নার্গিস পারভিন
একুশে বলতে রোজকার ভাষা মানুষের ভাষা।
যে ভাষায় বুকে স্বপ্ন জমানো থাকে।
একুশে বলতে দেশের মাটি, দশের চেতনা,
সংহতি আর ভাষা আন্দোলন লেখে
(শাশ্বত একুশে, স্বপ্নখোরের শার্সি)
একুশে ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২ সাল থেকে এই দিনটির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে গেছে আমাদের মাতৃভাষা। মাতৃভাষা-মায়ের মুখের ভাষা, যে ভাষায় মা কথা বলেন কিংবা যে ভাষায় সন্তানের জন্য ঘুম পাড়ানি গান গেয়ে ওঠেন মা! সদ্যোজাত নির্বাক শিশু মায়ের কথা শুনে এবং মায়ের ঠোঁটের সঞ্চালনা অনুকরণ করে, বেড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে যে ভাষা রপ্ত করে, সেই ভাষাই মাতৃভাষা। যে ভাষা মানুষকে স্বপ্ন দেখতে শেখায়, যে ভাষা ব্যক্তিকে সন্তান স্নেহের আশ্রয় দেয়, প্রশ্রয় দেয়; সেই ভাষাই তো মাতৃভাষা। যেকোনো দেশের,জাতির আত্মমর্যাদা গড়ে ওঠে সেই জাতির ভাষা ও সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করে। জাতির অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য গড়ে ওঠার পেছনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে সেই জাতির নিজস্ব ভাষার। তাই হয়তো কোনো দেশ বা জাতিকে দুর্বল করে দিতে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে বার বার আঘাত নেমে এসেছে মাতৃভাষার ওপর। আমরা সকলেই জানি আমাদের মাতৃভাষা বাংলা ভাষার ওপরেও বার বার নেমে এসেছে সে দুর্যোগ। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি, এই দিনটি, ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে চিরস্মরণীয় হয়ে গেছে পৃথিবীর ইতিহাসে।
১৯৪৭ সালে ইংরেজদের হাত থেকে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা লাভের সময়কালে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ভারত ভাগ, বর্তমানের পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ নিয়ে গঠিত অবিভক্ত পাকিস্তানের উদ্ভবের মধ্যেই নিহিত হয়ে গিয়েছিল বাংলা ভাষার সংকট। অবিভক্ত পাকিস্তান নির্মাণের সেই শুরুর দিনগুলো থেকেই পুঞ্জিভূত হতে থাকে উদ্বেগের মেঘ। তৎকালীন পাকিস্তানের পশ্চিম প্রান্তের মানুষের ভাষা উর্দু, এদিকে পূর্ব বঙ্গ তথা পূর্ব পাকিস্তানের অধিবাসীর ভাষা বাংলা। প্রশ্ন উঠল, কি হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা, বাংলা না উর্দু? প্রসঙ্গত, পাকিস্তান গঠনের শুরুতেই পাকিস্তানের অফিস কাছারি কিংবা সরকারি দপ্তরের সঙ্গে বেশিমাত্রায় নিযুক্ত করা হয়েছিল পশ্চিম পাকিস্তানের অধিবাসীদের; তুলনায় পূর্ববঙ্গের মানুষ ছিলেন বঞ্চিত অবহেলিত। এমতাবস্থায় পাকিস্তানের সরকারও উর্দু ভাষার পক্ষেই রায় দিলেন। উঠল গুঞ্জন, বাড়তে থাকল উদ্বেগ। লেখালেখি চলতে থাকল পত্র পত্রিকায়। উর্দু-বাংলার সেই দোলাচল এবং উত্তেজনা সম্পর্কে কবি ফারুখ আহমদ রচিত একটি ব্যাঙ্গ সনেট বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। "দুইশত পঁচিশ মুদ্রা সে অবধি হয়েছে বেতন/ বাংলাকে তালাক দিয়া উর্দুকে করিয়াছি নিকা/ বাপান্ত শ্রমের ফলে উড়েছে, আশার চামচিকা/ উর্দু নীল আভিজাত্যে (জানে তা নিকট বন্ধুগণ)।" ("উর্দু বনাম বাংলা" কবি ফররুখ আহমদ) এইরকম উদ্বেগঘন মুহূর্তে নিজ দেশে মাতৃভাষার প্রাধান্য হারিয়ে সমগ্র বাঙালি জাতি, আগত কর্মহীনতা, হতাশা কিংবা বঞ্চনার প্রতিবাদে একত্রিত হলেন, সংগঠিত হলেন! