নিয়তির মতো। আর্জেন্টিনাকে সমর্থন করা ছাড়া তখন আর কিছুই করার ছিল না।

মারাদোনা আসলে একটা দৌড়ের নাম, যার সঙ্গে দৌড়য় আমাদের পুষ্টিহীন কৈশোর; আর্জেন্টিনা এমন একটা দেশ, যাকে ভালোবাসে মারাদোনা।

৩.

বাংলা ভাষায় 'খেলা' কথা-সাহিত্যের বিষয় হয়ে উঠেছে, বিরল কিছু ক্ষেত্রে। মূলতঃ শিশু কিশোর অভিমুখী সাহিত্যের  উপাদান হয়ে থেকে গেল।পি.কে.ব্যানার্জীর 'উইং থেকে গোল'আর চুনী গোস্বামীর 'খেলতে খেলতে' দু'টি অত্যন্ত স্বাদু রচনা হলেও স্মৃতি কথাই প্রধানতঃ। এবং কিশোরদের লক্ষ করেই লেখা। আহা, কুমারপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের 'দিশি গান বিলিতি খেলা'-র আমেজ মেটে না সহজে। অশোক দাশগুপ্ত, সুরজিৎ সেনগুপ্ত,পল্লব বসু মৌলিক, রূপক সাহার কিছুদিন পর গৌতম ভট্টাচার্য বা সব্যসাচী সরকার প্রমুখ অজস্র কাব্যিক রচনা করলেও সে সমস্ত‌ই রিপোর্টাজ আর স্মৃতিকথন। উপন্যাস কিন্তু ব্রাত্য‌ই করে রাখল খেলাকে। কেবল মতী নন্দী। 'কোনি'কে শুধুমাত্র কিশোর উপন্যাস বলেই মনে করি না, 'কোনি' বস্তুত শিক্ষকের জীবন নির্ধারণের নিদান। এই 'কোনি'- তে একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য লিখেছিলেন মতী,

"যদি বলি ব্রাজিলের প্রধানমন্ত্রীর নাম কি? পারবেন কেউ বলতে?, কিন্তু পেলের নাম আপনারা সবাই শুনেছেন। ইথিওপিয়া ছোট্ট দেশ, গরীব দেশ, অখ্যাত দেশ। কিন্তু বিকিলা যখন দৌড়ল, দেশটা বিখ্যাত হয়ে গেল।"


আমাদের তো কোন‌ও বিকিলা ছিল না, পি.টি.ঊষার চতুর্থ হ‌ওয়া, উড়ন্ত শিখের সেই মিথ, হকির ঘিয়ের গন্ধ আর আধোআধো ক্রিকেটের মোহ মুহূর্তে উড়িয়ে আরেকটা আলাদা দেশ গড়ে দিয়েছিলেন মারাদোনা। যে দেশের আর্জেন্টিনা নেই, মার খেতে খেতে ঘুরে দাঁড়ানো মানুষের দু'মুঠো জিতে যাওয়া আছে। বাধার পর বাধা  ডিঙোনোর শেষে আলী আকবরের সিন্ধু ভৈরবী আছে।

কিন্তু, এই উন্মাদনাটা তো পেলেকে নিয়েও তৈরি হতে পারত। হলো না এই অর্থে। তার একটা অদ্ভুত কারণ মনে উঁকি দেয়। পেলে মূলতঃ স্ট্রাইকার। গোল করতেন।গোলটা মারাত্মকভাবে চিনতেন। সঙ্গে ছিল ব্রাজিলের বিখ্যাত স্ট্রাইকার আর মিডফিল্ড লাইন। কিন্তু, মারাদোনা মিডফিল্ড। গোল করাতেন বেশি। একটা আধ খেঁচড়া দলের দমবন্ধ করা সব ম্যাচ বের করে নিয়ে যেতে হতো প্রায় একারই। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো নিজেদের মেলাতে চাইছিল ওই পজিশনটার সঙ্গে নিজেদের। ইউরোপের সঙ্গে একটা সরাসরি সংঘর্ষের আবহ তৈরি করতে পারত রাজনৈতিক অবচেতনে। অলিম্পিক গেমসগুলো কিন্তু এরকম সরাসরি সংঘর্ষের আয়োজন করতে পারত না। একদিকে শরীর অন্যদিকে এক‌ই সঙ্গে মেধা সমানভাবে যুদ্ধ করছে,এই উত্তেজনা কেবল ফুটবল‌ই দিতে পারে। ভারসাম্য আছে তার।মেধা আর শরীরের ভারসাম্য।

