আকুল বাংলাদেশ
বাংলাদেশ
১।
পা'র পাতা ভাবনাতীত টংকারে ঠেলছে সৈকত-বালির বাংলাদেশ। সমুদ্রই থাক লেগে? কিন্তু চোখ প্রার্থনায় তার ফেরত বইতে বাধ্য কেবল। ঝাউডাঙার নিষ্কৃতির পথ মিলায় শেষটা এক মূলপথেই। সংক্ষেপে মন্দিরের শব আলোয় ঝলসানো। ঝাপসা জন্তুর চিবুক সাপেক্ষে। হাতড়ে তাই-ই, তীর্থে কাক-যোগ মেলাই,চান করাই দুএকটা অঙ্গ বা অনঙ্গ।
২।
সূর্যবীজ গর্ভে ধরবার স্বাহা এই বালি। তার নিশান জল করা ঘোরতর ঠান্ডা জল টংকারে টংকারে পা'র পাতায় পার হল বাংলাদেশ। টোল খাওয়া বৃত্তে ঠেল দেয় পিছে আসংসার।
টানছে সে
অনন্তের চিংড়ি-মীন
৩।
হাড় টাটায়। শুঁটকি ঘ্রাণ তার ব্যথায় লিঙ্গ-মুখ দেয় খুলে,জাপটে নেয় ঘাস ঢেকে উপড়ানো ঝাউগুলোও। নীচ দিয়ে পা'য় চলে পথ করা বনসিঁথি। সেইখানে জ্যোতিষ্কের দৃশ্যপাত!
প্রার্থনাই পার হল এই-সকল।
৪।
বক থাকে স্থির সাদায় অতক্ষণ? হয়তো গাছ। অন্য সাম্রাজ্যে মিল একটা বক চাইছিল। দৃশ্য ভুল চাইছিল। চাইছিল জলসারা গাঙ-আয়ুর নাভিশ্বাস-একটা বক। নড়তে নড়তেও যে স্রেফ নড়লো না,
নড়লো না-ই।
৫।
নাই নড়ুক! ইট পেতে,ফাঁক বুঝে সমুদ্রের ঢাল ধরে দাঁড়গুলো ধর্মতই দেয় গড়ান। ধর্মতই একটা মোড়- উল্টোমুখ উৎপাদক ওই ধুলো ওই হাওয়ায় রেল ক্রসিং। থমকালো, খইমোয়া বিক্রেতার কৈশোরক দাঁত জুড়ে ঈশ্বরের এক ঝিলিক।
এই মোড়েই, কিছুক্ষণ, খাই মোয়া?
৬।
ধরছে না। ধরছে না স্রেফ ধসা একটা ঘর এই লেখায়। তার বাঘের গায় যে শীত, তুল্য কী? কোন তাড়ায় এই আগুন আবিষ্কার?
শীত লাগে, জিজ্ঞাসার সিগনালের চেও আগে।
৭।
প্রশ্নাতীত এক স্টেশন হা বিস্ময়!
আচমকা মেয়েছেলে ডাকলো কেউ? অসম্ভব সংযোগের স্ফূর্তিতে চড় কষাই-ইচ্ছে হয়।
ব্ল্যাকম্যাটার পার্টিকল একটা চড়, আর ক্যাসেট আটকে যায় সেইথেকে সেইখানেই!
বোঝ ঠ্যালা!
দীর্ঘ জীভ-কফ কেশে প্যান্ট ভেজা শুকনো কদ্দূর দেখা অব্দি নে! সহ্য কর বাংলাদেশ এই দেহে!
আকুল
উৎসবানুকূল আশ্বিনের রোদ বেড়ে চিনেছ প্রভু!
এখানে ছড়ালেই বহু ডানায় রিপু ঝুঁঝকো ছায়া পেতে…
অবলা-চোখ-দানা ঠুকরে অবলাই। কি করে যে উড়াই!
ভরসা ও নিরোধ তোমার কৃপা-দুল বিশেষ ছাড়ে কেনা,
পরিয়ে ভুলে যাই প্যাচ কাটা নলের গলগলিয়ে বমি গলির সইছে না।
গলি ছাড়ালে রোদ-হে মহাসমাধান! এতই ঘেঁষাঘেঁষি! খটকা লাগে তবু চোরা গুমোট চুষে প্রজাত ডানাটার দেহ ডিমে আকুল