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ অধ্যাপক জনাব আবুল কাসেমের উদ্যোগে গড়ে উঠল 'তমুদ্দন' নামক সংগঠন। রচিত হল বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি সম্বলিত পুস্তিকা। প্রখ্যাত আইনজীবী, রাজনীতিবিদ তথা তৎকালীন পাকিস্তানের গণপরিষদের সদস্য এবং পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত, পাকিস্তানের গণপরিষদে প্রস্তাব দিয়েছিলেন উর্দু, ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা ভাষাকেও সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার।ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের প্রস্তাব নাকচ করে দেওয়া হলে আন্দোলন আরও প্রবল হল। আন্দোলনকে সমগ্র দেশে ছড়িয়ে দিতে প্রকাশিত হতে থাকল নিজস্ব মুখপত্র "সৈনিক"। পত্রিকাটি প্রকাশ করেছিলেন তমুদ্দন মজলিসের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবুল কাসেম এবং সম্পাদনা করতেন আব্দুল গফুর। ওই সময় "ইত্তেহাদ" কিংবা "সাপ্তাহিক ইনসাফ" বা "নওবেলাল" এর মত দু-একটি পত্রিকাতেই ভাষা আন্দোলনের খবর সামান্য ছাপা হত মাত্র। তাই অধ্যাপক আবুল কাসেম আন্দোলনকে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য "সৈনিক" পত্রিকার প্রকাশ ঘটান। যেহেতু ভাষা আন্দোলন একটি সরকারবিরোধী আন্দোলন তাই এই সৈনিক পত্রিকাটি ছিল সরকারবিরোধী একটি মুখপত্র। স্বভাবতই সরকারের বিষ নজরে পড়েছিল সৈনিক এর প্রতিষ্ঠাতা আবুল কাসেম ও সম্পাদক আব্দুল গফুর। ১৯৪৮ সালের ২১ শে মার্চ ঢাকা সফরে এসে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ নাগরিক সংবর্ধনা সমাবেশে ঘোষণা করলেন উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা, অন্য কোন ভাষা নয়। উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রীদের 'না' 'না' ধ্বনিতে প্রতিবাদের স্বরে সেদিন ঢাকার আকাশে উঠেছিল কালবৈশাখী ঝড়! এভাবেই শাসক দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নানাভাবে প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন ভাষার জন্য নিবেদিতপ্রাণ জোটবদ্ধ বাঙালি। এরপর, ১৯৫২ সালের ২৫ শে জানুয়ারি, ঢাকার পল্টন ময়দানে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিনও উর্দুকেই পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা ঘোষণা করলে, প্রতিবাদে সরব বাঙালি তড়িঘড়ি গড়ে তুললেন "সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ"। পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় হয় ১১, ১২, ১৩ ফেব্রুয়ারি পালন করা হবে পতাকা দিবস। ২১ ফেব্রুয়ারি সারা দেশ জুড়ে পালিত হবে ধর্মঘট। দুর্ভাগ্যের বিষয় ২০ ফেব্রুয়ারির রাতে সরকার পক্ষ থেকে হঠাৎই এক মাসের জন্য জারি হল ১৪৪ ধারা। সরকারের এই