এতগুলো কারণ থাকার পর অত সুন্দর খেলা,আরে, হ্যান্ড অফ দ্য গড গোল করার দিনেই লোকটা গোল অফ দ্য সেঞ্চুরি করেছিল-সেটা মনে না রাখলে মনস্তাত্ত্বিকভাবে কোপন রূপেই প্রতিপন্ন হতে হয়;

ভালোবাসবো না!

৪.
দেখুন, ফুটবল আমি বুঝি না। মোটামুটি আঠাশ বছর ধরে ফুটবল নিয়মিত-অনিয়মিত দেখে এটুকু বুঝেছি, একশো বছরের ওপরে কয়েক লক্ষ কোটি ডলারের একটা শিল্প(উভয় অর্থেই)বাইরে থেকে খেলা দেখে আর কাগজ-ম্যাগাজিন পড়ে বুঝে যাব তা তো হয় না। দীর্ঘ বিশেষ অনুশীলন প্রয়োজন হয়।

যেমন দেখুন, আপনি পড়েন, খুব পড়েন তাও আপনি কিন্তু পাঠক নন। পাঠ অর্থাৎ যা আপনার নতুন চিন্তার উন্মোচক হয়ে উঠবে, তার পাঠক হতে আপনার নিরবচ্ছিন্ন সমকালীন-বিস্তৃত পাঠের প্রয়োজন। আমার এক মাসিকে দেখতাম, লাইব্রেরি থেকে নিয়মিত ব‌ই নিয়ে আসতেন। দু'জনের নাম মনে আছে পৃথ্বিরাজ সেন, রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়।সমরেশ বসু ও মজুমদার‌ও কী দেখিনি! কিন্তু, সেসব ব‌ই খোলাই সার। জীবনে এক পাতাও এগোতে দেখিনি। মাঝে মাঝে পাতা ওল্টাতো। জিগ্গেস করে দেখেছি, কিছুই মনে নেই। ব্লার্ব থেকে বলে যাচ্ছে। এবার এহেন পাঠকের‌ও বনলতা সেন ভালো লাগতে পারে। গলা মোটা করে, গদগদ স্বরক্ষেপণে পরিবেশিত কবিতাটি গ্রামে মফস্বলে রীতিমতো জনপ্রিয় বৈকি! কিন্তু,যখন‌ই সে পাঠক পাখির বাসার সঙ্গে চোখের দৃশ্যগত মিল খুঁজতে যাবে, সে বুঝতে পারবে না আর রসের ব্যাঞ্জনা।ওটুকু বুঝতে গেলে,তাকে, এমন একজন পাঠক হয়ে উঠতে হবে, যে নিয়ত চিন্তার সংঘর্ষ ও বিনির্মাণের মধ্যে দিয়ে তার পাঠপ্রক্রিয়াকে নিয়ে যাবেন। যেমন ধরুন, আপনি মার্ক্স পড়লেন। এঙ্গেলস বুঝলেন। কিন্তু, যাঁরা মার্ক্সের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ত্রুটি ভেবে তার ওপরে আস্থা রাখতে পারলেন না, তাঁদের চিন্তা আপনি পড়লেন না, সহজেই আপনাকে অদীক্ষিত পাঠক হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। এ অতি সরলভাবে বলা।
এ বিষয়ে রবীন্দ্রনাথের একটি কথাকে স্মরণ করা যেতে পারে।' পথের সঞ্চয় 'ব‌ইয়ের 'অন্তর-বাহির'-এ লিখছেন,