সিদ্ধান্তে বিক্ষুব্ধ সাধারণ ছাত্ররা স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে ১৪৪ ধারা অমান্য করে এবং প্রতিবাদ স্বরূপ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে জমা হতে থাকে। প্রতিবাদ রুখতে পুলিশও সক্রিয় হয়ে ওঠে। এই প্রতিবাদ প্রতিরোধের মাঝে, আন্দোলনকারীদের মিছিল ঢাকার মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে পৌঁছালে, হঠাৎই বেলা তিনটের দিকে পুলিশ গুলি চালাতে শুরু করে। পুলিশের গুলিতে শহীদ হন বরকত, রফিক, সালাম, জব্বার। আহত হন আরও বেশ কিছু ছাত্র। শহীদের রক্তে আন্দোলন তীব্রতার সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। ঢাকার মেডিকেল কলেজ চত্বরে এক দিনের মাথায় গড়ে ওঠে শহীদ মিনার! পূর্ণ ধর্মঘটের ডাক দেন আন্দোলনকারীরা। অবশেষে ১৯৫৪ সালের ৭ মে বাংলা ভাষাকে সরকারি ভাষার স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয় শাসকদল। দীর্ঘ কয়েক বছরের এই ভাষা আন্দোলনের ফল ছিল সুদূরপ্রসারী। এই আন্দোলনের সূত্র ধরেই ১৯৭১ সালে সংঘটিত হয় মুক্তিযুদ্ধ। গড়ে ওঠে স্বাধীন দেশ, বাংলাদেশ। যে দেশের রাষ্ট্র ভাষা বাংলা! সেই বাংলাভাষা যে ভাষায় কথা বলে ভারত এবং বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ বাঙালি সহ, সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা বাঙালি। যে ভাষায় চলে গঙ্গা-পদ্মার নিরলস কানাকানি। কবি শামসুর রাহমানের কবিতার ভাষায়,"বাংলা ভাষা উচ্চারিত হলে নিকানো উঠোনে ঝরে রোদ, বারান্দায় লাগে জ্যোৎস্নার চন্দন। বাংলা ভাষা উচ্চারিত হলে অন্ধ বাউলের একতারা বাজে উদার গৈরিক মাঠে, খোলা পথে, উত্তাল নদীর বাঁকে বাঁকে, নদী ও নর্তকী হয়। যখন সকালে নতুন শিক্ষার্থী লেখে তার বাল্যশিক্ষার অক্ষর, কাননে কুসুম কলি ফোটে, গো-রাখালের বাঁশি হাওয়াকে বানায় মেঠো সুর, পুকুরে কলস ভাসে।" (বাংলা ভাষা উচ্চারিত হলে, শামসুর রহমান)
প্রসঙ্গত মানভূম এবং আসামের ভাষা আন্দোলনের কথাও উল্লেখ করতে হয় বৈকি। আসামের বরাক উপত্যকায় সংঘটিত ভাষা আন্দোলনে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১২ জন আন্দোলনকারী। ১৯৬০-৬১ সালে সংঘটিত সেই আন্দোলনে, আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল অসমীয়া ভাষার পাশাপাশি বাংলা ভাষাকেও দাপ্তরিক ভাষার মর্যাদা দেওয়ার। ১৯৬০ সালে, আসাম সরকার অসমীয়া ভাষাকেই একমাত্র দাপ্তরিক ভাষা ঘোষণা করলে ওই অঞ্চলে অধিষ্ঠিত সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালি প্রতিবাদে সরব হয়ে ওঠেন। প্রথমদিকে পদযাত্রা, জনসভা কিংবা সংকল্প দিবস পালনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল প্রতিবাদ। কিন্ত আসাম সরকার সিদ্ধান্তে অনড় থাকলে শেষ পর্যন্ত আন্দোলনও তীব্র হয়ে ওঠে। আন্দোলনকারীরা হরতাল ও পিকেটিং শুরু করে। পূর্বঘোষণা মত ১৯৬১ সালের ১৯ মে আসামের শিলচর স্টেশনে শুরু হয় হরতাল। সরকারি অফিস রেলস্টেশন এ করা হয় পিকেটিং। আন্দোলনকারীরা শিলচর স্টেশনে সেদিন সত্যাগ্রহ করছিলেন। কিন্ত দুপুরের পর, সরকার পক্ষ থেকে আন্দোলনকে ছত্রভঙ্গ করতে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু হয়। পুলিশের গুলিতে প্রাণ ত্যাগ করেন কমলা ভট্টাচার্য সহ ১১ জন। মনে করা হয় কমলা ভট্টাচার্য ছিলেন ভাষা আন্দোলনের প্রথম নারী শহীদ। পরে আসাম সরকার বাধ্য হয় বাংলা ভাষাকে দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে গ্রহণ করতে।
একুশে ফেব্রুয়ারি তথা অপরাজেয় ভাষা আন্দোলন কেবল বাংলা ভাষার জন্য স্মরণীয় নয় এই আন্দোলন যেন সেই সব মাতৃভাষার আন্দোলন যে সমস্ত মাতৃভাষা আক্রান্ত হয়েছে বা হচ্ছে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে। একুশে ফেব্রুয়ারির জয় যেন পৃথিবীর সমস্ত মাতৃভাষার জয়। ১৯৯৯ সালের ১৭ ই নভেম্বর, প্যারিসে, ইউনেস্কোর ৩০ তম অধিবেশনে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণ করে একুশে ফেব্রুয়ারির এই মহান দিনটিকে দেওয়া হয় আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসের স্বীকৃতি! ২০০০ সাল থেকে একুশে ফেব্রুয়ারির দিনটি পালিত হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে। বাংলাদেশের মানুষ সেদিন প্রভাতফেরী এবং শহীদ বেদীতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ভাষা শহীদদের উদ্দেশ্যে।
আপন ভাষাকে ভালোবেসে, ভাষা আন্দোলনের সেই মহান শহীদদের স্মরণ করে প্রতিটি বাঙালিকে সজাগ থাকতে হবে প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে। "মোদের গরব, মোদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা!/ তোমার কোলে, তোমার বোলে, কতই শান্তি ভালবাসা!" (অতুল প্রসাদ)। দশম শতাব্দীতে 'চর্যাপদ' এর সূত্র ধরে যে বাংলা ভাষার প্রথম সাহিত্যিক নিদর্শনের সন্ধান পাওয়া, সে ভাষা আজ বহু সময় এবং বিবর্তনের বহু বিচিত্র পথ অতিক্রম করে বিশ্বভাষার প্রাঙ্গণে উজ্জ্বলতায় ভাস্বর। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্বসাহিত্যের সভায় বাংলা ভাষাকে শ্রেষ্ঠত্বের যে আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন, বাংলাভাষার সেই গৌরবকে ভিতর এবং বাইরে দুইদিক থেকেই রক্ষা করতে হবে বৈকি। তবে বর্তমান সময়ে, একদিকে বিশ্বায়নের প্রভাব অন্যদিকে বিজ্ঞান প্রযুক্তির দৌলতে সারা বিশ্ব মানুষের হাতের মুঠোয়। এমন একটা সময়ে ভাষা-সংস্কৃতির আদান-প্রদান কিংবা সংমিশ্রণ কিছুটা ঘটবে বিবর্তনের স্বাভাবিক নিয়মে; তবে বাইরে থেকে জোর করে চাপিয়ে দিয়ে বা অনুকরণ করে নয়। আবার স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঘটে যাওয়া পরিবর্তনকে মেনে না নিলে ভাষা হারাবে তার বহমানতা। কবিগুরু তাঁর "ভারত তীর্থ" কবিতায় প্রসঙ্গান্তরে বলেছেন, "দিবে আর নিবে মিলাবে মিলিবে, যাবেনা ফিরে" এই আদান-প্রদান হল সহনশীলতার, বিশ্বভ্রাতৃত্ববোধের আরেক রূপ। তাই পারস্পারিক সেই সহনশীলতা, ভ্রাতৃত্ববোধ হৃদয়ে ধারণ করে, নিজ ভাষা ও সংস্কৃতির পাশাপাশি, প্রত্যেক দেশ-জাতি-মানুষের ভাষা ও সংস্কৃতিকে তার যোগ্য সম্মান দিতে পারলে তবেই হয়তো মাতৃভাষা দিবস যথাযথভাবে পালন করে উঠতে পারবে সমগ্র বিশ্ব। একুশ তখন...মৈত্রী বন্ধন, মিথ্যা সেখানে বিভাগের কাঁটাতার, মানবিকতার জোটে।