"কিন্তু, আমি নিশ্চয়ই জানি ভালো জিনিস ভালো লাগার একটা সাধনা আছে। বিনা সাধনায় যাহা আমাদিগকে মুগ্ধ করে তাহা অনেক সময়েই মোহ এবং যাহা নিরস্ত করে তাহাই যথার্থ উপাদেয়। "(আরব সমুদ্র:২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৩১৯)

ফলে অত বুঝতে যাইনি আর। মারাদোনার খেলা আমাদের ফুটবল বেশি বুঝতে বারন করেছিল, ফলতঃ 'উপাদেয়' আর ফুটবলের মতো করে লড়াই করতে শিখিয়েছিল, একটা স্বচ্ছ আর অসম লড়াই; ফলতঃ মোহমুক্ত করে কেবল লড়াইটাকে গেঁথে দিতে পেরেছিল তৃতীয় বিশ্বের মার খেতে খেতে পড়ে যাওয়া মানুষগুলোর শরীরে। বাঙালির বিদেশি বিশ্বকাপ তাই আমার কাছে অন্ততঃ মারাদোনার সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়ার কাপ।
 
 
 
৫.

দীর্ঘ দিন পর বিশ্বকাপ আর্জেন্টিনার হাতে। মারাদোনা মারা যাওয়ায় সমাপতনটা যেন বেশি করে কাব্যিক হয়ে উঠল। তার ওপরে মেসির মতো অমন শিল্পীর শেষ বিশ্বকাপ! বার্সেলোনার এলিট আবহ কাটিয়ে মেসি ম্যানিয়া মিশে যেতে পেরেছিল মারাদোনার আবেগের সাথে। তারজন্য দলটার দলগত খেলার একটা বড়ো ভূমিকা রয়েছে সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ডি-মারিয়া ছাড়া বড়ো কোন‌ও স্টারের অনুপস্থিতিতে মেসি আবেগের প্রাধান্য। এটুকুই বুঝতে পেরেছি আপাতত। আর যারপরনাই আনন্দে তুরীয় হয়েছি। মারাদোনাকে জোর করে বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল,সেই অসমাপ্ত দৌড়টা যেন কিছুতেই থামছিল না। এবার থামল হয়তো। বুঝতে পারছি, যেভাবেই হোক না কেন, সর্বস্ব দিতে পারলে জয় হতেই হবে। কিন্তু,ফাঁকি থাকলে চলবে না। এক কণাও না। জয় বলতে লক্ষ পূরণ বোঝাতে চাইছি। এবং এক‌ই সঙ্গে এটাও মনে করিয়ে দিতে চাইছি, অদক্ষ পাঠক কিন্তু বুঝতে পারেন না তাঁর লক্ষ্য আসলে কী ছিল।তাই সারাজীবন বঞ্চনার কথা বলে যান অধিকাংশ।

৬.
এ ছিল মোটামুটিভাবে অদীক্ষিত ফুটবল দর্শকের বাইশের বিশ্বকাপ ফুটবল। দেখুন, আমি একটা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে লোকজীবনকে মেলাতে চাই না। যাঁরা আর্জেন্টিনার রাজনৈতিক বিবিধ সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে মারাদোনা, মেসির খেলার বিচার করেন, বিরোধীতা করেন, রাজনীতি বোঝেন না, খেলাটা তো নয়ই; সম্ভবতঃ সে সব বুদ্ধিমানেরা ভারতীয় হলে, ভারতীয় ক্রিকেট দলকেও সমর্থন করেন না, রাজনৈতিক পরিস্থিতি বলে কথা! আর করলে সম্ভবতঃ তাঁরা একটি রাজনৈতিক দলের 'ভক্ত' বলেই চিহ্নিত হবেন!- এতোটা নির্বোধ ন‌ই যে মারাদোনা আর মেসির ওই আলাপ -জোড়-ঝালার আসর ছেড়ে কেবল ঝালার একটুখানি শুনতে চলে যাব অন্যত্র। একজীবনে এটুকুই বুঝতে পারলে কম কী! এই রহস্যটুক- 

মারাদোনার মানে আসলে কী!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন